বন্দরে ১২টি লাইটার জাহাজ ও বেশ কয়েকটি কার্গো জাহাজ খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে প্রায় ১১ হাজার মেট্রিট টনের বেশি ইউরিয়া সার ও গম বন্দরে আটকা পড়ে আছে। এছাড়াও কয়লা, সিমেন্ট, চালসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে আসা ছোটবড় অনেক কার্গো জাহাজ খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে।
এদিকে, ধর্মঘটে বন্দরের কয়েক হাজার কুলি ও ট্রাক পরিবহন শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। গত তিন দিন কাজ না পেয়ে তারা বসে বসে দিন পার করছেন।
বন্দরের কুলি শ্রমিক সরদার শরীফ হোসেন বলেন, 'একদিকে করোনা তার ওপর আবার ধর্মঘট । আমাদের শ্রমিকরা গত তিন দিন কাজ ছাড়া বসে আছেন।'
ট্রাকচালক আবুল হোসেন বলেন, 'সার নেয়ার জন্য ঘাটে এসেছি, কিন্তু ধর্মঘট থাকার কারণে তা নিতে পারছি না। বসে থাকতে হচ্ছে। এ ধর্মঘটের সমাধান করা দরকার।'
ফরিদপুর নৌন্দরের শুল্ক আদায়কারী নজরুল ইসলাম জানান, ধর্মঘটের কারণে লোড-আনলোড বন্ধ রয়েছে। সরকার প্রতিদিনই রাজস্ব হারাচ্ছে।
পণ্যবাহী জাহাজ ও কার্গো শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ১১ দফার দাবিতে গত সোমবার মধ্যরাত থেকে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন ধর্মঘটে যায়।