ক্রিকেট
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে চায় বাংলাদেশ
টানা দুই ম্যাচ জিতে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ‘ডি’ গ্রুপে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সোমবার এই দলটির বিপক্ষেই মাঠে নামছে বাংলাদেশ।
চ্যালেঞ্জিং পিচ হওয়া সত্ত্বেও নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পিচ সম্পর্কে ধারণা ও অভিজ্ঞাতা বিবেচনায় তাই বাংলাদেশের বিপক্ষেও তারাই এগিয়ে থাকবে।
নবনির্মিত এই স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত পাঁচটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সবগুলো ম্যাচেই ব্যাটারদের ভুগতে দেখা গেছে। ভারতের মতো শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন-আপও গতকাল ১১৯ রানে অলআউট হয়ে গেছে। এই মাঠে সর্বোচ্চ ১৩৭ রান করেছে কানাডা।
আরও পড়ুন: বোলিংয়ে ফিরেছেন শরিফুল, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ‘বিবেচনায়’
নাসাউ কাউন্টির পিচকে ‘অসম’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। বিভিন্ন সময় বল এখানে অনিয়মিত আচরণ করছে। কখনও বাঁক পাচ্ছে, কখনও তা পেতে কষ্ট হচ্ছে; আবার কখনও মাটি কামড়ে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে তো কখনও ব্যাটারের মাথার ওপর দিয়ে চলে যাচ্ছে; কখনও বলে গতি উঠছে, আবার কখনও গতিই পাচ্ছে না।
পিচ নিয়ে ক্রিকেটের সাবেক তারকা ও বিশ্লেষকদের সমালোচনার পর তা আরও ভালো করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে বলে জানিয়েছে আইসিসি।
বাংলাদেশের কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেও বলেছেন একই কথা। নাসাউ কাউন্টির পিচে ব্যাট করা যে কঠিন হবে, তা অকপটে স্বীকার করেছেন তিনি।
হাথুরুসিংহে বলেন, ‘এই পিচে ব্যাটিং করাটা সত্যিই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। বেশিরভাগ ম্যাচেই আমরা সেটিই দেখছি। আমরাও এখানে খেলেছি (বিশ্বকাপের আগে), ব্যাটারদের জন্য এই পিচ সহজ ছিল না।’
এ কারণে দুই দলই এখানে সমান সুবিধা পাবে এবং সমানভাবে ভুগবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণের শক্তির কথা স্বীকার করে তিনি জানান, তার দলেরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সক্ষমতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দলের বিপদকালে আরও একবার জয়ের নায়ক মাহমুদউল্লাহ
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টাইগার একাদশে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা কম। তবে ‘পিচের অবস্থা অনুযায়ী তাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত’ করা হবে বলে জানিয়েছেন হাথুরুসিংহে।
‘আমাদের কিছু পরিবর্তন করতে হলে তা সবসময় পরিস্থিতি ও প্রতিপক্ষের ওপর নির্ভর করে করতে হয়। পিচ পর্যবেক্ষণ করে আমরা এর আচরণ বোঝার চেষ্টা করব। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তি-সামর্থ্য সম্পর্কেও আমাদের জানা আছে। সম্ভবত, আপনারা একই দল (গত ম্যাচের) দেখতে পাবেন। তবে আমাদের যেটা সবচেয়ে ভালো বলে মনে হয়, তেমন সংমিশ্রণই করব।’
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এর আগে ৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে এখনও জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে তাদের মোকাবিলায় তাই পিচের অবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
দুই জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা গ্রুপের শীর্ষস্থান ধরে রাখলেও বিশ্বকাপের আগে টানা হারের হতাশা কাটিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তাই কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামবেন টাইগাররা।
৫৫৩ দিন আগে
বোলিংয়ে ফিরেছেন শরিফুল, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ‘বিবেচনায়’
আঙুলের চোট কাটিয়ে বোলিংয়ে ফিরেছেন বাংলাদেশি পেসার শরিফুল ইসলাম। ইতোমধ্যে নেটে অনুশীলন শুরু করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত সাড়ে আটটায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে ভালো খবর শুনিয়েছেন কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে।
তিনি বলেছেন, শরিফুল বোলিংয়ে ফিরেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের জন্য তাকে বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিলার-স্টাবসের দৃঢ়তায় ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা
বিশ্বকাপের পর্দা ওঠার আগে ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে খেলতে নেমে আঙুলে চোট পান বাঁহাতি এই পেসার। হাতে ছয়টি সেলাই লাগায় বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে পারেননি তিনি। আরও কয় ম্যাচ মিস করেন, তা নিয়েও ছিল ধোঁয়াশা। তবে এত তাড়াতাড়ি তার অনুশীলনে ফেরা বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভক্তদের জন্য সুখবরই বটে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের আগেও অনুশীলনে উপস্থিত ছিলেন শরিফুল। তবে তখন নেট বোলিংয়ে অংশ নিতে পারেননি তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিতে বর্তমানে নিউ ইয়র্কে রয়েছে বাংলাদেশ দল। স্থানীয় সময় রবিবার ম্যাচের ভেন্যু থেকে সামান্য দূরে ক্যান্টিয়াগ পার্কে অনুশীলন করেছে তারা।
চলমান বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এই জয় টাইগারদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: দলের বিপদকালে আরও একবার জয়ের নায়ক মাহমুদউল্লাহ
৫৫৩ দিন আগে
শুধু ভারত নয়, নাসাউ কাউন্টির পিচও পাকিস্তানকে ভোগাবে
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ হেরে আগে থেকেই বিপাকে রয়েছে পাকিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচে রবিবার রাতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামছে তারা। পরবর্তী রাউন্ডে যেতে হলে ভারতবধের বিকল্প নেই পাকিস্তানের সামনে।
তবে বাবর আজমদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে ভারতের বোলিং ব্যাটিং সব বিভাগের দারুণ ফর্ম। সেইসঙ্গে নাসাউ কাউন্টির পিচ পাকিস্তানের জন্য গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে।
চলমান টুর্নামেন্টের গত কয়েক ম্যাচেই দেখা গেছে, এই স্টেডিয়ামে খেলা প্রত্যেকটি দলের ব্যাটাররা কী পরিমাণ ভুগেছেন। প্রমাণিত ব্যাটাররাও খুব বেশি সুবিধা আদায় করতে পারছেন না। অনেকে ক্রিজেই থাকতে পারছেন না বেশিক্ষণ। আবার উইকেটে টিকে থাকতে হলে লড়াই করতে দেখা গেছে অনেককে। সেক্ষেত্রে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওয়ানডে কিংবা টেস্টের মতো স্ট্রাইক রেটে রান তুলছেন ব্যাটাররা।
আরও পড়ুন: মিলার-স্টাবসের দৃঢ়তায় ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা
এক্ষেত্রে বাবর আজমের ভাবনা বাড়াবে পাকিস্তানি ব্যাটারদের সাম্প্রতিক ফর্ম। সম্প্রতি আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে হেরেছে পাকিস্তান। এছাড়া তুলনামূলক কম শক্তিসম্পন্ন নিউজিল্যান্ড দল, আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে বাবর অ্যান্ড কোং। তবে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও হেরে তাদের ব্যাটারদের আত্মবিশ্বাসের বেলুন চুপসে যাওয়ার কথা।
এই অবস্থায় দুর্দান্ত ফর্মে থাকা জসপ্রীত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজদের মোকাবিলা করতে পাকিস্তানি ব্যাটারদের কতটা বেগ পেতে হবে, তা সহজেই অনুমেয়। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নাসাউ কাউন্টির পিচ।
মাত্র ১২ রান করতে গিয়ে নেদারল্যান্ডসের বোলারদের কাছে কুইন্টন ডি কক, রিজা হেনড্রিকস, এইডেন মার্করাম ও হাইনরিখ ক্লাসেনকে একে একে উইকেট বিলিয়ে দিতে দেখেছে সবাই।
এমন পিচে বুমরাহদের বোলিং তোপ সামলানো কতটা কঠিন হবে, তা প্রোটিয়া বোলিংয়ের সামনে নিদারুণ ভোগা শ্রীলঙ্কা কিংবা নেদারল্যান্ডসের ব্যাটাররাই রিজওয়ান-ফখর জামানদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।
তবে এর মাঝে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের কাছ থেকে আশার আলোও অবশ্য পাওয়া যায়। উল্লিখিত দুই প্রতিপক্ষের সঙ্গে জিতলেও বেশ ভুগতে হয়েছে তাদেরও। কিন্তু শুরুতে কিংবা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও মানসিকতা শক্ত রেখে দুই ম্যাচেই উতরে গেছে প্রোটিয়ারা।
পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্টও নিশ্চয় এ বিষয়ে খেলোয়াড়দের যথেষ্ট যত্ন নিয়েছে। তবে আসল পরীক্ষাটা মাঠেই হবে।
আরও পড়ুন: ভারতের বোলিং বিষে নীল আয়ারল্যান্ড
আত্মবিশ্বাস ধরে রেখে যদি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মানসিকতা রাখতে পারেন বাবর-উসমানরা, তাহলে শুরুতে ব্যাট করে ভারতের সামনে লড়াকু পুঁজি দাঁড় করাতে সক্ষম হবেন তারা। আর বাকি কাজটুকু করার জন্য তাদের ঝুলিতে শাহীন আফ্রিদি, মোহাম্মদ আমিররা তো রয়েছেনই।
আবার ভারত শুরুতে ব্যাট করলে সেক্ষেত্রেও পিচের সুবিধা নিয়ে রোহিত-কোহলিদের যতটা সম্ভব কম রানে আটকে রখার চেষ্টা করতে হবে পাকিস্তানি বোলারদের। আর ধৈর্য্যশীল ইনিংস খেলে ভারত-পাহাড় অতিক্রমের চেষ্টায় থাকতে হবে ব্যাটারদের।
৫৫৪ দিন আগে
মিলার-স্টাবসের দৃঢ়তায় ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা
১২ রানে চার উইকেট খোয়ানোর পর যেন উইকেটে শেকড় ছেড়ে দিলেন ট্রিস্টান স্টাবস ও ডেভিড মিলার। তাদের অনবদ্য ব্যাটিং পারফর্ম্যান্সে দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
শনিবার নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নেদারল্যান্ডসের দেওয়া ১০৪ রানের লক্ষ্য মেকাবিলা করতে গিয়ে চার উইকেটের জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫৯ রান করেন মিলার। স্টাবস আউট হন ৩৩ রান করে।
নেদারল্যান্ডসের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ভিভিয়ান কিংমা ও লোগান ভ্যান বিক।
ডাচদের দেওয়া ১০৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১২ রানেই চার উইকেট খুইয়ে বিপদে পড়ে প্রোটিয়ারা।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকাকে ছাঁই দিয়ে ধরেছে নেদারল্যান্ডস
দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম বলেই রান আউটের শিকার হন কুইন্টন ডি কক। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে আরেক ওপেনার রিজা হেনড্রিকসকে বোল্ড করে দেন লোগান ভ্যান বিক।
দুই ওভারে দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় ওভারেও অব্যাহত থাকে সেই ধারা। ওভারের তৃতীয় বলে কিংমার বলে খোঁচা দিতে গিয়ে স্লিপে ডাচ অধিনায়ক এডওয়ার্ডসের হাতে ক্যাচ হয়ে ফেরেন প্রোটিয়া অধিনায়ক মার্করাম।
পরের ওভারটি উইকেটবিহীন গেলেও পঞ্চম ওভারে ক্লাসেনকে ফেরান কিংমা। ওভারের তৃতীয় বলটি উড়িয়ে মারতে গিয়ে প্রিঙ্গলের তালুবন্দি হয়ে যান তিনি। ক্লাসেন সাজঘরে ফিরলে ১২ রানে চার উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
তিন ওভার বোলিং করে একটি মেইডেনসহ ৭ রান খরচায় দুই উইকেট নিয়ে ত্রাস ছড়ান ভিভিয়ান কিংমা।
আরও পড়ুন: প্রোটিয়া বোলিংয়ের সামনে ডাচদের অসহায় আত্মসমর্পণ
তবে এরপরই উইকেটে থিতু হন মিলার ও স্টাবস। ৬৫ রানের জুটি গড়ে স্টাবস যখন বিদায় নেন, তখন তার দলের প্রয়োজন মাত্র ২৭ রান। এরপর মার্কো ইয়ানসেন নামলেও তিন রান করে বিদায় নেন তিনি। পরে কেশব মহারাজ মিলারকে শুধু সঙ্গ দেন, বাকি কাজ তিনি একাই সারেন।
সাত বল বাকি থাকতে ছক্কা মেরে জয় নিশ্চিত করেন ডেভিড মিলার।
এ জয়ে ‘ডি’ গ্রুপের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে পরবর্তী রাউন্ডে ওঠার সম্ভাবনা আরও পাকাপাকি করল দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী সোমবার রাত সাড়ে আটটায় বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলবে তারা।
৫৫৫ দিন আগে
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ছাঁই দিয়ে ধরেছে নেদারল্যান্ডস
নাসাউ কাউন্টির পিচে এবার খাবি খাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটাররাও। শুরুতে ডাচ ব্যাটারদের নাকানি-চুবানি খাওয়নো পর এবার তারা নিজেরাই ডুবতে বসেছেন।
নেদারল্যান্ডসের দেওয়া ১০৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১২ রানেই চার উইকেট খুইয়েছে প্রোটিয়ারা।
দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম বলেই রান আউটের শিকার হন কুইন্টন ডি কক। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে আরেক ওপেনার রিজা হেনড্রিকসকে বোল্ড করে দেন লোগান ভ্যান বিক।
দুই ওভারে দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় ওভারেও অব্যাহত থাকে সেই ধারা। ওভারের তৃতীয় বলে কিংমার বলে খোঁচা দিতে গিয়ে স্লিপে ডাচ অধিনায়ক এডওয়ার্ডসের হাতে ক্যাচ হয়ে ফেরেন প্রোটিয়া অধিনায়ক মার্করাম।
আরও পড়ুন: প্রোটিয়া বোলিংয়ের সামনে ডাচদের অসহায় আত্মসমর্পণ
পরের ওভারটি উইকেটবিহীন গেলেও পঞ্চম ওভারে ক্লাসেনকে ফেরান কিংমা। ওভারের তৃতীয় বলটি উড়িয়ে মারতে গিয়ে প্রিঙ্গলের তালুবন্দি হয়ে যান তিনি। ক্লাসেন সাজঘরে ফিরলে ১২ রানে চার উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
তিন ওভার বোলিং করে একটি মেইডেনসহ ৭ রান খরচায় দুই উইকেট নিয়ে ত্রাস ছড়িয়েছেন ভিভিয়ান কিংমা।
এখন ১০৪ রানের লক্ষ্যটিই বহদূরের আলোর মতো টিমটিম করে জ্বলছে প্রোটিয়াদের সামনে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৮ ওভার শেষে চার উইকেটে ২২ রান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ট্রিস্টান স্টাবস ১৬ বলে ৭ এবং ডেভিড মিলার ১২ বল মোকাবিলা করে ৬ রান নিয়ে ক্রিজে রয়েছেন।
ম্যাচটি জিততে এই দুই ব্যাটারের পথ দেখানো ছাড়া গতি নেই।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় ম্যাচেও আগে ফিল্ডিংয়ে প্রোটিয়ারা
৫৫৫ দিন আগে
প্রোটিয়া বোলিংয়ের সামনে ডাচদের অসহায় আত্মসমর্পণ
উইকেট নিয়ে যে আশঙ্কা করেছিলেন এইডেন মার্করাম, তা মিলে গেল অক্ষরে অক্ষরে। আর প্রোটিয়া বোলিংয়ের গতিতে হতাশ হতে হলো নেদারল্যান্ডসকে।
নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১০৩ রান করেছে নেদারল্যান্ডস।
ডাচদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেছেন সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখ্ট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছেন অষ্টম ব্যাটার টিম প্রিঙ্গল (২৩)। মূলত এই দুজনের জুটিই ডাচদের দলীয় স্কোর শতরান পার করতে ভূমিকা রেখেছে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় ম্যাচেও আগে ফিল্ডিংয়ে প্রোটিয়ারা
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এদিন সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নিয়েছেন গত ম্যাচেও চমক দেখানো ওটনিয়েল বার্টম্যান। গত ম্যাচে ৯ রান দিয়ে একটি উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। আজকে রান দিয়েছেন ১১টি। এছাড়া কাদিসো রাবাদা ও কেশব মহারাজ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা খায় নেদারল্যান্ডসের ব্যাটিং লাইন-আপ। তৃতীয় বলেই মাইকেল লেভিটকে কট বিহাইন্ড করে সাজঘরে ফেরত পাঠান মার্কো ইয়ানসেন।
ইয়ানসেনের আউটসাইড অফস্ট্যাম্পে করা ডেলিভারিটি ড্রাইভ করতে গেলে ইনসাইড এজ হয়ে যায়। তবে দারুণ নৈপুণ্যে বলটি গ্লাভসবন্দি করেন ডি কক। শুরুতে আম্পায়ার আউট না দিলেও আত্মবিশ্বাসী ডি কক রিভিউ নিয়ে সফল হন। ফলে ওয়াইড থেকে আসা একটি রানের পরই উইকেট পড়ে ডাচদের।
রাবাদা ও ইয়ানসেনের পরের দুই ওভার দেখেশুনে খেলার পর গত ম্যাচে অভিষিক্ত বার্টম্যানকে বোলিংয়ে আনেন মার্করাম। চতুর্থ বলেই সাফল্য পান তিনি। ডাচদের অপর ওপেনার ম্যাক ওডাউডের দর্শনীয় ক্যাচটি ধরেন ইয়ানসেন। পরের ওভারে বোলিংয়ে এসে ফের উইকেটের দেখা পান ইয়ানসেন। এবার তার শিকার বিক্রমজিত সিং। ৪.৩তম ওভারে ১৭ বলে ১২ করা বিক্রমজিত ফিরে গেলে ১৭ রানে প্রথম তিন ব্যাটারকে হারায় নেদারল্যান্ডস।
আরও পড়ুন: দলের বিপদকালে আরও একবার জয়ের নায়ক মাহমুদউল্লাহ
পরের চার ওভারে উইকেট বাঁচিয়ে রেখে খেলতে গিয়ে রানের চাকা আর ঘোরাতেই পারছিলেন না ব্যাস ডি লিড ও এঙ্গেলব্রেখ্ট। তবে নবম ওভারের প্রথম বলেই প্রোটিয়াদের ব্রেকথ্রু এনে দেন নর্টিকিয়া। তার শর্ট পিচ ডেলিভারিটি পেছন দিয়ে বের করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট অঞ্চলে দাঁড়িয়ে থাকা ডেভিড মিলারকে ক্যাচ দিয়ে ফেলেন ডি লিড। ফলে আরও বিপদে পড়ে নেদারল্যান্ডস। দশ ওভার শেষে তাদের স্কোর দাঁড়ায় চার উইকেটে মাত্র ৩৫ রান।
একাদশ ওভারে ফের এক জোড়া উইকেট পড়ে ডাচদের। নর্টকিয়ার ওই ওভারের প্রথম বলটি ঠেকিয়ে দ্বিতীয় বলেই ছক্কা মারেন ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। তবে পরের বলে দুঃখজনকভাবে রানআউট হয়ে যান তিনি। দুই বল পর নতুন ক্রিজে আসা তেজা নিদামানুরু ক্লাসেনকে ক্যাচ দিলে ৪৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারে চলে যায় নেদারল্যান্ডস।
তবে এখান থেকে দলকে টেনে তোলেন এঙ্গেলব্রেখ্ট ও অষ্টম ব্যাটার হিসেবে নামা লোগান ভ্যান বিক। বাউন্ডারি, সিঙ্গেলস নিয়ে সংগ্রহ বড় করার চেষ্টা করেন তারা। এতে সফলও হন এ দুজন।
৫৪ রানের জুটি গড়ে শেষ ওভারের প্রথম বলে এঙ্গেলব্রেখ্ট (৪০) ও শেষ বলে ভ্যান বিক (২৩) আউট হন। মাঝে দুই বলে শূন্য রানে ফেরেন টিম প্রিঙ্গল। তিনটি উইকেটই যায় ওটনিয়েলের ঝুলিতে।
৫৫৫ দিন আগে
দ্বিতীয় ম্যাচেও আগে ফিল্ডিংয়ে প্রোটিয়ারা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। সেদিন আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রোটিয়াদের ফিল্ডিংয়ে পাঠান ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
শনিবার (৮ জুন) নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে টস ভাগ্য গেল দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। তবে টস জিতে আজও আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এইডেন মার্করাম। ফলে আগে ব্যাটিংয়ে নামছে নেদারল্যান্ডস।
আরও পড়ুন: কষ্টের জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু টাইগারদের
গত ম্যাচের মতোই নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই ম্যাচ। এই মাঠের পিচ প্রথম থেকেই কিছুটা স্লো দেখা যাচ্ছে। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে মাত্র ৭৭ রানে অল আউট করে সেই রান মোকাবিলা করতে ১৭তম ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। আজও তাই ঝুঁকি না নিয়ে লক্ষ্য সামনে নিয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিলেন মার্করাম।
টসের পর একথা ঝরল মার্করামের কণ্ঠেও, ‘এই উইকেটে কয়েকটি ম্যাচ দেখেছি। তাই আগে উইকেটে ফাটল চাই। যদিও আজকের পিচ একটু আলাদা মনে হচ্ছে, তবে খুব বেশি পরিবর্তন আশা করছি না।’
তূলনামূলক দুর্বল ও র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকা দল হলেও নেদারল্যান্ডসকে ছোট করে দেখতে চান না তিনি। বলেন, ‘এই বিশ্বকাপেই দেখেছি (ছোট দলগুলোকে ভালো পারফর্ম করতে)। তাই কোনো দলকেই হালকাভাবে নিচ্ছি না। এটা আমাদের জন্য বড় একটি ম্যাচ।’
আরও পড়ুন: দলের বিপদকালে আরও একবার জয়ের নায়ক মাহমুদউল্লাহ
নেপালের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ রয়েছে ডাচরাও। অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস বলেন, ‘তাদের (প্রোটিয়া) বিপক্ষে এর আগেও আমরা জিতেছি। সেদিন আমরা ভালো খেলেছিলাম। আমরা বোলিং-ব্যাটিং দুই বিভাগে ভালো খেলোয়াড় আছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: কুইন্টন ডি কক, রিজা হেন্ড্রিকস, এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), ট্রিস্টান স্টাবস, হাইনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, মার্কো ইয়ানসেন, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, আনরিখ নর্টকিয়া, ওটনিয়েল বার্টম্যান।
নেদারল্যান্ডস একাদশ: মাইকেল লেভিট, ম্যাক্স ওডাউড, বিক্রমজিৎ সিং, সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখ্ট, স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক), ব্যাস ডি লিড, তেজা নিদামানুরু, লোগান ভ্যান বিক, টিম প্রিঙ্গল, পল ভ্যান মিকারেন, ভিভিয়ান কিংমা।
৫৫৫ দিন আগে
দলের বিপদকালে আরও একবার জয়ের নায়ক মাহমুদউল্লাহ
লক্ষ্যটা ছিল মাত্র ১২৫। টি-টোয়েন্টিতে এটি একেবারেই মামুলি লক্ষ্য হলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পা হড়কাতে বসেছিল বাংলাদেশ।
শুরুতে জোড়া ধাক্কা ও দলীয় ২৮ রানে তিন উইকেট হারানোর পর ৬৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দর দেখিয়ে বিদায় নেন তৌহিদ হৃদয় ও লিটন দাস।
লিটন আউট হওয়ার পর জয়ের জন্য ৩৫ বলে ২৬ রানের দরকার ছিল। কিন্তু এখানে ফের ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়। টাইগাররা একের পর এক উইকেট হারাতে থাকলে ভক্তদের হৃদয়ের ধুঁকপুকুনি বেড়ে যায়। তবে এদিনও ভক্তদের হতাশ করেননি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ব্যাটিং দৃঢ়তায় দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তিনি।
সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামা মাহমুদুল্লাহর এর আগেও এমন কীর্তি আছে অসংখ্য। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে যখন দলের বিপদ, ঠিক সেই সময়ে হাল ধরেন তিনি।
আরও পড়ুন: কষ্টের জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু টাইগারদের
তৌহিদ হৃদয় ২০ বলে ৪০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে বিদায় নিলে ব্যাটিংয়ে নামেন সাকিব। শুরুতে তিনি দেখেশুনে খেলছিলেন। ফলে বল ও রানের ব্যবধান ক্রমেই কমছিল। এরই মধ্যে লিটন আউট হয়ে গেলে মাহমুদুল্লাহ ক্রিজে আসেন। তিনিও শুরুতে কয়েকটি বল দেখেশুনে খেলেন।
রানের চাকায় গতি বাড়াতে ১৬.২ ওভারে পাথিরানার ওপর চড়াও হন সাকিব। তবে থার্ড ম্যান অঞ্চলের সীমানায় দাঁড়িয়ে থাকা মাহিশ থিকশানাকে অতিক্রম করতে পারেনি তার শট। ফলে ১৪ বলে ৮ রান করে তিনি বিদায় নেন।
সাকিব সাজঘরে ফিরলে ২২ বলে ১৬ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। তবে পরের ওভারে পরপর দুই বলে জোড়া উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন নুয়ান থুশারা। ১৮তম ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে রিশাদ হোসেন ও তাসকিনকে যথাক্রমে বোল্ড ও লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন তিনি। এরপর ওই প্রান্ত থেকে উইকেট ধসের আশঙ্কা দেখা দেয়। অন্যপ্রান্তে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না মাহমুদুল্লাহর।
তবে ৩৮ বছর বয়সী সতীর্থের পরামর্শ নিয়ে ওই ওভারের পরের দুটি বল কোনোরকমে মোকাবিলা করেন তানজিম সাকিব। পরের ওভারে স্ট্রাইকে এসেই ছক্কা হাঁকিয়ে চাপমুক্ত হন মাহমুদুল্লাহ, ভারমুক্ত করেন বাংলাদেশের কোটি ভক্তকেও। পরের বলে স্ট্রাইক রোটেট করলে তানজিম ফের অস্বস্তিতে পড়েন। তবে তৃতীয় বলে তিনি কোনোমতে এক রান নিলে আর সুযোগ নেননি মাহমুদুল্লাহ। বাকি কাজটুকু তিনি নিজ হাতেই সারেন।
ম্যাচ শেষ হতেই তাই সতীর্থরা তার দিকে ছুটে আসেন। ছুটে এসে বুকে জড়িয়ে ধরেন কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেও। আর সবার ভালোবাসা নিয়ে বুক চিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
আরও পড়ুন: প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বিশ্বকাপে সেরাটা দেওয়ার লক্ষ্য বাংলাদেশের
প্রথম ম্যাচেই শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শেষ আটে ওঠার পথ সুগম করল টাইগাররা। ‘ডি’ গ্রুপে তাদের শক্ত প্রতিপক্ষ বলতে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও লঙ্কানরা। গ্রুপের অন্য দুই দল হচ্ছে নেপাল ও নেদারল্যান্ডস। তুলনামূলক দুর্বল এই দলদুটির বিপক্ষে জিততে পারলে শেষ আট নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের। সেইসঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় পেলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডে ওঠারও সুযোগ থাকবে তাদের।
অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটি হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও হারল শ্রীলঙ্কা। এর ফলে পরের রাউন্ডে যাওয়ার স্বপ্ন খানিকটা ফিকে হয়ে গেছে তাদের। সুযোগ বাঁচিয়ে রাখতে তাই নেপাল ও ডাচদের বিপক্ষে বড় জয়ের বিকল্প নেই লঙ্কানদের। পাশাপাশি একাধিক ম্যাচে বাংলাদেশের পরাজয় চাইবে হাসারাঙ্গা অ্যান্ড কোং।
সোমবার রাত সাড়ে আটটায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদেরও দ্বিতীয় ম্যাচ সেটি। আর বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় তৃতীয় ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা।
৫৫৫ দিন আগে
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জেতায় টাইগারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৬টায় যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে ‘ডি’ গ্রুপের খেলায় মাঠে নামে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। ম্যাচটি ২ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ।
প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৪ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে এক ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে বাংলাদেশ। এর ফলে জয় দিয়ে টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হয়েছে।
৫৫৫ দিন আগে
কষ্টের জয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু টাইগারদের
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ২ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। এর ফলে জয় দিয়ে টাইগারদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হয়েছে।
শনিবার বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৬টায় যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে ‘ডি’ গ্রুপের খেলায় মাঠে নামে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৪ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে এক ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ রান করেন তৌহিদ হৃদয়। তার ২০ বলে ৪০ রানের ইনিংসটি ছিল চারটি ছক্কা ও একটি চারের মারে সাজানো। এছাড়া লিটন দাস খেলেন ৩৮ বলে ৩৬ রানের ধৈর্য্যশীল ইনিংস। চতুর্থ উইকেটে এই দুই ব্যাটারের ৯৩ রানের জুটিটিই বাংলাদেশের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। শেষে মাহমুদুল্লাহর ১৩ বলে অপরাজিত ১৬ রান ছাড়া আর কোনো ব্যাটার ব্যক্তিগত সংগ্রহ দুই অঙ্কে নিয়ে যেতে পারেননি।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন নুয়ান থুশারা ও অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
আরও পড়ুন: প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বিশ্বকাপে সেরাটা দেওয়ার লক্ষ্য বাংলাদেশের
এর আগে, প্রথম ইনিংসে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের অসামান্য প্রদর্শনী দেখান বাংলাদেশি বোলাররা। বিশ ওভারে অতিরিক্ত হিসেবে মাত্র চার রান দিয়েছেন তাসকিন-মোস্তাফিজরা। এর মধ্যে ওয়াইড ছিল মাত্র দুটি।
দলের হয়ে নির্ধারিত চার ওভারে মাত্র ১৭ রান খরচ করে তিন উইকেট নেন মোস্তাফিজ। ২২ রানে তিন উইকেট নেন রিশাদ। এছাড়া চোট থেকে মাঠে ফেরা তাসকিনের ঝুলিতে গেছে দুটি উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা: ২০ ওভারে ১২৪/৯ (নিসাঙ্কা ৪৭, ধানাঞ্জয়া ২১, আসালাঙ্কা ১৯; মোস্তাফিজ ১৭/৩, রিশাদ ২২/৩, তাসকিন ২৫/২)
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১২৫/৮ (তৌহিদ ৪০, লিটন ৩৬, মাহমুদুল্লাহ ১৬*; থুশারা ১৮/৪, হাসারাঙ্গা ৩২/২)
ফলাফল: বাংলাদেশ ২ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রিশাদ হোসেন।
৫৫৫ দিন আগে