শনিবার দুপুরে উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা গ্রামের ওহাবের ছেলে সুমনের ঘরের পাশ থেকে পুলিশ এই লাশ উদ্ধার করে।
নিহত রেশমা কুমারখালী পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের রিয়াজ উদ্দিনের মেয়ে। তবে ঘটনার পর থেকেই স্বামী সুমন পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: মেয়ের বাড়ি বেড়াতে এসে লাশ হয়ে ফিরলেন মা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে রেললাইনের পাশ থেকে লাশ উদ্ধার
এলাকাবাসী জানায়, এক বছর আগে সুমনের সাথে রেশমার বিয়ে হয়। গত দুদিন যাবৎ রেশমা শ্বশুর বাড়ি থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হন। শনিবার দুপুরে স্থানীয়রা পচা দুর্গন্ধ পেয়ে সুমনের বসতঘরের পাশে ময়লার স্তুপে মানুষের হাতের তিনটি আঙ্গুল দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে ময়লার স্তুপ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে মরদেহটি রেশমার বলে শনাক্ত করেন নিহত রেশমার ভাই সুজন।
সুজন বলেন, স্বামীর বাড়ি থেকে আমার বোন নিখোঁজ হওয়ার পর সম্ভাব্য সব-জায়গায় তার খোঁজাখুঁজি করেও কোন সন্ধান পাইনি। পরে দুপুরে লোকমুখে শুনে সুমনের বাড়ির পিছন থেকে বোনের মৃত দেয় খুঁজে পাই।
তার বোনকে নির্যাতন করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে সুমন দাবি করেন।
আরও পড়ুন: সাঙ্গু নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ সেনা সদস্যের লাশ উদ্ধার
সাভার ও আশুলিয়া থেকে নারীসহ ৫ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, স্থানীয়রা পচা গন্ধ ও ময়লার স্তুপে হাতের আঙ্গুল দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে গৃহবধূ রেশমার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে নিহতের ভাই মরদেহটি শনাক্ত করলে মরদেহটি মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে স্বামী সুমন রেশমাকে হত্যা করে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে লাশ ময়লার স্তুপে চাপা দিয়ে রাখে। পুলিশ সুমনকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।