তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন নির্বাচনে জনগণের আস্থা নেই। তাই জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সরকারকে বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নিরপেক্ষ কমিশন গঠনের মাধ্যমে নতুন নির্বাচন দিতে হবে।’
শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজীর দেউড়িতে নূর আহমদ সড়কে দলীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম উত্তর-দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে বারবার গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন খালেদা জিয়া। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বারবার গণতন্ত্র ধ্বংস করে স্বৈরাচারীভাবে দেশ চালাচ্ছে। তারা গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠিয়েছে।
তিনি অবিলম্বে বিএনপি প্রধানের মুক্তি দাবি করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে বেগম জিয়াকে বিনা দোষে কারাগারে আটকে রেখেছে।’
বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানো জন্য নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, সরকার বা আওয়ামী লীগের কাউকে বন্যাদুগর্ত মানুষদের পাশে দেখা যাচ্ছে না।
‘আমাদের গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়তে হবে। জনগণকে নিয়ে গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে হবে। জনগণের কাছে গিয়ে একযোগে কাজ করতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
‘আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র ও জনগণকে ভয় পায় বলে জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চায়,’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। আজও তারা মানুষকে হত্যা করছে।’
চলতি অর্থবছরের বাজেটকে গরিব মারার বাজেট হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, বাজেটের পরপরই দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে। দেশ ঋণের বোঝার মধ্যে পড়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. শাহজাহান, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস প্রমুখ।
এর আগে সমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মী মিছিল নিয়ে কাজীর দেউড়িতে আসতে থাকেন। নগরী ছাড়াও জেলার ১৪ থানা এবং ফেনী, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িসহ বিভাগের অন্যান্য জেলার নেতা-কর্মীরা সমাবেশে যোগ দিয়েছেন বলে বিএনপির নেতারা জানান।
সমাবেশস্থলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন।