উপজেলার খারাকান্দি গ্রামে শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধ গৃহবধূ ঘটনাস্থলে এবং ভাগনি শনিবার দুপুরে বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
নিহত সুরমা (২৮) বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেউলা এলাকার রফিকের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, ছয় মাস আগে সুরমার সাথে রফিকের বিয়ে হয়। তৃতীয়বারের মতো বিয়ে করা রফিক তেমন কোনো কাজ করতেন না। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বনিবনা হচ্ছিল না। বিষয়টি নিয়ে সালিশও হয়।
কয়েক দিন আগে সুরমাকে রেখে রফিক চলে যায়। পরে সুরমা বড় বোন আংকুরা বেগমের (৩৮) বাড়িতে উঠেন। শুক্রবার রাতে সুরমা, আংকুরা ও আংকুরার মেয়ে খাদিজা (৮) এক বিছানায় ঘুমিয়ে ছিল।
আংকুরা জানান, রাত দেড়টার দিকে ঘরের পেছনে সিঁধ কেটে ভেতরে প্রবেশ করেন রফিক। পরে তিনি বিছানায় পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলে সুরমা ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর আংকুরা ও খাদিজা পুড়ে গিয়ে মারাত্মক আহত হয়। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে এবং তাদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।
পরে দগ্ধ মা ও মেয়েকে বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দুপুরে মেয়ে খাদিজার মৃত্যু হয়। দগ্ধ মা ও মেয়ের শরীরের ৭০ ভাগের বেশি পুড়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন ভোলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক রথীন্দ্র নাথ মজুমদার।
জেলা পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন বলেন, রাতে খবর পাওয়ার পর থেকে দুজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মুখীন করা হবে।