প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাংক কর্মকর্তা ফারুক হাসান (৩৩) তার প্রেমিকা কলেজ শিক্ষিকা সাজিয়া বেগমকে (৩৪) হত্যা করে নিজে গলায় দড়ি দিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছিলেন।
প্রতিবেদনে মামলার একমাত্র আসামি সাজিয়ার স্বামী শেখ শহীদুলকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) বিপুল দে জেলার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মাসুদ আলীর আদালতে গত বুধবার এ প্রতিবেদন জমা দেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম বলেন, ঘটনাস্থলে তৃতীয় কিংবা তার অধিক কোনো ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন কি না তা জানার জন্য ঢাকায় সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে ডিএনএ’র নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছিল। ডিএনএ প্রতিবেদনে তৃতীয় কোনো ব্যক্তির উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৬ মে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলী মহল্লায় নুরুল ইসলামের বাড়ির নিচ তলার একটি কক্ষ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাজিয়া এবং সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো ফারুকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ৭ মে রাতে সাজিয়ার ফুপু আফসারী আহমেদ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।