বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের চিকিৎধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
মৃত হাফসা ইসলাম (১৪) এসএসকে সড়কে অবস্থিত হলি ক্রিসেন্ট স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
এর আগে বুধবার দুপুর ১টার দিকে মা মেহেরুন্নেসা (৪০) নিহত হন। এ ছাড়া ফারাহ ইসলাম (১৮) নামে একজন আহত হয়েছে। হতাহতদের গ্রামের বাড়ি মিরশ্বরাইয়ের করের হাট। নিহত মেহেরুন্নেসার স্বামী মাহবুবুল ইসলাম দুবাই প্রবাসী।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ভবনে বিস্ফোরণে মা-মেয়েসহ দগ্ধ ৩
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালে থাকা নিহত মেহেরুন্নেসার শ্বশুর আবুল কাশেম জানান, মেয়েদের স্কুল কজেলে পড়ালেখার জন্য প্রায় এক যুগ ধরে তারা শফিক ম্যানসনের পঞ্চম তলায় বসবাস করে আসছেন। বড় নাতনি ফারাহ ইসলাম ফেনী সরকারি জিয়া মহিলা কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পাশ করে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির জন্য চেষ্টা করছে। মা মেহেরুন্নেসা তাদের দেখা-শোনা ও পড়ালেখার জন্য মূলত শহরে থাকতেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৫ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কের শফিক ম্যানশন নামক ভবনে পঞ্চম তলায় বিস্ফোরণে মা মেয়েসহ তিনজন গুরুতর আহত হন। প্রতিবেশিরা তাদেরকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ীতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ নিহত ৩
ফেনীর পুলিশ সুপার খন্দকার নুরুন্নবী জানান, বাসায় গ্যাসের আগুনবিহীন চুলা ওপেন ছিল। সেখান থেকে গ্যাস লিকেজ হতে হতে দরজা জানালার গ্লাস বন্ধ থাকায় রুমগুলোতে গ্যাস ছাড়িয়ে পড়ে। তখন গ্যাস বের হতে না পেরে পুরো ভবন পূর্ণ হয়ে যায়। তখন আহত ভুগ্তভোগীদের একজন মশা মারার ইলেক্ট্রিক ব্যাট দিয়ে মশা মারার চেষ্টা করলে স্পার্ক-শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে তারা দগ্ধ হন। বিস্ফোরণের ঘটনায় মুহূর্তের মধ্যে দরজা জানালা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। যে দিকে গ্যাসের চাপ ছিল দরজা জানালা বন্ধ ছিল সেদিকেই মূলত বিস্ফোরণ হয়।