নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মেয়র, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ঘোষিত তফসিল অনুসারে, নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ১৫ নভেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ১৭ নভেম্বর আর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৩ নভেম্বর।
জানা গেছে, ফরিদপুর পৌরসভায় বর্ধিত এলাকার সমন্বয়ে ৬৬ দশমিক ৫৪ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বর্তমানে ২৭টি ওয়ার্ড রয়েছে। ২০১৯ সালের হালনাগাদ ভোটার তালিকা অনুযায়ী এখানে ভোটার সংখ্যা রয়েছে এক লাখ ৪৮ হাজার ৩১৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭১ হাজার ৭৮৬ এবং নারী ৭৬ হাজার ৫৭১ জন।
সর্বশেষ ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফরিদপুর পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। শহর ফরিদপুরকে পৌরসভায় রূপান্তর করা হয় ১৯৬৯ সালে।
১৯১২ সালে ফরিদপুরের মধুখালী পৌরসভা ১২ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত হয়। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত মধুখালী পৌরসভার ভোটার রয়েছেন ১৯ হাজার ৯৯০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৯ হাজার ৯০২ জন এবং নারী ১০ হাজার ৮৮ জন।
এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য প্রার্থীদেরও ব্যাপক তোড়জোড় শুরু হয়েছে। বিশেষ করে জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ ফরিদপুর পৌরসভায় দীর্ঘদিন পর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের পাশাপাশি ভোটারদের মাঝেও ব্যাপক উৎসাহ বিরাজ করছে। এ নির্বাচনে শুধু মেয়র পদেই রাজনৈতিক দলের প্রার্থী দেয়া যাবে। কাউন্সিলর পদে সকলে স্বতন্ত্রভাবেই নির্বাচন করবেন।
ফরিদপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথু নির্বাচিত হন ২০১১ সালে। এরপর গত ৯ বছরে এখানে আর কোনো নির্বাচন হয়নি। মাঝপথে ফরিদপুর পৌরসভাবে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করার একটি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় নির্বাচন ঝুলে যায়। আর মধুখালী পৌরসভার বর্তমান মেয়র খন্দকার মোরশেদ রহমান নির্বাচিত হন ২০১৫ সালে।