সোমবার দুপুরে দুদক সদরদপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংস্থার চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দুদকের আইনি শাখার পরিচালক আবু হাসনাত মো. আবদুল ওয়াদুদের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি পুরো ঘটনাটি তদন্ত করবে।
গত তিন বছর ধরে জেলে থাকা জাহালম হাইকোর্টের আদেশে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। রবিবার রাত ১টার দিকে কাশিমপুর কারাগার-২ থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।
কাশিমপুর কারাগারের জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, রাতে জাহালমের মুক্তি সংক্রান্ত কাগজপত্র আদালত থেকে কাশিমপুর কারাগারে এসে পৌঁছে। পরে তা যাচাই বাছাই ও আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
এ সময় কারাফটকে জাহালমের ভাই সাহানুর মিয়াসহ পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তি লাভের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জাহালম জানান, দুদুকের ভুলে তিনি বিনা কারণে তিন বছর জেল খেটেছেন। এ জন্য যারা দায়ী তাদের কঠিন বিচার দাবি করেন তিনি।
জাহালমের ভাই সাহানুর মিয়া বলেন, ‘যাদের ভুলের কারণে আমার ভাই জেল খেটেছে তাদের বিচার এবং ক্ষতিপূরণ চাই।’
এর আগে রবিবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক আদেশে তিন বছর ধরে জেল খাটা নিরীহ জাহালমকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়।
‘৩৩ মামলায় ভুল আসামি জেলে: স্যার, আমি জাহালম, সালেক না’ শীর্ষক প্রতিবেদন একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হলে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ রুল জারি করেন।
প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সোনালী ব্যাংকের ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে ৩৩ মামলায় মূল অভিযুক্ত আসামি আবু সালেকের বদল তিন বছর ধরে জেল খেটেছেন পাটকল শ্রমিক জাহালম।