প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত নতুন উড়োজাহাজটিতে ওঠেন এবং ককপিটসহ বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।
এসময় মহান আল্লাহর রহমত এবং দেশের অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল বোয়িং সদরদপ্তরের পেনফিল্ড বিমানবন্দর থেকে গত রবিবার ঢাকায় আসে ২৭১ আসন বিশিষ্ট ড্রিমলাইনারটি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া বোয়িংয়ের সর্বাধুনিক সংস্করণের এই উড়োজাহাজটির জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজে ‘হংসবলাকা’ নামটি পছন্দ করেন।
কর্মকর্তারা জানান, ড্রিমলাইনার ‘হংসবলাকা’ আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা হতে বিভিন্ন রুটে চলাচল শুরু করবে। প্রথম দিন এটি ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশ্যে উড়াল দেবে।
ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি দিয়ে ঢাকা-লন্ডন, ঢাকা-দাম্মাম ও ঢাকা-ব্যাংকক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে বলে জানান কর্মকর্তারা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স গত ১৯ আগস্ট তাদের প্রথম ড্রিমলাইনার হাতে পায়। চুক্তি অনুযায়ী আগামী সেপ্টেম্বরে আরও দুটি ড্রিমলাইনার বিমানের কাছে হস্তান্তর করবে বোয়িং।
গড়ে ৬৫০ মাইল গতিতে টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম ড্রিমলাইনার চালাতে অন্যান্য উড়োজাহাজের তুলনায় ২০ শতাংশ কম জ্বালানি লাগে। ৪৩ হাজার ফুট উচ্চতা দিয়ে চলা এই উড়োজাহাজে থাকছে ওয়াইফাই সুবিধা, যা ব্যবহার করে যাত্রীরা ইন্টারনেট ব্রাউজ বা বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে থাকা বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে মার্কিন প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির কাছ থেকে ১০টি নতুন উড়োজাহাজ ক্রয়ের জন্য ২ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি করে। বোয়িং ইতিমধ্যে চারটি ৭৭৭-৩০০ইআর, দুটি ৭৩৭-৮০০ এবং দুটি ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানের কাছে হস্তান্তর করেছে।
বাকি দুই ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ এবং ‘গাঙচিল’ আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ বিমানের বহরে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
বেসামরিক বিমান পরিহবন ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল এবং মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ফারুক খান এসময় উপস্থিত ছিলেন।