রবিবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের দুই লাখ ৭৯ হাজার ২৭২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রী ২ লাখ পাঁচ হাজার ২৯০ জন ও ছাত্র ৭৩ হাজার ৯৮২ জন। আজ ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে উপবৃত্তি বাবদ ১৩৬ কোটি ৮৪ লাখ ৩২ হাজার ৮০০ টাকা এবং অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টিউশন ফি বাবদ ১৪ কোটি ৩৯ লাখ ৮৫ হাজার ৬০০ টাকাসহ মোট ১৫১ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৪০০ টাকা বিতরণ করা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন ১২ জন শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে ৪,৯০০ টাকা করে প্রদানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, ‘আজই (রবিবার) প্রত্যেকের হাতে টাকা চলে যাবে। যাদেরকে উপবৃত্তি দেয়া হলো, তারা যেন তা পায় এটি নিশ্চিত করতে হবে। ভবিষ্যতে বৃত্তির পরিমাণ ও সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে।’
উপবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম জাকির হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনজুর মফিজ।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৪৬ হাজার ১৯২ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৪১১ কোটি ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ৯৪০ টাকা উপবৃত্তি বাবদ বিতরণ করা হয়েছে। তার মধ্যে ৬ লাখ ৩২ হাজার ৭৫২ জন ছাত্রীকে মোট ৩৪৮ কোটি ৬৬ লাখ ১০ হাজার ৬৪৩ টাকা এবং ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৪০ জন ছাত্রকে ৬২ কোটি ৫০ লাখ ৩৮ হাজার ২৯৭ টাকা উপবৃত্তি বাবদ প্রদান করা হয়েছে। এ ট্রাস্ট থেকে এম ফিল ও পিএইচডি কোর্সে ফেলোশিপ ও বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।