তারা মেডিসিন ইউনিট ৪-এর সহকারী রেজিস্ট্রার মাসুদ খানের বিরুদ্ধে হাসপাতালের পরিচালক বরাবর স্মারকলিপি ও কর্মবিরতিপত্র দিয়েছেন।
হাসপাতালের ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সজল পান্ডে ও সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলেও গণমাধ্যমের সাথে তারা কথা বলতে রাজি হননি।
ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের দাবিগুলো হলো- ডা. মাসুদ খান কর্তৃক দায়েরকৃত প্রহসনমূলক মিথ্যা মামলা ও বিভিন্ন মাধ্যম কর্তৃক হয়রানি অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করা, ডা. মাসুদ খানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সুষ্ঠু বিচার করা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রচারকৃত অসত্যের জন্য মানহানির বিচার করা।
গত ২১ অক্টোবর ডা. মো. মাসুদ খান তার ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ এনে সজল পান্ডে ও তরিকুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে হাসপাতালের পরিচালক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। পরদিন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালের সামনের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন নেয়ার অভিযোগে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন ডা. মাসুদ খানের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
সর্বশেষ ৩০ অক্টোবর ডা. মাসুদ খান কোতোয়ালি থানায় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলার খবর পেয়ে ২৯ অক্টোবর রাতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তালা দিয়ে বিক্ষোভ এবং আড়াই ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেন।
এ বিষয়ে জানতে ডা. মাসুদ খানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বলেন, ‘দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসা হয়েছিল। কিন্তু কোনো পক্ষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে ছাড় দিতে রাজি না হওয়ায় সমঝোতা হয়নি। সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
হাসপাতালে প্রায় দেড় শ ইন্টার্ন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন। তাদের কর্মবিরতিতে সাধারণ রোগীরা বেশ ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন।