রশিদ খান মাত্র ৩২ বলে ৫৭ রানের হার না মানা ইনিংস উপহার দেন। ৮টি চার এবং ১টি বিশাল ছয়ে সাজানো তার ইনিংসটি।
অন্যদিকে গুলবাদিন নায়েব ৩৮ বলে ৫টি চারে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন। ৯ দশমিক ১ ওভারে তাদের এই জুটিতেই আসে ৯৫ রান।
বৃহস্পতিবার আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান।
শুরুর দিকে অভিষেক হওয়া আবু হায়দার রনি দুই উইকেট তুলে নিয়ে আফগানদের চেপে ধরেন। ইহসানুল্লাহকে ব্যক্তিগত ৮ রানে মিথুনের তালুবন্দী এবং রহমত শাহকে বোল্ড করেন তিনি।
পরে হাসমতউল্লাহ শাহীদি এবং মোহাম্মদ শাহজাদের মধ্যে ৫১ রানের জুটি গড়ে ওঠে। এই জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান।
ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে ওঠা ওপেনার শাহজাদকে ব্যক্তিগত ৩৭ রানে রনির তালুবন্দী করেন সাকিব। ব্যক্তিগত ৮ রানে আসগার আফগানকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন সাকিব। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলছিলেন হাসমতউল্লাহ শাহীদি। ব্যক্তিগত ৫৮ রানে রুবেলের শিকার হন তিনি।
এরপর সামিউল্লাহ (১৮) এবং মোহাম্মদ নবীকে (১০) ফিরিয়ে আফগান শিবিরকে আরো চেপে ধরেন সাকিব। আফগানদের স্কোর তখন ৪০ দশমিক ৫ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬০। এরপরই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন রশিদ খান এবং গুলবাদিন। দলকে টেনে নিয়ে যান আড়াইশোর ঘরে। এক সময়ে মনে হয়েছিল ২০০ রানের আগেই অলআউট হবে আফগানরা। তবে এই দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটে ভর করে ২৫৫ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান।
এদিকে আজকের ম্যাচে রনি ছাড়াও বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর। অন্যদিকে বিশ্রাম দেয়া হয়েছে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ও আগের ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করা মুশফিকুর রহিম ও পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে।
এছাড়া প্রায় সাড়ে তিন বছর পর ওডিআই একাদশে জায়গা পেয়েছেন মুমিনুল হক।
বাংলাদেশ একাদশ: মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), লিটন দাস, মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিথুন, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোসাদ্দেক হোসেন, নাজমুল হোসেন শান্ত, রুবেল হোসেন ও আবু হায়দার রনি।
আফগানিস্তান একাদশ: মোহাম্মদ শাহজাদ, ইহসানুল্লাহ, রহমত শাহ, আসগার আফগান, হাসমতউল্লাহ শাহীদি, মোহাম্মদ নবী, সামিউল্লাহ সিনওয়ারি, গুলবাদিন নায়েব, রশিদ খান, আফতাব আলম এবং মুজিব উর রহমান।