নিজের সন্তানদের কাছে না পেয়ে অভিমানে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন যুবক। ঘটনার তিন দিন পর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
সোমবার সকাল ১১টায় মৃত্যুবরণ করেন সেই হতভাগ্য বাবা। এ ঘটনায় আহত আরও দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল গ্রামে। তবে যে সন্তানদের কাছে পাওয়ার হাহাকারে নিজেকে পুড়িয়ে মেরেছেন তারা এখনো বাবার কাছে ফিরতে পারেননি বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছোট ভাইকে হত্যার পর সাতক্ষীরায় বড় ভাইয়ের ‘আত্মহত্যা’
মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম সাগর ফকির (২৭)। তিনি বাকাল গ্রামের লিয়াকত ফকিরের ছেলে।
সাগরের বাবা লিয়াকত ফকির জানান, সাগরের সাথে রাগ করে শিশু কন্যাকে নিয়ে স্ত্রী রাশিদা ৬ মাস আগে তার বাবার বাড়ি মাদারীপুরের খোয়াজপুর টেকেরেহাটে চলে যান। শুক্রবার বিকালে সাগর তার স্ত্রীর মোবাইলে মেয়েদের সাথে কথা বলতে চান। একই সাথে মেয়েদের নিয়ে স্ত্রীকে ফিরে আসতে বলেন। কিন্তু স্ত্রী ফরিদা বেগম ফিরবে না বলে জানায়। এমনকি সাগরকে তার মেয়েদের সাথে কথা বলতেও দেয় না।
আরও পড়ুন: বরিশালে ছেলের সাথে অভিমান করে মায়ের `আত্মহত্যা’
মেয়েদের সাথে কথা বলতে না পারার আক্ষেপে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় সাগর। তাকে বাঁচাতে গেলে আগুনে পুড়ে যায় সাগরের মা আমেনা বেগমের দুই হাত এবং চাচাতো ভাই রমজান ফকিরের শরীরের বেশ কিছু অংশ।
তিনি জানান, গুরুতর অসুস্থ সাগরকে দ্রুত ঢাকায় নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার মৃত্যুবরণ করে সাগর।
আরও পড়ুন: মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে বাধ্য করায় কাউন্সিলর প্রার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা
এদিকে তার চাচাতো ভাই রমজান ফকিরের শরীররের অবস্থা ভালো না হওয়ায় রবিবার ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন লিয়াকত ফকির।
তবে আহত সাগরের মা আমেনা বেগম আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার বলেন, ‘মারা যাওয়া সাগর ফকিরের লাশের ময়নাতদন্ত ঢাকায় হবে। এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ দায়ের করলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।’