মাইকিংয়ে বলা হয়, পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত উজানগ্রাম হাইস্কুল মাঠে সব ধরনের খেলাধুলা বন্ধ থাকবে- নির্দেশক্রমে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানা।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, আশপাশের ৬-৭টি গ্রামের মধ্যে উজানগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটিই কোনোমতে টিকে আছে। এই মাঠ ঘিরে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলা এখনো টিকে আছে।
কিন্তু খেলাধুলা বন্ধের এ মাইকিং এ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার সচেতন মানুষ।
এলাকার ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, মারামারিও থামাতে হবে খেলাও চালু রাখতে হবে। খেলাধুলা না থাকলে এলাকার যুবকরা খারাপ পথে চলে যাবে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশ খেলা বন্ধ করেনি। উজানগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইকিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছেন। ৪-৫ দিন আগে ফুটবল খেলা নিয়ে দুই দল মারামারি করেছে। রবিবার গণ্ডগোল করার জন্য দুপক্ষ সময় নির্ধারণ করে। এর প্রেক্ষিতে এখানে খেলা বন্ধ রাখার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান ওসি।
উজানগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, মারামারি ঠেকাতে প্রশাসন এ ধরনের মাইকিং করার নির্দেশ প্রদান করায় তারা বাধ্য হয়েছেন।
তিনি বলেন, খেলাধুলার দরকার আছে, তবে এ নিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় কে নেবে? এ জন্য আপাতত খেলাধুলা বন্ধ রাখার পক্ষে তিনি।
তবে, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নির্বাচিত সভাপতি বদরুল আলম আন্টু জানান, দু-এক দিনের মধ্যেই আবার মাঠ খেলার জন্য দেয়া হবে। খেলায় একটু আধটু গোলযোগ হতে পারে, যেটা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের খেলাতেও হয়। কিন্তু এখানে ঘন ঘন মারামারি হচ্ছে। আর খেলা ধরে সামাজিক পক্ষ-বিপক্ষ হয়ে মারামারি করাটা দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন আন্টু।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী সদস্য রাশিদুজ্জামান খান টুটুল বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ক্রীড়ামোদী এবং সমাজপ্রীতিদের সাথে নিয়ে পুলিশের উচিত হবে মাঠটিতে খেলা চালু রাখার। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর হতে হবে।