বুধবার সকালে দর্শনা রেলবন্দরের ইয়ার্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শ্রমিকের নাম সাজু আহমেদ (২৩)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দর্শনা রেল ইয়ার্ডে ভারত থেকে আসা মালবাহী ট্রেন থেকে কয়েকজন শ্রমিক পণ্য খালাস করে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়ার লতিফ ট্রেডার্সের একটি ট্রাকে বোঝাই করছিলেন। পণ্য বোঝাই শেষে ট্রাকটি পেছনে যাচ্ছিল। এ সময় গাড়িটির ধাক্কা খেয়ে মালবাহী ট্রেনের মাঝখানে পড়ে শ্রমিক সাজু পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
আরও পড়ুন: বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
সড়ক দুর্ঘটনায় খুলনায় কলেজ শিক্ষক নিহত
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশের এএসআই নিহত
স্থানীয়দের অভিযোগ, দুর্ঘটনার কবলে পড়া লতিফ ট্রেডার্সের ট্রাকটি চালকের বদলে তার সহকারী চালাচ্ছিলেন। তাই এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দর্শনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রাক ও মালবাহী ট্রেনের চাপে আঘাতপ্রাপ্ত হয় সাজু। এতেই সে ঘটনাস্থলে মারা যান। পুলিশ গিয়ে ওই শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে।’
সার্বিক চিত্র:
দেশে ২০২০ সালে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ৭২৯ শ্রমিক নিহত এবং ৪৩৩ জন আহত হয়েছেন।
এছাড়া, এ সময়ে নির্যাতনের শিকার হন ৫৯৬ শ্রমিক। যার মধ্যে কর্মক্ষেত্রে ২৩২ এবং কর্মক্ষেত্রের বাইরে ৩৬৪ জন নির্যাতিত হন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) উদ্যোগে ৯ জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বাংলাদেশের শ্রম ও কর্মক্ষেত্র পরিস্থিতি বিষয়ে সংবাদপত্র ভিত্তিক বিলস জরিপ-২০২০’ শীর্ষক পর্যালোচনা সভায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়া ও ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকের মধ্যে ৭২৩ জন পুরুষ এবং ৬ জন নারী। খাত অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ৩৪৮ শ্রমিকের মৃত্যু হয় পরিবহন খাতে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৪ জন নির্মাণ খাতে এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ৬৭ জন কৃষি খাতে মারা যান।
আগের বছর ২০১৯ সালে বিভিন্ন খাতে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ১২০০ শ্রমিকের মৃত্যু হয় এবং তখন নির্যাতনে ১২৯২ শ্রমিক হতাহত হন।
২০২০ সালে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ৪৩৩ শ্রমিক আহত হন, এর মধ্যে ৩৮৭ জন পুরুষ এবং ৪৬ জন নারী। মৎস্য খাতে সর্বোচ্চ ৬৮ শ্রমিক আহত হন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৯ জন আহত হন নির্মাণ খাতে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর নির্যাতনে পরিবহন খাতে সবচেয়ে বেশি ১০৯ জন শ্রমিক হতাহত হন। তারপরে ৭৮ জন তৈরি পোশাক শিল্পে, অভিবাসী খাতে ৬৫, নির্মাণ খাতে ৬৩, কৃষি খাতে ৫৮ এবং গৃহশ্রমিক খাতে ৪৪ জন হতাহত হন।