মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল্লাহ কায়সারের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে নেয়া ৬ পুলিশ সদস্য হলেন- সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরের দেহরক্ষী কনস্টেবল মোরশেদ বিল্লাহ, নগর পুলিশের উপকমিশনার গোয়েন্দা (পশ্চিম) মনজুর মোরশেদের দেহরক্ষী কনস্টেবল মো. মাসুদ, নগরের দামপাড়া রিজার্ভ ফোর্স অফিসে কর্মরত কনস্টেবল শাকিল খান ও এস্কান্দর হোসেন, নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার কর্ণফুলী কার্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ও নগর গোয়েন্দা পুলিশে (উত্তর) কর্মরত কনস্টেবল আবদুল নবী।
আরও পড়ুন: অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়: সিএমপি কমিশনারের দেহরক্ষীসহ ৬ পুলিশ গ্রেপ্তার
জেলা পুলিশের পরিদর্শক (প্রসিকিউশন) মো. হুমায়ন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আনোয়ারা থানায় দায়ের হওয়া এই মামলায় প্রত্যেক আসামির সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন জানায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত শুনানি শেষে তাদের প্রত্যেকের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি এই ৬ জনকে সিএমপি হেড কোয়ার্টার থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশের এএসআই নিহত
সাক্ষর জালিয়াতির মামলায় এক ব্যক্তিকে পুলিশে দিল হাইকোর্ট
গ্রাম পুলিশদের বেতন গ্রেড নিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত
উল্লেখ্য, মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে চারটি মোটরসাইকেলযোগে ৮ তরুণ আনোয়ারা থানাধীন পূর্ব বৈরাগ গ্রাম থেকে আবদুল মান্নানকে তুলে নিয়ে যায়। এসময় তারা নিজেদের পুলিশের লোক বলে পরিচয় দেয়। এমনকি একজনের গায়ে ডিবি লেখা জ্যাকেটও ছিল। পরে ওই তরুণরা আবদুল মান্নানকে পটিয়ার ভেল্লাপাড়া এলাকায় নিয়ে আটকে রাখে। তরুণদের দাবি, আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে থানায় অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। পরবর্তীতে তাদের ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেয়া হলে তারা তাকে ছেড়ে দেয়। তরুণদের কথোপকথনে মোর্শেদ নামে একজনের নাম জানতে পারেন আবদুল মান্নান।
পুলিশ সদস্য পরিচয়ে অপহরণ এবং মুক্তিপণের অভিযোগ জানিয়ে আবদুল মান্নান গত ৭ ফেব্রুয়ারি আনোয়ারা থানায় ছয় পুলিশ সদস্যের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। এজাহারে সরকারি কর্মচারীর ছদ্মবেশ ধারণ করে অপহরণ, টাকা দাবি ও হত্যার হুমকি দিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার সূত্র ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে পুলিশ এ ঘটনার সাথে ৬ পুলিশ কনস্টেবলের সম্পৃক্ততা পেয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
জুয়া খেলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজশাহীতে ১১ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত