ক্রিকেট
প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বিশ্বকাপে সেরাটা দেওয়ার লক্ষ্য বাংলাদেশের
যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বেশ কয়েকটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। তবে শহরের বাসিন্দাদের অনেকের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে তেমন ধারণাই নেই।
ইথিওপিয়ার এক ট্যাক্সি ড্রাইভারের কথাই ধরুন। লোকটি টুর্নামেন্ট সম্পর্কে জেনে একেবারে হতবাক।
তার শহরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ হতে চলেছে, এ শুনেই তাজ্জব বনে গেলেন ৩০ বছর ধরে ডালাসে বসবাসকারী এই ট্যাক্সিচালক। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ নামের একটি দল এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করছে, তাও তিনি জানেন না।
ডালাসে টলমান বিশ্বকাপের মূল ভেন্যুগুলোর একটি থাকলেও এই চালকের প্রতিক্রিয়া মূলত টেক্সাসের এই শহরটির মানুষের ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকারই বহিঃপ্রকাশ।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারেন যারা
ক্যাথরিন নামের এক রাইডশেয়ার ড্রাইভারেরও অবস্থাও এরকম। তিনিও বিশ্বকাপ সম্পর্কে খুবই কম জানেন। ক্রিকেট সম্পর্কে তার ধারণা এতই কম যে তিনি মনে করেন, ক্রিকেট হচ্ছে বেসবলের মতো একটি খেলা; তবে এর ব্যাটটি গোল নয়, চ্যাপ্টা।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে অনুকূল জলবায়ু ও সেখানে বাস করা বিপুল পরিমাণ দক্ষিণ এশীয়র ক্রিকেটের প্রতি অনুরাগের কারণে দেশটির ক্রিকেটের কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে ডালাস। আর এই ইতিবাচক পরিবেশ দেশটির সবখানে ক্রিকেটের বিকাশকে ত্বরান্বিত করছে।
তারপরও ওই ইথিওপিয়ান ট্যাক্সিচালক ও ক্যাথরিনের মতো অনেকের কাছেই ক্রিকেট এখানে বেশ অপরিচিত। ক্রিকেটের কেন্দ্র হয়ে উঠলেও ডালাসের স্টেডিয়ামটি ঠিক কোথায়, তা দুজনের কেউই জানেন না।
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হতাশাজনক সিরিজ হারের পর হারানো গৌরব ফেরানোর লক্ষ্যে এরই মধ্যে ডালাসে পৌঁছেছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল। শনিবার (৮ জুন) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায় বিশ্বকাপ মিশনে প্রথমবার মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
গত ৫ জুন গ্র্যান্ড প্রেইরি ক্রিকেট স্টেডিয়াম-সংলগ্ন একটি মাঠে (ফ্যাসিলিটি) অনুশীলন করেছে টাইগাররা। তবে অনুশীলনের জায়গাটিতে এখনও উন্নয়ন কাজ চলছে। ফলে তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও তানজিম সাকিবদের মতো পেসারদের পূর্ণ রানআপের জায়গা বের করে অনুশীলন করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল। বিশ্বকাপের ম্যাচ এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাই এই বিষয়টি তাদের মনে পর্যাপ্ত প্রস্তুতির ঘাটতি রয়েছে বলে অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে।
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের দুটি গা গরমের ম্যাচ থাকলেও সেখানেও বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে টাইগাররা। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ, যেখানে খেলোয়াড়দের দুর্বলতা স্পষ্ট হয়েছ। পরের ম্যাচটি যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হওয়ার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে তা পরিত্যক্ত হয়।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি: যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ হারের স্বাদ পেল বাংলাদেশ
স্ট্যান্ডবাই প্লেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। অনুশীলন সুবিধার ব্যাপারে প্রশ্ন করতেই দ্বিধায় জড়ান তিনি। তার জোর করে ‘হ্যাঁ’ বলা থেকেই বোঝা যাচ্ছিল যে, বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুত হতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম অনুশীলন সুবিধা পাচ্ছেন তারা।
তবে এতকিছুর মধ্যেও আশার বিষয় হচ্ছে, দলের মূল পেসার তাসকিন আহমেদ পূর্ণ শক্তিতে বোলিংয়ে ফিরেছেন।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন টাইগারদের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ লিপু।
ডালাসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে আসার আগেও চোট নিয়ে আমরা অনেক আশঙ্কায় ছিলাম। এখন আবার নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে শরিফুলের ছয়টি সেলাই। ওর সেরে উঠতে কতদিন লাগবে, তা বুঝতে আমাদের আরও সময় প্রয়োজন।’
তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থেকেই তাসকিন খেলতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।
৫৫৭ দিন আগে
আয়ারল্যান্ডকে সুযোগই দিল না ভারত
প্রথমে বোলিং করে স্বল্প রানে গুটিয়ে দিয়ে ব্যাটিং তাণ্ডব চালালেন ভারতীয় ব্যাটাররা। এর ফলে পুরো ম্যাচজুড়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো সুযোগই পেল না আয়ারল্যান্ড। ম্যাচটি ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে নিজেদের করে নিল রোহিত শর্মা অ্যান্ড কোং।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ১৫.৫ ওভারে মাত্র ৯৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১২.২ ওভারেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত।
অপরিচিত পিচ ও কন্ডিশনে কেমন ব্যাটিং হবে, সেই অনিশ্চয়তা মাথায় নিয়ে বিশ্বকাপ মিশনের প্রথম ম্যাচে টস জেতে ভারত। অনিশ্চয়তা থেকেই শুরুতে ফিল্ডিং করে রোহিত শর্মার দল। তবে ভারতীয় বোলারদের তাণ্ডবে ম্যাচটি একেবারে একপেশে হয়ে যায়।
আয়ারল্যান্ডের দেওয়া ৯৭ রানের লক্ষ্য মোকাবিলায় মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ভারত। ১২.২ ওভারেই জয় নিশ্চিত করেন ঋষভ পান্ত ও শিবম দুবে।
আরও পড়ুন: ভারতের বোলিং বিষে নীল আয়ারল্যান্ড
দলের হয়ে রোহিত সর্বোচ্চ ৫২ রানের ইনিংস খেলেন। আর ঋষভের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান। রোহিত তিনটি ছক্কা ও চারটি চার মারেন। অন্য পাশ থেকে ঋষভ মারেন তিনটি চার ও দুটি ছক্কা।
আইরিশ বোলারদের প্রাপ্তি বলতে মার্ক অ্যাডায়ার ও বেঞ্জামিন হোয়াইটের উইকেট দুটি।
৯৬ রান রক্ষার লক্ষ্যে মাঠে নেমে প্রথম ওভারেই রোহিতকে জীবন দেন আয়ারল্যান্ডের বালবির্নি। মার্ক অ্যাডায়ারের ওভারের শেষ বলে ব্যাট চালালে সেকেন্ড স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা বালবির্নির কাছে ক্যাচ যায়। তবে গতির কারণে তিনি বলে স্পর্শই করতে পারেননি।
তবে দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য পান অ্যাডায়ার। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম চারটি বল ডট হলে চতুর্থ বলে সজোরে ব্যাট চালান কোহলি। তবে বলটি হঠাৎ লাফিয়ে ওঠায় বল-ব্যাটে ঠিকমতো সংযোগ করতে ব্যর্থ হন তিনি। ফলে থার্ড ম্যানে দাঁড়িয়ে থাকা হোয়াইটের হাতের ওপর গিয়ে পড়ে বল। ফলে ৫ বলে ১ রান করে ফিরতে হয় কোহলিকে।
আরও পড়ুন: বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটারের লড়াই
এরপর দুর্ঘটনার শিকার হয়ে দীর্ঘদিন দলের বাইরে থাকা ঋষভ পান্তকে নিয়ে দেখশুনে খেলতে থাকেন রোহিত। এই দুজনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় এক পর্যায়ে দলীয় স্কোর ৫০ পার করে ভারত। এরপর হাত খোলা শুরু করেন হিটম্যান রোহিত।
তবে একেবারে শেষের দিকে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন রোহিত। দলের তখন প্রয়োজন আর ২১ রান। এরপর সূর্যকুমার যাদব ক্রিজে এসে চার বলে ২ রান করে আউট হন। পরে শিবম দুবে মাঠে নামলেও দুই বল মোকাবিলা করে রান করতে পারেননি তিনি। অন্যপাশ থেকে আর উইকেটের পতন চাননি ঋষভও। নিজেই বাকি কাজটুকু সারেন তিনি।
অসাধারণ বোলিং পারফর্ম্যান্সের কারণে ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে জসপ্রীত বুমরাহর হাতে।
৫৫৮ দিন আগে
ভারতের বোলিং বিষে নীল আয়ারল্যান্ড
টসের সময় ব্যাটারদের যে ফর্ম ও লড়াই করার প্রত্যয় জানিয়েছিলেন পল স্টার্লিং, মাঠের খেলায় তা যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। ভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারল না দলটি।
টস হেরে আগে ব্যাট করে ১৫.৫ ওভারে মাত্র ৯৬ রানেই গুটিয়ে গেছে তাদের ইনিংস।
দলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর ২৬। দুটি করে ছক্কা ও চারের মারে এ রান করেন তিনি। এর পরবর্তী স্কোর ১৫ যা এসেছে অতিরিক্ত থেকে।
ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া। এছাড়া আর্শদীপ সিং ও জসপ্রীত বুমরাহ নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। এদিন তিন ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে সবচেয়ে কিপটে ছিলেন বুমরাহ।
আরও পড়ুন: টস জিতে আয়ারল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে ভারত
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই দুই ওপেনারকে হারায় আয়ারল্যান্ড। আর্শদীপ সিং ও মোহাম্মদ সিরাজের প্রথম দুই ওভার দেখেশুনে খেলে তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় অধিনায়ক পল স্টার্লিংকে।
ইনিংসের তৃতীয় ও আর্শদীপের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম ডেলিভারিটি ছিল লেগ স্ট্যাম্পে। বল কিছুটা লাফিয়ে উঠলে তা স্লগ করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে উপরে উঠে যায়। উইকেটের পেছন থেকে তা গ্লাভসবন্দি করেন ঋষভ। এরপর ওই ওভারেই আর্শদীপের মিডল উইকেটে রাখা শেষ ডেলিভারিটি থামাতে ব্যর্থ হয়ে বোল্ড হয়ে যান অ্যান্ডু বালবির্নিও।
মাত্র ৯ রানে দুই উইকেটে হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় আয়ারল্যান্ড। এরপর তৃতীয় ও চতুর্থ ব্যাটার লোরকান টাকার ও হ্যারি টেক্টর বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে বুমরাহ, সিরাজ, আর্শদীপদের বোলিং আক্রমণের সামনে খুব বেশি সুবিধা করতে পারছিলেন না তারা। এর প্রভাব পড়ে স্কোরবোর্ডেও। প্রথম পাওয়ার প্লেতে আর উইকেট না হারালেও মাত্র ২৬ রান তোলে আয়ারল্যান্ড।
তবে পাওয়ার প্লের পরেই ফের আসে ধাক্কা। ব্রেকথ্রুর আশায় সপ্তম ওভারে হার্দিককে বোলিং করতে পাঠান রোহিত । ওই ওভারের পঞ্চম বলেই টাকারকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান হার্দিক। ফেরার আগে ১৩ বল মোকাবিলা করে দুই চারের সাহায্যে মাত্র ১০ রান করেন তিনি। এরপর শুরু হয় উইকেটে রক্তক্ষরণ।
আরও পড়ুন: বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটারের লড়াই
পরের ওভারে বুমরাহর শেষ ডেলিভারিতে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান হ্যারি টেক্টর। ফেরার আগে ১৬ বলে মাত্র চার রান করেন তিনি। পরের ওভারটি ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করলেও হার্দিকের শেষ বলে আউট হন ৮ বলে ১২ রান করা কার্টিস ক্যাম্ফার। এর পরের ওভারের চতুর্থ বলে ফের উইকেট। এবার সিরাজের শিকার হন জর্জ ডকরেল। ফলে ১০ ওভার খেলার আগেই ৬ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড।
একাদশ ওভারের প্রথম বলেই মার্ক অ্যাডায়ারকে ফিরিয়ে ওই ওভার মেইডেন নেন হার্দিক। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে উইকেট নেন অক্ষর প্যাটেল। তিনি ব্যারি ম্যাকার্থিকে ফেরালে ৫০ রানে ৮ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড।
এর পর দুটি ২০ ছাড়ানো জুটি গড়ে স্কোরবোর্ড শতরানের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন শেষের ব্যাটাররা। তবে ৭০ রানের মাথায় বুমরাহ বলে জশুয়া লিটল ও ৯৬ রানে ডিলানি রান আউট হলে সেখানেই গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ডের ইনিংস।
৫৫৮ দিন আগে
টস জিতে আয়ারল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে ভারত
যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামছে ভারত। এদিন টস জিতে শুরুতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
টসের পর রোহিত বলেন, ‘আমরা যে ধরনের পিচে খেলে অভ্যস্ত, সেরকম পিচেই আজ খেলব। তবে নতুন কন্ডিশনে কী হবে তা অজানা। তাই সামনে একটি লক্ষ্য রেখে খেলাটা ভালো হবে বলে মনে হয়েছে।’
অন্যদিকে, জয়ের প্রত্যয় ঝরেছে আইরিশ অধিনায়ক পল স্টার্লিংয়ের কণ্ঠে।
‘বিশ্বকাপের আগে নেদারল্যান্ডসে একটি (ত্রিদেশীয়) সিরিজ খেলেছি। সেখানে আমাদের যথেষ্ট ম্যাচ উইনার ছিল। তাদের আজকে জ্বলে উঠতে হবে। কন্ডিশন বুঝে খুব দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব।’
ভারত একাদশ:
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, ঋষভ পন্ত, সূর্যকুমার যাদব, শিবম দুবে, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, জাসপ্রিত বুমরাহ, আরশদীপ সিং, মোহাম্মদ সিরাজ।
আয়ারল্যান্ড একাদশ:
পল স্টার্লিং (অধিনায়ক), অ্যান্ড্রু বালবির্নি, লোরকান টাকার (ডব্লিউ), হ্যারি টেক্টর, কার্টিস ক্যাম্ফার, জর্জ ডকরেল, গ্যারেথ ডিলানি, মার্ক অ্যাডায়ার, ব্যারি ম্যাকার্থি, জশুয়া লিটল, বেঞ্জামিন হোয়াইট।
৫৫৮ দিন আগে
বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়ে পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটারের লড়াই
বাবর আজমের অধিনায়কত্ব নিয়ে এবার প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন পাকিস্তানের ওপেনার আহমেদ শেহজাদ ও ইমাম-উল-হক। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশনে নামার আগে এ দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে।
পাকিস্তানে জিও টিভিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বিল্ড-আপ শো চলাকালে শেহজাদকে জিজ্ঞেস করা হয়, জাতীয় দলের জন্য খেলোয়াড় বাছাই করার সময় বাবর পক্ষপাতিত্ব করেন কি না। এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বাবরকে ধুয়ে দেন শেহজাদ। খবর হিন্দুস্তান টাইমস
এমনকি চলমান বিশ্বকাপের আগে সাদা বলের অধিনায়ক হিসেবে বাবরকে পুনর্বহাল করায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) নিন্দা করেন তিনি।
তার দাবি, ‘খেলোয়াড় নির্বাচনে সে (বাবর) বন্ধুত্বকে তো গুরুত্ব দেয়ই। এভাবেই সে দীর্ঘদিন ধরে খেলোয়াড় নির্বাচন করে আসছে। অথচ তাদের বেশিরভাগই দীর্ঘদিন ধরে ফর্মের বাইরে। এটা ভালো বিষয় নয়।’
‘আমি যদি ম্যাচের সংখ্যা গুনতে শুরু করি, তাহলে দেখতে পাবেন, ওইসব খেলোয়াড়রা কত লম্বা সময় ধরে রান পাচ্ছে না। যদি অন্য কোনো অধিনায়ক থাকত, তবে ৩০-৪০টি ম্যাচ ধরে অফ ফর্মে থাকার পর, কোনো খেলোয়াড়কে সে দলে রাখত না।’
আরও পড়ুন: নিউ ইয়র্কের স্টেডিয়ামে পুলিশের স্নাইপার!
তিনি বলেন, ‘আমরা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জেতার জন্য ক্রিকেট খেলি না, খেলি আইসিসির ইভেন্ট জেতার জন্য। কিন্তু গত ৪-৫ বছরে আমরা কি কোনো ইভেন্ট জিতেছি? যদি আমরা না জিতি, তাহলে আমি বলব গ্যাং আছে, বন্ধুত্ব আছে; আর আছে একজন এজেন্ট যে গত ৪-৫ বছর ধরে নানা কারসাজি করছে।’
যখন শেহজাদকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, পাকিস্তানের স্কোয়াডে থাকা বহু খেলোয়াড়ই সরফরাজ আহমেদের অধিনায়কত্বে অভিষেক হয়েছিল। তখন আক্রমণাত্মক ওপেনার বলেন যে, আহমেদ ২০১৭ সালে ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতিয়েছিলেন। কিন্তু বাবর কোনও আইসিসি টুর্নামেন্ট জেতাতে পারেননি।
তিনি বলেন, ‘ওরা (সরফরাজ আহমেদ অ্যান্ড কোং) ফলাফল করে দেখিয়ে দিয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছে। এটি ন্যায়সঙ্গত। আপনাকে দীর্ঘ সময় সুযোগ দেওয়া হয়েছে, জেতাতে না পারলে অধিনায়ককে সরতেই হবে। কিন্তু তার পর আবার বাবরকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আমি বুঝতাম, যদি ও এমএস ধোনি হত, তবে ওকে ফিরিয়ে আনার কারণ। কিন্তু শাহিনের সঙ্গে যেটা করা হয়েছে, সেটা অন্যায় করা হয়েছে। দু'টি ম্যাচের জন্য ক্যাপ্টেন করে ওকে সরিয়ে দেওয়া হল।’
ওই শোতে ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক ওপেনার ইমাম-উল-হক। তিনি আবার শেহজাদের কথা সমর্থন দেননি।
বাবরকে সমর্থন করে ইমাম বলেন, ‘বাবরকে তার সম্মতি ছাড়াই অপসারণ আবার সম্মতি ছাড়াই পুনর্বহাল করা হয়েছে। নিজেদের সিদ্ধান্তে তাকে পুনরায় অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বোর্ড।’
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারেন যারা
তিনি বলেন, ‘২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমরা সেমিফাইনালে পৌঁছাই। পরে ২০২২ সালে, ফাইনাল খেলি। ওই ম্যাচটি আমরা জিততে পারিনি- এ নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে। তবে বাবর এই খেলোয়াড়দের পছন্দ করে, এটিকে বন্ধুত্ব হিসেবে আখ্যায়িত করা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত।’
এর পরই ইমাম ও শেহজাদের মধ্যে বাকযুদ্ধ শুরু হয়।
শেহজাদ বলেন, ‘বুঝতে পারছি ইমাম (পিসিবির) চুক্তিতে আছেন; তিনি তরুণ। ওনার বয়সে থাকলে আমরাও একই কথা বলতাম। তবে ৩৪ বছর বয়সে এসে এই বিষয়গুলি নিয়ে আমি হতাশ। আপনি যখন ৪-৫ বছর ধরে ফর্মে না থাকা খেলোয়াড়দের ধরে রাখছেন, তখন কিন্তু যারা ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করছে, তাদের সঙ্গে অন্যায় করছেন।’
জবাবে ইমাম বলেন, ‘আমি কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আছি সত্যি। তবে আমিও কিন্তু গত ৬-৭ বছর ধরে খেলছি। তারপরও আমি আপনাকে জানাতে চাই যে, আমার বয়স যখন ৩৬ হবে, তখনও এ বিষয়ে আমার অবস্থান একই থাকবে।
‘যদি কারও সমস্যা হয়, ২৮ বছর বয়স হলেও, তারা একই কথা বলতে পারে।’
২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তান অত্যন্ত খারাপ পারফর্ম করার পর পাকিস্তানের অধিনায়কের পদ ছাড়েন বাবর। এরপর শান মাসুদকে টেস্ট অধিনায়ক এবং শাহীন আফ্রিদিকে টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব দেয় পিসিবি।
কিন্তু শাহিনের নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তান পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-৪ ব্যবধানে হারার পর তাকেও নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর সাদা বলের নেতৃত্বে ফের বাবরকে নিয়ে আসে পাকিস্তান।
৫৫৮ দিন আগে
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত স্কটল্যান্ডের
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বর্তম্যান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কিছুক্ষণ পর মাঠে নামছে স্কটল্যান্ড।
বার্বাডোসের ব্রিজটাউনে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্কটিশ অধিনায়ক রিচি বেরিংটন।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটি স্কটল্যান্ডের প্রথম আন্তর্জাতিক টে-টোয়েন্টি ম্যাচ, তাও আবার বিশ্বকাপে।
দুই দলের সর্বশেষ দেখা হয় ২০১৮ সালে একদিনের ম্যাচে। ওই ম্যাচে ৩৭১ রান করেও মাত্র ৬ রানে ইংল্যান্ডকে হারায় যুক্তরাজ্যের অপর এই দেশটি। তাই বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারাতে শেষ ওই ম্যাচটিই প্রেরণা জোগাবে স্কটল্যান্ডকে।
আরও পড়ুন: জিততে ঘাম ঝরল দক্ষিণ আফ্রিকার
অন্যদিকে, চোট কাটিয়ে দলে ফিরেই গা গরমের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ ফর্মে ফেরা জোফরা আর্চার ইংল্যান্ডের শক্তি বাড়িয়েছে। এছাড়া একাধিক খেলোয়াড় আইপিএল খেলে আসায় পুরো স্কোয়াডই ফর্মে থাকার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
টসের পর স্কটিশ অধিনায়ক বলেন, ‘উইকেট শুষ্ক দেখা যাচ্ছে, যা পরে বদলে যেতে পারে। তবে আমাদের দ্রুত (পরিস্থিতির সঙ্গে) মানিয়ে নিতে হবে। আগে ব্যাট করে একটি ভালো লক্ষ্য দাঁড় করাতে চাই। দল হিসেবেই আমরা চ্যালেঞ্জটি নিয়েছি।’
জশ বাটলার বলেন, ‘আর্চারকে (দলে) পেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। সম্প্রতি সে ভালো করেছে। দলে একজন অতিরিক্ত পেসার নিয়েছি। (মার্ক) উড ও (ক্রিস) জর্ডান বোলিংয়ে থাকছে।’
ইংল্যান্ড দল: জস বাটলার (অধিনায়ক), ফিলিপ সল্ট, উইল জ্যাকস, জনি বেয়ারস্টো, হ্যারি ব্রুক, মঈন আলী, লিয়াম লিভিংস্টোন, ক্রিস জর্ডান, জোফরা আর্চার, আদিল রশিদ, মার্ক উড।
স্কটল্যান্ড দল: জর্জ মুনসি, মাইকেল জোন্স, ব্রেন্ডন ম্যাকমুলেন, রিচি বেরিংটন (অধিনায়ক), ম্যাথিউ ক্রস, মাইকেল লিস্ক, ক্রিস গ্রিভস, মার্ক ওয়াট, ক্রিস্টোফার সোল, ব্র্যাড হুইল, ব্র্যাডলি কুরি।
৫৫৯ দিন আগে
নিউ ইয়র্কের স্টেডিয়ামে পুলিশের স্নাইপার!
নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতরাতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ম্যাচ। এটি এই স্টেডিয়ামেও বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ ছিল। ৩৪ হাজর দর্শক ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়ামে নিরাপত্তার খাতিরে স্নাইপার নিযুক্ত করেছিল নাসাউ কাউন্টি পুলিশ।
জঙ্গি হামলার আশঙ্কা থেকেই এই স্টেডিয়ামে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জানিয়েছে স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা আইসিসি।
আরও পড়ুন: জিততে ঘাম ঝরল দক্ষিণ আফ্রিকার
বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার কয়েক দিন আগে জঙ্গিগোষ্ঠী আইসিস এই স্টেডিয়ামে হামলার হুমকি দেয়। বন্দুক নিয়ে হুডি পরা এক ব্যক্তির ছবি-সংবলিত একটি পোস্টার প্রকাশ করে গোষ্ঠীটি। পোস্টারে লেখা ছিল, ‘আপনি ম্যাচের জন্য অপেক্ষা করছেন… এবং আমরা আপনার জন্য অপেক্ষা করছি।’
মূলত আগামী ৯ জুন এই স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে পাকিস্তান। ওই ম্যাচে হামলার হুমকি দিয়ে পোস্টার প্রকাশ করে আইসিস। পোস্টারে ড্রোন ও ডিনামাইটও দেখা গেছে।
আইসিসের হুমকির পর নড়েচেড়ে বসেছে নাসাউ কাউন্টি পুলিশ বিভাগ। ৩ থেকে ৯ জুনের মধ্যে লং আইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সব ম্যাচের জন্যই ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে তারা।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্টেডিয়ামগুলোতে সোয়াট (SWAT) টিম কাজ করবে। তাদের সঙ্গে থাকবে বিষেশায়িত স্নাইপাররা। এছাড়া সোদা পোশাকে পুলিশ কর্মকর্তারাও মাঠের ভেতরে অবস্থান করবেন।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারেন যারা
এ বিষয়ে আইসিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘টুর্নামেন্ট চলাকালে প্রত্যেকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এটি বাস্তবায়ন করতে আমাদের ব্যাপক ও শক্তিশালী নিরাপত্তা পরিকল্পনা রয়েছে। আয়োজক দেশের (নিরাপত্তা) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা কাজ করছি।’
ড্রোন হামলার আশঙ্কায় মাঠটির আশপাশের পার্কের জায়গা ম্যাচের দিনগুলোতে জনসাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে নাসাউ কাউন্টি পুলিশ। এছাড়া ম্যাচের দিন স্টেডিয়ামে প্রবেশের আগে দর্শকদের ব্যাগে তল্লাশি চালানো করা হবে এবং বিমানবন্দরের মতো স্ক্যানারের ভেতর দিয়ে তাদের গ্যালারিতে প্রবেশ করতে হবে।
৫৫৯ দিন আগে
জিততে ঘাম ঝরল দক্ষিণ আফ্রিকার
লক্ষ্য মাত্র ৭৮ রান। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এটি একেবারেই মামুলি লক্ষ্য। তবে তা টপকাতে দারুণ ভুগতে হলো দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
হ্যাঁ, ৬ উইকেটের জয় তারা পেয়েছে বটে! তবে ৭৮টি রান করতে গিয়ে তাদের ঘাম ছুটে গেছে। খেলতে হয়েছে ১৬.২ ওভার পর্যন্ত।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চতুর্থ ও নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। তবে প্রোটিয়া বোলিং তাণ্ডবে মাত্র ৭৭ রানেই অলআউট হয় তারা। জবাবে খেলতে নেমে ১৬.২ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২০ রান করেন কুইন্টন ডি কক। এছাড়া হাইনরিখ ক্লাসেন অপরাজিত ১৯ রান।
শ্রীলঙ্কার হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
আরও পড়ুন: প্রোটিয়া বোলিং তাণ্ডবে লন্ডভন্ড শ্রীলঙ্কা
শ্রীলঙ্কা যেখানে প্রথম ইনিংস শেষ করে, সেখান থেকেই যেন দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংসের প্রথম চারটি বল ডট যাওয়ার পর চার মেরে ওভার শেষ করেন রিজা হেন্ড্রিকস। তবে পরের ওভারের তৃতীয় বলেই তাকে ফেরান নুয়ান তুশারা। ১০ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে আরও সাবধানী ক্রিকেট খেলতে থাকেন কুইন্টন ডি কক ও এইডেন মার্করাম।
কয়েক বল দেখেশুনে খেলে যেই হাত খোলা শুরু করেন মার্করাম, প্রায় তখনই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
পঞ্চম ওভারে পাথুম নিশাঙ্কার হাতে বল তুলে দেন হাসারাঙ্গা। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান তিনি দেন দ্বিতীয় বলেই। অন-ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে থাকা কামিন্দু মেন্ডিসের তালুবন্দি হয়ে আউট হন মার্করাম। ফেরার আগে ১৪ বলে এক ছক্কায় ১২ রান করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক।
ওভারের পরের বলটিতেও কট বিহাইন্ডের সম্ভাবনা জাগে। তবে শ্রীলঙ্কা রিভিউ নিলে দেখা যায় ব্যাটে নয়, ট্রিস্টান স্ট্রাবসের উরুতে সামান্য স্পর্শ করেছে বল। ফলে রিভিউ হারায় শ্রীলঙ্কা। একই ওভারের শেষ বলে সত্যি সত্যিই কট বিহাইন্ডের সুযোগ তৈরি হয়। তবে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও বল গ্লাভসে রাখতে ব্যর্থ হন কুশল মেন্ডিস। এর ফলে জীবন পান স্টাবস, আর উইকেটসহ মেইডেন ওভার নেন নিশাঙ্কা।
এরপর উইকেটের সামনে দেওয়াল তুলে দেন ডি কক ও স্টাবস। দলের জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে ৫১ ও ৫৮ রানে এ দুই ব্যাটার আউট হলে বাকি কাজটুকু সারেন ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। ১৬.২তম ওভারে চার মেরে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছান মিলার।
তবে পুরো ইনিংসজুড়ে অসাধারণ বোলিংয়ের পসরা সাজান লঙ্কান বোলাররা। একের পর এক তাক লাগানো ডেলিভারিতে দর্শকদের মনোযোগ ধরে রাখেন শেষ পর্যন্ত। তবে উইকেট তুলতে ব্যর্থ হওয়ায় টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বনিম্ন স্কোর করেও জয়বঞ্চিত হয়েছে তারা।
৫৬০ দিন আগে
প্রোটিয়া বোলিং তাণ্ডবে লন্ডভন্ড শ্রীলঙ্কা
পিচ বিশ্লেষকদের দাবি ছিল স্লো উইকেট। তবে গতির বাজিতে শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের মাত করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। তাদের বোলিং আক্রমণের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছেন হাসারাঙ্গা অ্যান্ড কোং।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চতুর্থ ও নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। তবে প্রোটিয়া বোলিং তাণ্ডবে মাত্র ৭৭ রানেই অলআউট হয়ে গেছে তারা। ফলে ৭৮ রানের লক্ষ্য পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার।
এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের সামনে শ্রীলঙ্কার কোনো ব্যাটারই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি।
ইনিংসের শুরু থেকে দেখেশুনে খেলতে থাকেন শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের দানবীয় গতি সামলে রান বের করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল তাদের। এরই মধ্যে চতুর্থ ওভারে বিশ্বকাপ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হওয়া অটনিয়েল বার্টম্যানের হাতে বল তুলে দেন মার্করাম। ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই সাফ্যলের দেখা পান তিনি।
বার্টম্যানের প্রথম ডেলিভারিতে সজোরে ব্যাট চালিয়ে বল সীমানা ছাড়া করতে চেয়েছিলেন নিশাঙ্কা। তবে উপরের কানায় লেগে তা ডিপ থার্ড ম্যান অঞ্চলে চলে যায়। সেখান থেকে বলটি তালুবন্দি করেন ক্লাসেন। নিশাঙ্কা ৮ বল মোকাবিলা করে ৩ রান করে ফিরলে ১৩ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
এরপর শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা উইকেটে কিছুক্ষণ থিতু হলেও অষ্টম ওভারের শেষ বলে নিজের প্রথম ওভারে সাফল্যের দেখা পান নর্টকিয়াও। প্যাডের দিকে আসা ডেলিভারিটি ঘুরিয়ে স্কয়ার অঞ্চল দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সীমানায় রিজা হেনড্রিকসের হাতে ধরা পড়েন কামিন্দু মেন্ডিস।
আরও পড়ুন: যেসব ভেন্যুতে আয়োজিত হচ্ছে ২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপ
পরের ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে হাসারাঙ্গা ও সামারাবিক্রমাকে যথাক্রমে স্ট্যাম্পড ও বোল্ড করে শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার প্যাভিলিয়নে পাঠান কেশব মহারাজ। মাঝখানে এক ওভার গেলে দশম ওভারের শেষ বলে কুশল মেন্ডিসের উইকেট নেন ট্রিস্টান স্টাবস। দুই বল পরে আসালঙ্কাকে ফেরান নর্টকিয়া।
মাত্র ৪৫ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে চোখে সর্ষের ফুল দেখা শুরু করেন লঙ্কান ব্যাটাররা। তবে আক্রমণের ধার কমাননি মার্করাম।
এরপর দলীয় ৬৮ রানে দাসুন শানাকা ও ৭০ রানে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস সাজঘরে ফিরলে ইনিংসের সমাপ্তি টানা ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। পরে দুই ওভারে এক রান নেওয়ার পর আউট হন থিকশানাও। শেষ ওভারের প্রথম বলে নুয়ান তুশারা রান আউট হলে ৭৭ রানে থামে শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
দলের হয়ে কুশল মেন্ডিসের ১৯ রানের ইনিংসটিই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। তিনি ছাড়া আর দুজন কেবল নিজেদের রান দুই অঙ্কে নিতে পেরেছেন।
অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ৭ রান খরচ করে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেছেন নর্টকিয়া। কেশব মহারাজ ও কাগিসো রাবাদা নিয়েছেন দুই করে উইকেট।
একইসঙ্গে অভিষিক্ত বার্টম্যানের কথা না বললেই নয়। প্রোটিয়াদের হয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের প্রথম বলেই উইকেট নেয়া এই বোলার চার ওভারে একটি মেইডেনসহ মাত্র ৯ রান খরচ করেছেন।
আরও পড়ুন: টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত শ্রীলঙ্কার
৫৬০ দিন আগে
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত শ্রীলঙ্কার
অনেক জল্পনার অবসান ঘটিয়ে চলতি মাসের শুরুতে পর্দা উঠেছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। উদ্বোধনী ম্যাচে কানাডাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার (৩ জুন) টুর্নামেন্টের চতুর্থ ম্যাচে মাঠে নামছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা।
নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কা দল:
পাথুম নিসাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালঙ্কা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, দাসুন শানাকা, ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গা (অধিনায়ক), মাহিশ থিকশানা, মাথিশা পাথিরানা, নুয়ান থুশারা।
দক্ষিণ আফ্রিকা দল:
কুইন্টন ডি কক, রিজা হেন্ড্রিকস, এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), ডেভিড মিলার, হাইনরিখ ক্লাসেন, ট্রিস্টান স্টাবস, মার্কো ইয়ানসেন, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, আনরিখ নর্টকিয়া, অটনাইল বার্টম্যান।
আরও পড়ুন: যেসব ভেন্যুতে আয়োজিত হচ্ছে ২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপ
৫৬০ দিন আগে