সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে শরীফ মেলামাইন কারখানার সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সমর্থন বেগম (৭০) শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার মজিদ ব্যাপারীর স্ত্রী।

আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় জাবির আহত শিক্ষার্থীর মৃত্যু

মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল হোসেন জানান, সমর্থন বেগম গত সোমবার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার দেওশুর এলাকায় তার মেয়ে নাজমা বেগমের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। তিনদিন পর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শরীয়তপুর নিজ বড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলে বালিবাহী ট্রাক চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তিনি নিহত হন।

আরও পড়ুন: তিন জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫

ওসি জানান, ঘটনার পরপরই ট্রাকটি জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

পুলিশ ঘটনাস্থাল থেকে নিহতের সুরাতহাল রিপোর্ট তৈরি করে দুপুরে লাশ মর্গে পাঠায়। মর্গ থেকে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত সমর্থন বেগমের লাশ শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার নিজ এলাকায় নিয়ে যায় তার স্বজনরা।

এব্যাপার কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।

আরও পড়ুন: বন্ধুর জন্য মোটরসাইকেল কিনে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত

দেশের দুর্ঘটনা পরিস্থিতি

চলতি বছরের জানুয়ারিতে সারা দেশে ৪২৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৪৮৪ জন নিহত এবং ৬৭৩ জন আহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের (আরএসএফ) তথ্যমতে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা ২৫.৫৮ শতাংশ এবং হতাহতের সংখ্যা ৮.৭৬ শতাংশ বেড়েছে।

আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল নিহত

গত ৬ ফেব্রুয়ারি আরএসএফ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত বছরের জানুয়ারিতে ৩৪০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৪৫ জন নিহত হন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সারা দেশে ১৫৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৮ জন মারা গেছেন, যা মোট নিহতের ৩৪ শতাংশ এবং মোট দুর্ঘটনার ৩৭.২৩ শতাংশ।

যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৩ জন, যা মোট হতাহতের ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

চারটি নৌ দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত, চারজন আহত এবং ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। একই সময়ে ১১টি রেল দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছেন।

১৫৩টি দুর্ঘটনা (৩৫.৮৩ শতাংশ) মহাসড়কে, ১০৭টি দুর্ঘটনা (২৫.০৫ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে এবং ১১টি দুর্ঘটনায় (২.৫৭ শতাংশ) অন্যান্য সড়কে ঘটেছে।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে সিলেট বিভাগে।

দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ সড়ক দুর্ঘটনায় ১০টি প্রধান কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: মগবাজারে ট্রেনে কাটা পড়ে কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

আরএসএফ সাতটি জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

নিরাপদ সড়ক চাই জানিয়েছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ৪ হাজার ৭০২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ হাজার ২২৭ জন মারা গেছেন।