সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ল্যাবে মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষার পর তাদের নেগেটিভ আসে।
এর আগে, সোমবার সিলেটের সীমান্তিকের ল্যাবে ২৮ যাত্রীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর পুনরায় তাদের নমূনা সংগ্রহ করে শাবিপ্রবি ল্যাবে পাঠানো হয়। সেখানে তাদের মধ্যে ২৫ জনের রিপোর্টই নেগেটিভ আসে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়াল
সিলেটের সিভিল সার্জন প্রেমানন্দ মন্ডল এই তথ্য জানিয়ে বলেন, সোমবার বেসরকারি সংস্থা সীমান্তিকের পিসিআর ল্যাবে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসা যাত্রীদের কারো কোন উপসর্গ না থাকায় পুনরায় পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মঙ্গলবার সকালে তাদের নমুনা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হলে পরীক্ষা শেষে রাতে ২৫ জনের নেগেটিভ রিপোর্ট আসে।
তিনি বলেন, দুই ল্যাবের নমুনা পরীক্ষায় রিপোর্টে কেন এতোটা তারতম্য হলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যে ২৫ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে তাদের নমুনা পুনরায় সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বুধবার জরুরি বৈঠক করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কোভিড টিকা কি মিলিয়ে মিশিয়ে ব্যবহার করা যাবে?
ভারতে দ্বিতীয় ধাপে ভ্যাকসিন নেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
এসব নমুনার সাথে যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন স্ট্রেইনের মিল আছে কিনা তাও পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, গত ২১ জানুয়ারি যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট নং বিজি-২০২ তে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে আসেন ১৫৭ প্রবাসী। সিলেটে আসার পর তাদের সেনাবাহিনী ও পুলিশের তত্ত্বাবধানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে বিভিন্ন হোটেলে রাখা হয়। পরে নমুনা পরীক্ষায় তাদের করোনা নেগেটিভ শনাক্ত হয়।
আগের নিয়ম অনুসারে, তাদের চারদিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা। এ হিসেবে সোমবার তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন থেকে ছেড়ে দিতে রবিবার নমুনা সংগ্রহ করে সিলেটে করোনা পরীক্ষায় নিযুক্ত বেসরকারি সংস্থা সীমান্তিকের ল্যাবে পরীক্ষা করানো হয়। সোমবার আসা রিপোর্টে তাদের ২৮ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়।
আরও পড়ুন: করোনার কারণে ২০০৮ সালের চেয়েও মন্দাবস্থায় চাকরির বাজার
করোনা পজিটিভ আসার পর তাদেরকে সিলেটের খাদিমপাড়াস্থ ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। তবে তাদের কারোরই তেমন কোনো উপসর্গ নেই বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।
যুক্তরাজ্যে মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন শনাক্ত হওয়ার পর থেকে বিশ্বের সঙ্গে দেশটির যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। সেখানে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় এ সতর্কতা নেয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে লন্ডনের আকাশপথে যোগাযোগ এখনও রয়েছে। গত ৪ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত মোট ৫৪৪ জন যাত্রী যুক্তরাজ্য থেকে সিলেটে এসেছেন। প্রতি সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবার বিমানের ফ্লাইট লন্ডন-সিলেট রুটে যাতায়াত করে।
আরও পড়ুন: এখনই করোনার টিকা নিতে আগ্রহী দেশের ৩২ ভাগ মানুষ: গবেষণা