করিম মিয়ার বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর বালাপাড়া গ্রামে।
বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুল ইসলাম। জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আমজাদ হোসেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহকারী সামরিক সচিব মো. সাইফ উল্লাহর সিল-স্বাক্ষর জাল করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা হয়। মামলায় দুই আসমি গ্রেপ্তার হলেও করিম মিয়া পলাতক ছিলেন। এর মধ্যে তিনি হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাকে জামিন না দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
আইনজীবীরা জানান, গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫টায় রংপুর-বগুড়া মহাসড়কে বড় ঈদগাহ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে লালমনিরহাট থেকে ঢাকাগামী বাঁশ বোঝাই একটি ট্রাক থামায় হাইওয়ে পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদে ট্রাকের চালক মো. আজিম উদ্দিন ও তার সহকারী মো. মোতালেব হোসেন জানান, এই বাঁশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তখন তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহকারী সামরিক সচিব মো. সাইফ উল্লাহর সিল-স্বাক্ষর দেয়া একটি চিঠি দেখান। কিন্তু পুলিশের সন্দেহ হলে বাঁশভর্তি ট্রাকটি আটক করা হয়। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে সাইফ উল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি লেফট্যানেন্ট কর্নেল নন, কর্নেল। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ ধরনের কোনো চিঠি দেয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।
আসামিরা পরে স্বাক্ষর জালের কথা স্বীকার করেন এবং পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মোয়াজ্জেম হোসেন ট্রাকের মালিক করিম মিয়াসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
সাভারে কিশোরী নিহতের ঘটনায় ভবন মালিককে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
সাভারের আশুলিয়ায় একটি একতলা ভবনের দেয়াল ধসে মীনা (১৩) নামে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় ভবনের মালিক মো. আলী হোসেনের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আলী হোসেনের আগাম জামিন আবেদনের শুনানি করে বুধবার বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু।
গত ১২ জানুয়ারি সকালে আশুলিয়ার জিরানী এলাকায় শিমুলিয়া রোডে মদিনা ব্যাচেলর মেস ভবনের দেয়াল ধসে ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হন আরও পাঁচজন। ওই ছাত্রী কুষ্টিয়া জেলার সদর থানার পূর্ব রাতুলপাড়ার হাবিবুর রহমানের মেয়ে। সে কোনাপাড়া কলাবাগান এলাকায় একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, আশুলিয়ার জিরানী এলাকায় মদিনা নামে পুরাতন একটি ভবন সংস্কারের জন্য ভাঙা হচ্ছিল। এ সময় ভবনটির পাশের একটি দেয়াল ধসে সড়কের ওপর পড়লে ওই কিশোরী মারা যায়। এ ঘটনায় মালিকের বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।