ফাতেমা লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের দক্ষিণ দলগ্রাম হাজীপাড়া গ্রামের মৃত সামছুল হকের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: শার্শায় ৫০ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের জন্য তৈরি হচ্ছে পাকা ঘর
ফাতেমার স্বামী সামছুল দুই বছর আগে মারা গেছেন। তিন মেয়েকে নিয়ে ফাতেমার সংসার। স্বামীর মৃত্যুর পর জীবিকার তাগিদে অন্যের বাড়িতে শ্রম বিক্রি করে দিনযাপন করেন ফাতেমা। সারা দিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে সন্ধ্যায় ফিরে আসেন নিজ বাড়িতে। কিন্তু বাড়ি তো নয়, এ যেন ঝোপের মধ্যে বসবাস। চারদিকে জঙ্গলের মাঝে ভাঙা ছাপরা ঘরেই চরম আতঙ্কে রাত কাটে তার।
আরও পড়ুন: মুজিব বর্ষে ঘর পাচ্ছেন ফরিদপুরের দেড় হাজার গৃহহীন পরিবার
জীবনযুদ্ধে বেঁচে থাকতে সারা দিন পরিশ্রম করার পর রাতে একটু ভালোভাবে যে ঘুমাবেন তার উপায় নেই ফাতেমার। কারণ বৃষ্টি হলেই পানিতে তার বিছানাপত্র ভেসে যায়। তবুও বেঁচে থাকার তাগিদে জরাজীর্ণ ভাঙা টিনের চালার নিচেই তাকে দিনযাপন করতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ওই ভাঙা ঘরেই প্রতিনিয়ত প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে আছেন তারা। মুজিববর্ষে তাদের একটি ঘর দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।‘
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে ঘর পেল সুনামগঞ্জের ৩০টি গৃহহীন পরিবার
ফাতেমা বেগম বলেন, ‘পেটের তাগিদে সারা দিন অপরের বাড়িতে পরিশ্রম শেষে ঘরে এসে আরামে যে ঘুমাব তাও পারি না। কখন যে ঝড়-বাতাসে ঘরটি ভেঙে পড়ে এ জন্য রাত জেগে থাকতে হয়। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি ঘর পাওয়ার আকুতি করছি।’
ফাতেমাকে ঘর দেয়ার বিষয়টি অবশ্যই ভেবে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ফেরদৌস আহমেদ।
আরও পড়ুন: কর্মকর্তার অবহেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেল না গৃহহীন পরিবারগুলো!
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল হাসান বলেন, ‘ফাতেমা বেগমের খোঁজ-খবর নিয়ে তাকে সহযোগিতা করা হবে।’