ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, ‘বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিবদের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছে তাকে আমরা স্বাগত জানাই।’
বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে সংবাদ সম্মেলনে রবীশ কুমার বলেন, ‘আমি মনে করি এটা এক ভালো শুরু। আমরা আশা করি যে এই প্রক্রিয়া গতি পাবে। কারণ উদ্বাস্তু মানুষগুলোর নিরাপদ, দ্রুত ও স্থায়ীভাবে ফেরার জন্য রাখাইন রাজ্যের পরিবেশে আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে।’
ভারত বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া উদ্বাস্তুদের নিরাপদ, দ্রুত ও স্থায়ীভাবে মিয়ানমারে ফেরার পক্ষে বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি।
রবীশ কুমার জানান, ভারত উভয় দেশে কাজ করছে। তারা উদ্বাস্তুদের চাহিদা পূরণে বাংলাদেশে মানবিক সাহায্য দিচ্ছে। অন্যদিকে, উদ্বাস্তুদের ফিরে যাওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি করতে মিয়ানমারেও কাজ করছে তারা।
মধ্য নভেম্বর নাগাদ রোহিঙ্গাদের প্রথম ব্যাচের প্রত্যাবাসন শুরু করতে গত মঙ্গলবার একমত হয় বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। এ দিন রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন মেঘনায় দুদেশের মধ্যে সচিব পর্যায়ে তৃতীয়বারের মতো জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।