তিনি বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের বড় ব্যবসায়িক অংশীদার। করোনাভাইরাস নিয়ে বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক বিরাজ করছে। বাংলাদেশও বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’
সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, দেশের আমদানি ও রপ্তানির সাথে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বাণিজ্য সচিব বৃহস্পতিবার বৈঠক করেছেন। সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ের ওপর নজর রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে এফবিসিসিআই চীনের সাথে বাণিজ্য বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দেবে। এ প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সরকার পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে।
তৈরি পোশাক খাতের কাঁচামালসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে এ মুহূর্তে কোনো সমস্যা নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস সমস্যা দীর্ঘায়িত হলে চিন্তা করতে হবে। চীনের সাথে যেসব খাতে বাণিজ্য রয়েছে বিশেষ করে বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএসহ সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে কাজ করছে। অল্প কিছু দিনের মধ্যে (পরিস্থিতি) বুঝা যাবে। ব্যবসায়ীরা বিষয়টি পর্যালোচনা করছেন। যথা সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
উভয় দেশের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের প্রভাব পর্যালোচনা করে সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ সমস্যা বেশি দিন অব্যাহত থাকলে আগামী দিনের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তথা সরকার এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর সব দেশ বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করছে। বাংলাদেশ সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ বিষয়ে কাজ করছে।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।