রাজনীতি
চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বুধবার
দেশের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে দেশের ২৬ জেলার ৬০টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বুধবার।
এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।
৬০টি উপজেলা পরিষদের ১৮০টি পদের বিপরীতে মোট ৭২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর মধ্যে ২৫১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ২৬৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান এবং ২০৫ জন মহিলা (সংরক্ষিত) ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মঙ্গলবার (৪ জুন) নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ৬০টি উপজেলার ৫ হাজার ১৪৪টি ভোটকেন্দ্রে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ১ কোটি ৪৩ লাখ ৫৭ হাজার ৮২০ জন।
আরও পড়ুন: তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট গ্রহণ হয়েছে: কাদের
এর মধ্যে ছয়টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং বাকি উপজেলায় প্রচলিত ব্যালট পেপার ব্যবহার করা হবে।
গত ২৪ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।
সমতল জেলার প্রতিটি ভোটকেন্দ্র পাহারায় ১৭-১৯ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অতি দুর্গম এলাকার একটি ভোটকেন্দ্র ১৯-২১ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল দায়িত্ব পালন করবে।
এবার চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আয়োজন করছে নির্বাচন কমিশন। দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৫০টি উপজেলায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে কমিশন।
গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলা পরিষদে, দ্বিতীয় ধাপে গত ২১ মে ১৫৬টি উপজেলায় এবং ২৯ মে ৯০টি উপজেলায় তৃতীয় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: রাঙ্গাবালীর ৩ জনের প্রার্থিতা বহাল
৫৫৯ দিন আগে
মেটার প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তথ্যে ঘাটতি রয়েছে: আওয়ামী লীগ ওয়েবটিম
বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের জন্য মেটার ‘অকার্যকর ব্যবস্থাপনা’ উল্লেখ করে নির্দেশিকা মেনে চলতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের ওয়েব টিমের সমন্বয়কারী তন্ময় আহমেদ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও দলটির নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের নিরলস প্রবাহ রুখতে মেটার ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন তিনি। পোস্টে তন্ময় বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও তার পরিবারকে নিয়ে ফেসবুকে বহুবার বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়েছে।
ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে বিরোধীদের সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর দায়ে সম্প্রতি ৫০টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও ৯৮টি পেজ বন্ধ করে দিয়েছে মেটা। গত ২৯ মে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা বিভিন্ন দেশ থেকে ‘সংঘবদ্ধ অসত্য আচরণ’ (কোঅর্ডিনেটেড ইনঅথেনটিক বিহেভিয়ার) করার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে।
তন্ময় বলেন, ‘মেটাকে আমি বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ভিত্তিক আইআরআই-এনডিআই জরিপটি দেখতে অনুরোধ করব, যা স্পষ্ট করে যে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার শিকার হয়েছেন।’
‘এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, বিএনপি-জামায়াতের কটূক্তি ও মিথ্যা তথ্য কেবল আওয়ামী লীগ নেতাদেরই হয়রানি করেনি, সুশীল সমাজের সদস্যদেরও রেহাই দেয়নি তারা।’
আরও পড়ুন: টুইটার ও ফেসবুকে তারেক রহমানের বক্তব্যের জবাবে যা বললেন তন্ময়
এ সময় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের অভিযোগের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে উসকানি ও ঘৃণামূলক বক্তব্যের বিস্তার বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে ফেসবুক। সম্প্রদায়িক হামলায় বিএনপি-জামায়াত জোট এই প্ল্যাটফর্মটি কোনোপ্রকার বাধা ছাড়াই ব্যবহার করেছিল।
পোস্টে বাংলাদেশের ব্যাপারে ফেসবুকের বস্তুনিষ্ঠতার অভাব নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধাপরাধ-বিরোধী আন্দোলনকারীরা তাদের কণ্ঠ তুলেছে। তারা মনে করেন ফেসবুক তাদের কণ্ঠরোধ করেছে।’
এ সময় মেটার প্রতিবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, ‘যতদূর জানি, আউটসোর্সের মাধ্যমে তৃতীয় এক পক্ষকে দিয়ে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছে মেটা। কেন বিএনপির মিডিয়া সেলের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো বন্ধ হয়নি, (মেটা) কর্তৃপক্ষ সে বিষয়ে খোঁজ নিতে পারে। তৃতীয় এই পক্ষটির কথায় নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তে কেন একটি রাজনৈতিক দলের সূর প্রতিধ্বনিত হলো?’
‘এটা সবাই জানে যে, বিএনপির মিডিয়া সেল এমন কন্টেন্ট ছড়িয়েছে যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার উসকানি দেয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক চিহ্নিত হলেও তারেক রহমানের অপরাধের বিষয়টি গোপন রেখে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে। এসব বিষয়ে মেটাকে নজর দিতে দেখা যায়নি।’
বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকালে তন্ময় হামলার শিকার হন। সেসময় তার শরীরে ১৩০টির বেশি সেলাই লাগে। সেই স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘অতীতে বহুবার বিএনপি-জামায়াতের বেশ কয়েকজন কর্মী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে, কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ফেসবুক তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
পোস্টের সঙ্গে বিএনপি-সমর্থিত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো থেকে ‘সহিংসতা উস্কে দেওয়া ও বিভ্রান্তি ছড়ানো’ মিডিয়া রিপোর্টের একটি কোলাজ যুক্ত করেছেন তিনি। ছবিতে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের যেসব বিষয় মেটা দেখতে চায় না।’
৫৫৯ দিন আগে
জিয়াউর রহমানই গণতন্ত্র হত্যাকারী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমানই মূলত: গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে আর জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছে তার লোকেরাই।’
২৭ থেকে ২৯ মে এন্টিগায় ক্ষুদ্র দ্বীপ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের চতুর্থ সম্মেলনে যোগদান এবং ৩০ ও ৩১ মে যুক্তরাষ্ট্রের নিইউয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ধারাবাহিক সভা শেষে রবিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরে সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
বিএনপির সাম্প্রতিক প্রচারণা- ‘জিয়াকে হত্যায় গণতন্ত্র হত্যা হয়েছে’ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘জিয়াউর রহমানই এদেশে গণতন্ত্রের হত্যা করেছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পেছনে জিয়াউর রহমান ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত ছিল। সে কারণেই খন্দকার মোশতাক ক্ষমতা নেওয়ার পর জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন। সেনাবাহিনীর প্রধান থাকা অবস্থায় জিয়াউর রহমান রাজনৈতিক দল গঠন করেছিলেন। এটি কোনো গণতান্ত্রিক বিধি-বিধান নয়।’
এ সময় তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর সাত্তার সাহেব রাষ্ট্রপতি ছিলেন, বেগম খালেদা জিয়া সোয়া ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তারা কেন জিয়া হত্যার বিচার করল না?’
তিনি বলেন, ‘তারা নিশ্চয়ই কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরোবে বলেই জিয়া হত্যার বিচার করেনি। প্রকৃতপক্ষে জিয়াউর রহমানই গণতন্ত্রের হত্যাকারী।’
৫৫৯ দিন আগে
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা: ফখরুল
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ দিশেহারা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, 'তারা (সরকার) গত ১৫ বছরে দানবের মতো দেশ শাসন করে শুধু বাংলাদেশের রাজনীতিকেই ধ্বংস করেনি, দেশের অর্থনীতিকেও ধ্বংস করেছে। দ্রব্যমূল্যের অবস্থা কী? কোনো বাড়িতেই শান্তি নেই।’
সোমবার (৩ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, শাকসবজি, চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম এমনভাবে বেড়েছে প্রয়োজনীয় খাবার জোগাড় করাও এখন অসম্ভব হয়ে পড়ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মানুষ এখন বাচ্চাদের জন্য দুধ এবং ডিম কিনতে পারে না। প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ৮০০ টাকা এবং লাউ ১২০ টাকা। অবিশ্বাস্য অবস্থা।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশ স্বাধীনতা হারাবে: মির্জা ফখরুল
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক গবেষণার কথা উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, 'বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে জিনিসপত্রের দাম বেশি। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য জিনিসপত্রের দাম এতটাই বেড়ে গেছে যে তাদের পক্ষে বেঁচে থাকা কঠিন বলে মনে হচ্ছে। তারা গরুর মাংস কিনতে পারছে না, ইলিশ মাছ তো দূরের কথা, এমনকি দাম বেশি হওয়ায় তারা ভালো মানের সবজিও কিনতে পারছে না।’
তিনি আরও বলেন, ভারত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের চেয়ে বাংলাদেশে সয়াবিন তেল বা পাম তেলের দাম অনেক বেশি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, 'আমরা সাধারণ মানুষ এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করছি এবং এক কঠিন সময় পার করছি। পুলিশ, বিজিবি ও প্রশাসনসহ রাষ্ট্রযন্ত্রকে অবৈধভাবে ব্যবহার করে গত ১৫ বছর ধরে বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ সরকার এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।’
দেশের বর্তমান অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে এবং একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপির মহিলা শাখার নেতাকর্মীদের সোচ্চার হয়ে রাজপথে নামার আহ্বান জানান দলটির মহাসচিব।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন সময় এসেছে নিজেদের সংগঠিত করার। আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এবং নির্যাতন ও কারাবাসের শিকার হচ্ছি। আমাদের মা-বোনেরা বারবার জেলে যাচ্ছেন, কিন্তু আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে পারিনি। এই চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে হলে আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। নিজেদের মধ্যে যে ছোটখাটো ভুল ও ভুল বোঝাবুঝি থাকে তা দূর করুন। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামতে হবে।'
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ বিএনপির
এসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে তিনটি 'প্রহসনমূলক' জাতীয় নির্বাচন করে ক্ষমতাসীনরা দেশের নির্বাচনি ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে সরকারকে বাধ্য করতে ৬৪ দলের সঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি।
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এবং দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দেশত্যাগ- সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে আবারও তলাবিহীন ঝুড়ি বানিয়েছে আ. লীগ: মির্জা আব্বাস
৫৬০ দিন আগে
উপজেলা নির্বাচন: রাঙ্গাবালীর ৩ জনের প্রার্থিতা বহাল
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
তাদের পৃথক রিটের শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি মুহম্মদ মাহাবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
তিনি জানান, এ আদেশের ফলে ওই তিনজন এখন নির্বাচনে থাকছেন।
তিন প্রার্থী হলেন- চেয়ারম্যান পদে মো. সাইদুজ্জামান মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে রওশন মৃধা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফেরদৌসী পারভীন।
৩১ মে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো মহিববুর রহমানকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছিল ইসি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ১৯ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত
একই সঙ্গে ওই তিন প্রার্থীকেও হাজির হতে বলেছিল ইসি।
ইসির চিঠিতে বলা হয়েছিল, রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া ঘাটে এবং চালতাবুনিয়া ইউনিয়নের চালতাবুনিয়া বাজারে ত্রাণ বিতরণের সময় প্রতিমন্ত্রী প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তার সেই বক্তব্যটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তার ওই প্রচারমূলক কার্যক্রম উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালার লঙ্ঘন।
প্রতিমন্ত্রী ও তিনপ্রার্থী গত রবিবার ইসিতে হাজির হন।
শুনানি শেষে ইসি নির্বাচরি আচরণবিধি ভঙ্গ করায় রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ওই তিন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করে।
এছাড়া প্রতিমন্ত্রী লিখিতভাবে কমিশনের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। সেটি আমলে নিয়ে কমিশন তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়।
এরপর ওই তিন প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন।
আগামী ৫ জুন বুধবার ওই উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে।
আরও পড়ুন: তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট গ্রহণ হয়েছে: কাদের
৫৬০ দিন আগে
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশ স্বাধীনতা হারাবে: মির্জা ফখরুল
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে অস্তিত্ব হারাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘দেশকে রক্ষা করা, স্বাধীনতাকে রক্ষা করা, গণতন্ত্রকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা যদি তাদের বাধা দিতে না পারি তাহলে আমাদের স্বাধীনতা থাকবে না।’
রবিবার (২ জুন) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ফখরুল আরও বলেন, ‘আমি আমার সারা জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি... সরকারের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করতে না পারলে স্বাধীন জাতি হিসেবে আমরা টিকে থাকতে পারব না।’
এ সময় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
জিয়াউর রহমানের জীবন ও কর্মের কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'তিনি একজন দূরদর্শী ব্যক্তি ছিলেন। কীভাবে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যায়, কীভাবে সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা যায়, কীভাবে শিক্ষার্থীদের সঠিক পথে পরিচালিত করা যায় সেসবই জিয়াউর রহমান করেছেন।’
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যদি শুধু স্লোগান দিয়ে পরিচিত হন, তাহলে তার বিষয়ে সঠিক ধারণা পাওয়া যাবে না। তাকে বুঝতে হলে, জানতে হলে তার কাজের গভীরে যেতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, 'পত্রিকা খুললে লুটপাট ছাড়া আর কিছুই পাবেন না। কারা লুটপাট করছে? যারা ক্ষমতার আসনে অধিষ্ঠিত। আপনি কল্পনা করতে পারেন? সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান, আইজিপি যিনি আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে আছেন তিনি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। চোরাচালানে জড়িত সংসদ সদস্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের কথা শুনলে এবং এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের শরীরী ভাষা দেখলে মনে হয়, তারাই আমাদের প্রভু।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজ সে কোথায় গেল? পিস্তলটি দেখিয়ে বলতেন যে এটি তাকে কোনো কারণ ছাড়াই দেওয়া হয়নি, এটি তাকে ব্যবহার করার জন্য দেওয়া হয়েছিল। সে ব্যবহার করেছে... মানুষ খুন করেছে, মানুষ গুম করেছে... এখন সে কোথায়?’
ফখরুল বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। কী হাস্যকর! রাষ্ট্র কিছুই জানে না। এখন তাহলে রাষ্ট্রের এই অবস্থা।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক লুট করা হয়েছে। সোনা উধাও হয়ে গেছে; কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলারের রিজার্ভ নিয়ে নেওয়া হচ্ছে, ব্যাংক থেকে কোটি কোটি ডলার গায়েব হয়ে যাচ্ছে।’
‘আপনি কি কল্পনা করতে পারেন যে কী হচ্ছে?’ প্রশ্ন রাখেন ফখরুল।
ফখরুল বলেন, চট্টগ্রাম শাখার একটি ব্যাংক থেকে ১৪৯টি ভরি স্বর্ণ চুরি হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভোল্ট থেকে যে স্বর্ণ উধাও হয়ে যাচ্ছিল তার তুলনায় এটি আসলে কিছুই নয়। ব্যাংক থেকে টন টন স্বর্ণ উধাও হয়ে যাচ্ছে এবং হাজার হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে চলে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, 'নো কেয়ার, নো অ্যাকাউন্টিবিলিটি, কিচ্ছু না। সরকার শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ঋণ নিয়ে আমাদের অর্থনীতি পুরোপুরি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এই সরকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ঋণগ্রস্ত করে ফেলছে। এখন সেই ঋণের পরিমাণ এখন দাঁড়িয়েছে মাথাপিছু ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
রূপপুরসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্প দেশকে ঋণের ওপর নির্ভরশীল করে তুলেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'এসব প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে আমরা শেষ হয়ে যাব।’
জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল আহসান, অধ্যাপক শামসুল আলম লিটন ও ড. আবু নাছের।
৫৬১ দিন আগে
পলাতক তারেক বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছে: বেনজীর প্রসঙ্গে মন্তব্য নিয়ে ফখরুলকে কাদের
সরকারের সহায়তায় বেনজীর আহমেদ বিদেশে পালিয়েছে- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সরকারের কারা গিয়ে তাকে বিমানে তুলে দিয়েছে? কোন কর্তৃপক্ষ গিয়ে তাকে তুলে দিয়েছে? অন্ধকারে ঢিল ছুড়বেন না।’
এদেশ থেকে টাকা পাচারের সংস্কৃতি ও অর্থনীতি বিএনপির আমল থেকে শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় এলে বিএনপি নেতারা অবৈধভাবে টাকা উপার্জনের মহোৎসবে মেতে ওঠে। এটা দেশে ও বিদেশে প্রতিষ্ঠিত সত্য।’
‘২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়। পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে বিএনপির দণ্ডিত পলাতক নেতা তারেক রহমান বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছে।’
রবিবার (২ জুন) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: বিএনপি দুর্নীতি ও লুটপাটের ওস্তাদ: ওবায়দুল কাদের
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বেনজীর আহমেদ বিদেশে থাকলেও বিচার চলবে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে দেশে ফিরতেই হবে। সরকার কোনো ছাড় দেবে না।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বেনজীর আহমেদের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করছে। তদন্ত, মামলা, গ্রেপ্তার- সবকিছু একটা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। সরকার এখানে দুদককে এড়িয়ে আগ বাড়িয়ে কেন ব্যবস্থা নেবে? সরকারের দুর্নীতিবিরোধী যেসব সংস্থা আছে তাদের কোনো ব্যর্থতা থাকলে তার বিচার হবে।’
এ সময় বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এদেশে ৭৫ পরবর্তীকালে কোনো শাসক ও সরকার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সৎ সাহস দেখাতে পারেনি। শেখ হাসিনার সরকার সেটি দেখিয়েছে। ব্যক্তি দুর্নীতি করতে পারে। তবে দুর্নীতি করার পর সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি কী- সেটা দেখতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দুর্নীতি কোনো দেশে হয় না- এই দাবি কেউ করতে পারে না। আমাদের দেশের যিনি প্রধানমন্ত্রী, সরকারপ্রধান তিনি কোনো ধরনের দুর্নীতি করেন বা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন- এমন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে কেউ দিতে পারেনি। শেখ হাসিনা আপাদমস্তক সৎ রাজনীতিক- এটা বিশ্বে স্বীকৃত। তার জনপ্রিয়তার মূলে তিনি অত্যন্ত পরিশ্রমী ও সৎ জীবনযাপন করেন।’
আরও পড়ুন: আজিজ-বেনজীরকে নিয়ে বিব্রত নয় সরকার: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির নেতা তারেক রহমানই দণ্ডিত পলাতক, চিহ্নিত অপরাধী। এমন লোক যে দলের নেতৃত্ব দেয়, সেই দল জনগণের কল্যাণে কাজ করতে পারে না। জনগণের বিশ্বাসও রাখতে পারে না।’
‘তারা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। দুর্নীতিবাজদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিতেই বিএনপি নিজেদের গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা বাদ দিয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, উপ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।
৫৬১ দিন আগে
বেনজির কীভাবে সিঙ্গাপুরে গেলেন- প্রশ্ন ফখরুলের
বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থাকার পরও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যর কীভাবে দেশ ছাড়লেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, এই ঘটনা ‘অন্যায়কারীদের ছাড় দেওয়া হবে না’ ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের এমন বক্তব্যকে নিছক লোকদেখানো ও প্রতারণা বলে প্রমাণ করে।
শনিবার (১ জুন) এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, 'আমি একটি গণমাধ্যমে দেখলাম, বেনজীর (সাবেক আইজিপি) ও তার পরিবার ৪ মে দেশ ছেড়ে সিঙ্গাপুরে গেছেন। যাওয়ার আগে তিনি তার সব ব্যাংক হিসাব খালি করে প্রায় ৬০ কোটি টাকা উত্তোলন করেন। টাকার পরিমাণ আরও বেশি কিনা জানি না।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, 'আমার প্রশ্ন, তিনি কীভাবে দেশ ছাড়লেন? সুতরাং তার সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও ব্যাংক হিসাব জব্দ করার জন্য আদালতের আদেশ এবং তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলা দায়েরের পদক্ষেপের তাৎপর্য কী? যখন তাকে বলা হলো তাকে কোথাও যেতে দেওয়া হবে না, তখন তিনি কীভাবে সরকারের নাকের ডগার উপর দিয়ে সিঙ্গাপুর গেলেন?’
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারাও মন্তব্য করেছেন, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, 'তারা (সরকার) কি মনে করেন সব মানুষই বোকা? বাংলাদেশের মানুষ অবিবেচক নয়, কারণ তারা বোঝে এগুলো আপনাদের লোকদেখানো ও প্রতারণা। আপনারা ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে দেশ শাসন করছেন।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে আবারও তলাবিহীন ঝুড়ি বানিয়েছে আ. লীগ: মির্জা আব্বাস
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, সরকার শুধু বেনজীর ও আজিজ আহমেদকে (সাবেক সেনাপ্রধান) লালন-পালনই করেনি, বরং অসংখ্য দুর্নীতিবাজকে প্রশ্রয় দিয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে লুটপাটের নিরাপদ স্বর্গে পরিণত করেছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘ আমাদের অবশ্যই এদের থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের জনগণের সংগ্রাম ও লড়াইয়ের মাধ্যমে সর্বত্র ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাওয়া এই দানবকে আমরা পরাজিত করব, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব এবং সত্যিকারের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব।’
ফখরুল বলেন, বিএনপি অনেকগুলো বিরোধী দলের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
সংগ্রামে বিজয় ও সফলতা অর্জন করতে হবে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত লক্ষ্য থেকে বিএনপি কখনো পিছপা হবে না।
ফখরুল বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য অবিচল থাকবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কৌশলগুলো পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। আমরা তাদের সবাইকে সংগঠিত করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি। আমরা বিশ্বাস করি, আমরা ব্যর্থ হইনি। আমরা আবার কাজ শুরু করেছি। ইনশাল্লাহ, বিজয় আমাদের হবে, আমরা সত্য ও ন্যায়ের পথে লড়াই করছি।’
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ বিএনপির
৫৬২ দিন আগে
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ বিএনপির
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি বলেছে, সরকার দেশের মানুষকে কষ্ট দিতেই জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার জনগণের বেঁচে থাকার জন্য কোনো অবকাশ রাখেনি। পানি, ডিজেল, গ্যাস, পেট্রোল ও অকটেনের দাম বাড়ানো হয়েছে। জনগণের দুর্ভোগ বাড়াতে সরকার জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে’
শুক্রবার (৩১ মে) ওয়াসার পানির মূল্য ১০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরেকটি প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি আরও বলেন, ‘জনগণ সরকারের জন্য একটি পাইলট প্রকল্প। তারা মনে করে, জনগণের রক্ত চুষে নিয়ে তারা এই প্রকল্পকে বিশ্বের সব স্বৈরশাসকের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারবে।’
পানি, জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন ইউটিলিটি সার্ভিসের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব।
বগুড়ায় পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি এবং তারেক রহমানের ম্যুরাল ধ্বংসের প্রতিবাদে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বিএনপির শ্রদ্ধা
রিজভী বলেন, পানির অপর নাম জীবন। অথচ সরকার মানুষকে পানি থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে।
ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তিনি এতটাই ক্ষমতাশালী যে বিদেশে বসে অফিস পরিচালনা করেন।
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির নানা অভিযোগ থাকার পরও বারবার তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে, এটাই প্রমাণিত হয় কেন সরকার প্রধান এমন ব্যক্তিদের নিয়োগ দেন। তারা সরকারের উদ্দেশ্য সাধন করে এবং তাদের অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করে। এজন্য তারা পানির দাম বাড়িয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন ও নিপীড়নের জন্য সরকার বেনজীর আহমেদকে পুলিশের মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতি দিয়েছিল।
সরকার বেনজীর ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের অপকর্মকে উপেক্ষা করেছিল। কারণ তারা সরকারকে অবৈধভাবে ক্ষমতায় রাখার জন্য নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন।
এই সরকার সিন্ডিকেট ও মাফিয়াবান্ধব উল্লেখ করে রিজভী বলেন, তাদের অপকর্মের দায় তাদেরকেই (সরকার) নিতে হবে।
তিনি বলেন,‘একদিন তাদের সবার বিচার হবে জনগণের আদালতে। জনগণ তাদের অপকর্মের বিচার করবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে আবারও তলাবিহীন ঝুড়ি বানিয়েছে আ. লীগ: মির্জা আব্বাস
৫৬৩ দিন আগে
বাংলাদেশকে আবারও তলাবিহীন ঝুড়ি বানিয়েছে আ. লীগ: মির্জা আব্বাস
আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাট করে দেশকে আবারও তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, 'জিয়াউর রহমানের নাম শুনলে অনেকে আঁতকে ওঠেন, কারণ তিনি যা করেছেন, তা তাদের (আওয়ামী লীগ) করার কথা ছিল।’
গণ দোয়া অনুষ্ঠানে বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তার মাত্র সাড়ে তিন বছরের সংক্ষিপ্ত শাসনামলে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির অবস্থা থেকে উদ্ধার করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘এই সরকার সেই বাংলাদেশকে আবারও তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে।’
শুক্রবার (৩১ মে) বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই কর্মসূচির আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আসা বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মোনাজাতে অংশ নেন।
তারা জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনা করে মোনাজাত করেন।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আকাশছোঁয়া দাম সামাল দিতে দেশের মানুষ যখন চরম সংকটে, তখন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
আরও পড়ুন: দেশ এখন মাফিয়া-লুটেরাদের কবলে: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘পত্রিকায় দেখলাম জ্বালানির দাম লিটারে আড়াই টাকা বাড়ানো হয়েছে। সব পণ্যের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির কারণে মানুষ যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখন এই দাম বাড়ানো হলো।’
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রব্যমূল্য আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়লে মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।’
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে দেশের জনগণকে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। ‘আমরা শুনতাম যে বর্গিরা দেশে আসত এবং লুট করা জিনিসপত্র ও সম্পত্তি নিয়ে পালিয়ে যেত। এখন নতুন বর্গিরা (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায়। তারা লুটপাট করে দেশ ছাড়ে না, সম্পদ ও অর্থ দেশের বাইরে পাচার করে।’
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বিএনপির শ্রদ্ধা
৫৬৩ দিন আগে