পুলিশের ভাষ্য, চট্টগ্রাম ইসলামী ছাত্রশিবিরের অফিস থেকে ৬টি ককটেল ও বোমা তৈরির গান পাউডার, পেট্রোল উদ্ধার ঘটনায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার বাদী এসআই আনিসুর রহমান বলেন, অভিযান চালিয়ে শিবির অফিস থেকে ককটেল ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্রশিবির মহানগর উত্তরের সভাপতি আব্দুল জব্বার, সাধারণ সম্পাদক আ স ম রায়হান, বায়তুল মাল সম্পাদক হামেদ হাসান এলাহী, আমান উল্লাহসহ ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৩৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর চকবাজার থানাধীন চন্দনপুরা এলাকায় শিবিরের মহানগর কার্যালয়ে পুলিশ ব্লক রেইড চালায়। এসময় অফিসের ভেতরে কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপরই কয়েকশ পুলিশ পুরো এলাকা ঘেরাও করে শিবির অফিসে তল্লাশি চালিয়ে ৬টি ককটেল আধা কেজি গান পাউডার, আড়াই কেজি পেট্রোল উদ্ধার করেছে বলে দাবি করে পুলিশ। কিন্তু সেখান থেকে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে শিবিরের দেয়া এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, শিবিরের কার্যালয়ে বিস্ফোরণের পর পুলিশের তল্লাশিকালে ৬টি ককটেল ও বোমা তৈরির বিস্ফোরক ও সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনা পুলিশের একটি সাজানো নাটক। সম্প্রতি সিএমপিতে যোগ দেয়া পুলিশের এডিসি মেহেদী হাছান নিজের কর্তৃত্ব দেখাতে অতি উৎসাহিত হয়ে এ অভিযান চালিয়েছে। দলের দাবি যে অফিসে অভিযান চালিয়েছে সেটি গত ৮ বছর যাবৎ বন্ধ রয়েছে। সেখানে কোন মালামাল নেই।