মঙ্গলবার দুপুরে তারা ‘মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ছাত্র ফোরাম, চট্টগ্রাম মহানগর শাখা’ ব্যানারে কাজীর দেউড়ির সার্কিট হাউজ এলাকায় মানববন্ধন শেষে জাদুঘরের গেটের সামনে লাগানো সাইনবোর্ড থেকে জিয়ার নাম মুছে দেন।
তারা গেটে শিক্ষা উপমন্ত্রী ও সাবেক সিটি মেয়র মরহুম এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ছেলে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেলের ছবিসহ একটি ব্যানার লাগিয়ে দিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ছাত্র ফোরামের সভাপতি ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য আবদুর রহিম শামীমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক রাহুল দাশের পরিচালনায় মানববন্ধন ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, জিয়া একজন বিতর্কিত নেতা, তার নামে কখনও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি জাদুঘর হতে পারে না। স্বাধীনতা দিবসের আগে এ জাদুঘরের নাম পরিবর্তন করে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর নামকরণ করতে হবে।
এর আগে সোমবার ঢাকায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরকে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর করার প্রস্তাব দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল।
এ বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘জিয়া স্মৃতি জাদুঘরকে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর করা হচ্ছে। এটি চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। আমি এ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে প্রস্তাবনা দিয়েছি। যেহেতু সবার সম্মতি আছে, তাই এখন লিখিত প্রস্তাবনা দিলে হয়ে যাবে।’
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে কিছু সংখ্যক সেনা কর্মকর্তাদের হাতে নিহত হন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। ১৯৯১ সালে তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ১৯৯৩ সালে সার্কিট হাউজটিকে জিয়া স্মৃতি জাদুঘর করা হয়।
এদিকে জাদুঘরের নাম পরিবর্তন ও ছাত্রলীগ কর্তৃক সাইনবোর্ড মুছে ফেলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সুফিয়ান।
তিনি বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার নাম মুছে ফেলতে এবং তার দল বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে বর্তমান সরকার নানা অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। সাইনবোর্ড মুছে কিংবা নাম পরিবর্তন করে এ দেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয় থেকে শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলা যাবে না।’