সোমবার সকালে সীমান্তের ওপারে ভারতীয় অংশে তার ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ভারতের কৃষ্ণনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
নিহত ওমিদুল নাস্তিপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে। তার লাশ ফেরত চেয়ে সীমান্তে পতাকা বৈঠক করেছে বিজিবি-বিএসএফ।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম জাকারিয়া জানান, নাস্তিপুরের কৃষকরা সীমান্ত সংলগ্ন মাঠে কাজ করতে গিয়ে ভারতের বিজয়নগর অংশে ওমিদুলের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে এ বিষয়ে বিজিবির স্থানীয় বিওপি ক্যাম্পে খবর দেয়া হয়।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানান, ওমিদুলের লাশ দেখে ধারণা করা হচ্ছে যে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার নামে দামুড়হুদা থানায় বেশ কয়েকটি মাদক ও চোরাচালানের মামলা রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমাম হাসান বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে বিএসএফের কমান্ডার হোমেশ্বর সিং জানিয়েছেন, চোরাচালানীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে ওমিদুল খুন হতে পারেন। ময়নাতদন্তের পর লাশ ফেরত দেয়া হবে।
নিহতের বাবা আব্দুল মালেক জানান, রবিবার সন্ধ্যায় ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হন ওমিদুল। এরপর রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। সকাল ১০টার দিকে ভারতের বিজয়নগর অংশে তার লাশ পড়ে থাকার খবর পাওয়া যায়।