তিনি বলেন, ‘বিএনপির নির্বাচন প্রক্রিয়াই ছিল ত্রুটিযুক্ত। তারা তো নির্বাচনী প্রচারে নামেনি। ফখরুল সাহেব (বিএনপি মহাসচিব) নির্বাচিত হয়েছেন, সেটা ভালো। আমি তাকে স্বাগত জানাই। তবে তিনি মহাসচিব হিসেবে যথেষ্ট ব্যর্থ হয়েছেন।’
‘ফখরুল সাহেব বলেছেন ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন ছিল গণতন্ত্রের জন্য মহাবিপর্যয়ের দিন। আসলে তা নয়। এটা ছিল বিএনপির জন্য মহাবিপর্যয়ের দিন। তাদের উচিত দিনটিকে নিজেদের বিপর্যয়ের দিন হিসেবে পালন করা,’ যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।
বুধবার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, যদি নেতিবাচক রাজনীতি না থাকত তাহলে রাষ্ট্র আরও অনেক দূর এগিয়ে যেত। গেল ১০ বছর বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতি করেছে। সমালোচনা করার প্রয়োজন আছে। কিন্তু সমালোচনা যখন অন্ধ সমালোচনা হয় তখন তা কল্যাণকর হয় না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা যখন সংঘাতে রূপ নেয় তখন রাষ্ট্রের বড় ক্ষতি হয়।
বিএনপি কোনো কাজের প্রশংসা করে না জানিয়ে তিনি বলেন, তারা সব কাজে সমালোচনা করে। এটা দেশকে পিছিয়ে দেয়। দেশে সাংঘর্ষিক রাজনীতির অবসান হওয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত দরকার। আজ যে হরতাল অপ্রয়োজনীয় হয়ে গেছে তা গণমাধ্যমের কারণে সম্ভব হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ খাদ্যে উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মাথাপিছু আয় তিনগুণ বেড়েছে। আমরা এখন এমন জায়গায় গিয়েছি যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন যে তারা বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে কেন।
‘কেউ বিশ্বাস করুক আর না করুক, দেশ কিন্তু বদলে গেছে। বিশ্বে হাতেগোনা কয়েকটি দেশ প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের উপরে ধরে রাখতে পেরেছে। তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলা বাংলাদেশ নিয়ে মানুষ প্রশংসা করে। অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীরা বাংলাদেশকে নিয়ে প্রশংসা করেন,’ যোগ করেন তিনি।
সাংবাদিকদের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই সাংবাদিক ভাই-বোনদের পরামর্শ নিয়ে তাদের সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি। প্রথম মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে নবম ওয়েজবোর্ড নিয়ে গঠিত মন্ত্রিসভার কমিটির বিষয়টি উত্থাপন করেছি। সাত সদস্যের মন্ত্রিসভা কমিটি পাস হয়েছে।’
সাংবাদিকদের কল্যাণে আরও কী কী প্রকল্প নেয়া যায় সে বিষয়ে চেষ্টা চলছে এবং টেলিভিশন সাংবাদিকদের কীভাবে ওয়েজবোর্ডে আনা যায় তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়া সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের কার সঙ্গে কে কথা বলে সংবাদ প্রচার করছে তা তদন্ত করার প্রয়োজন আছে। তারা নির্বাচনের পর সেটি ভালো হওয়ার কথা বলেছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।