বুধবার পুলিশ তাদেরকে আদালতে হাজির করলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার নেত্রকোণা সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের তারাকুঁড়ি গ্রামের মোছা. রহিমা আক্তারের বসতবাড়ি সংলগ্ন পুকুরে তার মেয়ে নাসিমা আক্তারের লাশ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নাসিমার মা রহিমা আক্তার ও তার মেয়ে কলমাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নেত্রকোণা মডেল থানা ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হাসান আলীর অবস্থান শনাক্ত করে। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ এলাকা থেকে আটক করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাসান ও কমলা ওই হত্যাকাণ্ডে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
এ ঘটনায় নিহত নাসিমার মা রহিমা বাদী হয়ে নেত্রকোণা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নেত্রকোণার পুলিশ সুপার মো. আকবার আলী মুন্সী জানান, আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তারা দুজনই নাসিমা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।