তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বক্তব্য নাচতে না জানলে উঠান বাঁকার মতো। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তাদের যে ধস নামানো পরাজয় হয়েছে এরপর তারা আসলে নির্বাচনে যাওয়ার সাহস পাচ্ছে না। এটি হচ্ছে মূল বিষয়।’
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রচার কমিটির সভা শেষে হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, কে নির্বাচনে অংশ নেবে, কে নেবে না, এটা তার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেয়া প্রকৃতপক্ষে আত্মহননের মতো সিদ্ধান্ত ছিল। আগামী উপজেলা নির্বাচনেও যদি তারা অংশ না নেয় তাহলে সেটিও ২০১৪ সালের মতো আত্মহননের সিদ্ধান্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কারও জন্য থেমে থাকবে না। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তারা (বিএনপি) অংশগ্রহণ করেনি, কিন্তু সেই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে সরকার গঠিত হয়েছিল। যে সরকার পাঁচ বছর দেশ পরিচালনা করেছে। সুতরাং উপজেলা নির্বাচনেও যদি তারা না যায়, নির্বাচন থেমে থাকবে না।’
বিএনপি দলগতভাবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও তাদের অনেক নেতা নির্বাচনে অংশ নেবেন বলে দাবি করেন মন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ জানান, আওয়ামী লীগের প্রচার কমিটিকে আবারও পুনর্গঠিত করে বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময় এবং সাবেক ছাত্রনেতা সুজাতুর রহমান, মাসুদুর রহমান ও সালাউদ্দিন রিপনকে প্রচার উপ কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শেখ তন্ময় প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।