আইনশৃঙ্খলা
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তরা নির্বাচনের অযোগ্য, অধ্যাদেশ জারি
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র দাখিল করা হলে তিনি সংসদ সদস্য (এমপি), স্থানীয় সরকার পরিষদ বা প্রতিষ্ঠানের সদস্য, কমিশনার, চেয়ারম্যান, মেয়র বা প্রশাসক অথবা সরকারি কোনো পদ বা দায়িত্বে থাকতে পারবেন না।
সোমবার (৬ অক্টোবর) ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) অ্যাক্ট, ১৯৭৩ সংশোধন করে এ সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।
সংশোধিত অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের পর অভিযুক্ত ব্যক্তি নিম্নলিখিত অবস্থানগুলোতে থাকার জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন:
· তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়া বা থাকার যোগ্য হবেন না।
· স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোর সদস্য, কমিশনার, চেয়ারম্যান, মেয়র বা প্রশাসক হিসেবে নির্বাচিত বা নিয়োগপ্রাপ্ত হতে বা থাকতে পারবেন না।
· প্রজাতন্ত্রের কোনো চাকরিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হতে পারবেন না। এছাড়া অন্য কোনো সরকারি পদে অধিষ্ঠিত হতে পারবেন না।
তবে ট্রাইব্যুনাল কোনো ব্যক্তিকে অব্যাহতি বা খালাস দিলে ওই ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই ধারা প্রযোজ্য হবে না বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত ১০ জুলাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়াও অনেক সরকারি এবং পুলিশ কর্মকর্তার বিচার চলছে। এছাড়া জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ফরমাল চার্জ দাখিল করা হয়েছে। সংশোধিত অধ্যাদেশ জারির ফলে এখন থেকে এসব ব্যক্তি নির্বাচনে অযোগ্য হবেন।
এর আগে, গেল বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ওই সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট ১৯৭৩ একটি সেকশন যুক্ত করা হয়েছে। নতুন সংযোজিত ধারা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে উক্ত আইনের সেকশন ৯-এর ১-এর অধীনে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র (ফরমাল চার্জ) দাখিল হলে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়া বা বহাল থাকার অযোগ্য হবেন।
তিনি আরও বলেন, একইভাবে অভিযুক্ত ব্যক্তি স্থানীয় সরকার পরিষদ বা প্রতিষ্ঠানের সদস্য, কমিশনার, চেয়ারম্যান, মেয়র বা প্রশাসক হিসেবে নির্বাচিত হওয়া বা বহাল থাকার অযোগ্য হবেন। এমনকি প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে নিয়োগ পাওয়া বা অন্য কোনো পাবলিক অফিসে অধিষ্ঠিত হওয়ারও অযোগ্য হবেন।
৬৯ দিন আগে
মানবতাবিরোধী অপরাধে আ.লীগ নেতা হানিফসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি
জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ দলটির আরও তিন নেতাকে গ্রেপ্তারের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন— অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, মঈনুল করিম, সহিদুল ইসলাম।
শুনানি শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। একইসঙ্গে ১৪ অক্টোবর হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
মামলার অন্য তিন আসামি হলেন— কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সদর উদ্দিন খান, জেলা সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা। তবে চারজনই পলাতক রয়েছেন।
এর আগে, রোববার (৬ অক্টোবর) হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেন প্রসিকিউশন। এতে সুনির্দিষ্ট তিনটি অভিযোগ আনা হয়, যার মধ্যে রয়েছে উসকানিমূলক বক্তব্য, ষড়যন্ত্র ও কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যা। পরে প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।
প্রসঙ্গত, জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ঘিরে কুষ্টিয়ায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ছয়জন। একইসঙ্গে আহত হন বেশ কয়েকজন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাসানুল হক ইনু ও মাহবুবউল আলম হানিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। পরে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত সংস্থা।
নিহতরা হলেন— আশরাফুল ইসলাম, সুরুজ আলী বাবু, আব্দুল্লাহ আল মুত্তাকিন, মো. উসামা, বাবলু ফারাজি ও ইউসুফ শেখ শহীদ খান।
৭০ দিন আগে
নরসিংদীতে চাঁদাবাজদের ছাড়িয়ে নিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের ওপর হামলা
নরসিংদী শহরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের সময় হাতেনাতে আটক করা দুই চাঁদাবাজকে ছাড়িয়ে নিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনোয়ার হোসেনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে নরসিংদী পৌর শহরের আরশিনগর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম সদর উপজেলার বীরপুর এলাকার পুরানপাড়া থেকে এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পরিদর্শনে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে শহরের আরশিনগর মোড়ে কয়েকজন ব্যক্তি যানবাহনের চালকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করছিলেন।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে পুলিশ দুইজনকে হাতেনাতে আটক করে। আটকের খবর পেয়ে তাদের ছাড়িয়ে নিতে ৩০-৪০ জন সন্ত্রাসী ঘটনাস্থলে এসে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে হুমকি দেয়। পুলিশ আটক ব্যক্তিদের ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালে বিনা উসকানিতে তারা পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলা চালায় এবং কিল-ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে।
এক পর্যায়ে আনোয়ার হোসেন মাটিতে পড়ে জ্ঞান হারান। এ সুযোগে সন্ত্রাসীরা দুই চাঁদাবাজকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরা তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. ফরিদা গুলশানা কবির বলেন, আনোয়ার হোসেনের ঘাড় ও পায়ে আঘাতজনিত রক্ত জমাট বেঁধেছে। তিনি মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বীরপুর এলাকা থেকে ফেরার পথে দেখি, কয়েকজন চলন্ত যানবাহন থেকে জোরপূর্বক চাঁদা তুলছে। আমি দুইজনকে হাতেনাতে আটক করি। কিছুক্ষণ পর ৩০-৪০ জনের একদল সন্ত্রাসী এসে আমার ওপর হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমি মাটিতে পড়ে জ্ঞান হারাই।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘চাঁদাবাজদের ছাড়িয়ে নিতে ইজারাদারের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে।’
অন্যদিকে, নরসিংদী পৌরসভার সিএনজি-অটোরিকশা স্ট্যান্ডের ইজারাদার মো. আলমগীর মোবাইল ফোনে ইউএনবিকে বলেন, ‘পুলিশের ওপর হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। পৌরসভার দেওয়া নিয়মনীতি অনুসরণ করেই ইজারার টাকা তোলা হয়। পুলিশ বাধা দেওয়ায় ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। পুলিশের ওপর হামলার খবর মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’
এ বিষয়ে নরসিংদীর পুলিশ সুপার মেনহাজুল আলম এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. কলিমুল্লাহর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এ দিকে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) ফোন রিসিভ করে জানান, তিনি বর্তমানে ছুটিতে আছেন।
৭২ দিন আগে
বাগেরহাটে দুর্গোৎসবে ডিউটিরত পুলিশ-আনসারের ওপর হামলা, ৩ নারী আটক
বাগেরহাটের চিতলমারীতে শারদীয় দুর্গোৎসবে ডিউটিতে থাকা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুইজনকে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার হাড়িয়ারঘোপ (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের আমোদিনীর বাড়ি সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরের সামনে রাস্তায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে ওই পুজামন্ডপে দায়িত্বে থাকা এক আনসার সদস্যকে গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টা করা হয়।
হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় তিনজন নারী আসামিকে আটক করেছে পুলিশ। হামলার ঘটনার পর ওই পুজামন্ডপে নিরাপত্তায় সর্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন চিতলমারীর বড়বাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সঞ্জয় মন্ডল, এএসআই আক্তার হোসেন, এএসআই বশির আহম্মেদ এবং কনস্টেবল সাগর মল্লিক। এদের মধ্যে এসআই সঞ্জয় মন্ডল এবং এএসআই আক্তার হোসেন চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শ্বাসরোধ করে যে আনসার সদস্যকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে তার নাম মো. আল আমিন (৩০)।
আটক তিন আসামি হলেন— সাথী বেগম (৪৫), পান্না বেগম (৩৮) এবং লাভনী বেগম (৩২)। তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য এবং তাদের বাড়ি চিতলমারী উপজেলার হাড়িয়ারঘোপ গ্রামে।
পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় বড়বাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই বশির আহম্মেদ বাদি হয়ে নারীসহ নয় জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ১০–১২ জনকে আসামি করে সোমবার চিতলমারী থানায় মামলা দায়ের করেন। হামলার পর পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত ওই তিন আসামিকে আটক করে।
চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন বড়বাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সঞ্জয় মন্ডল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানান, রবিবার রাতে হাড়িয়ারঘোপ (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের আমোদিনীর বাড়ি সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরের সামনে রাস্তায় আনসার সদস্য আল আমিন দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় হাড়িয়ারঘোপ গ্রামের হাফিজ শিকদার তাকে জিজ্ঞাসা করে—“এখন কয়টা বাজে?” ৭টা বাজে বলায় হাফিজ শিকদার ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে তার গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে ছুটে এলে হাফিজ শিকদার পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখান থেকে চলে গেলে পুনরায় হাফিজ এসে আনসার সদস্য আল আমিনকে হুমকি দেয়।
এসআই সঞ্জয় মন্ডল আরও জানান, পরবর্তীতে আনসার সদস্যকে হুমকির খবর পেয়ে ডিউটিতে থাকা অবস্থায় তিনি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে পৌঁছান। এরপর হাফিজ শিকদার এবং তার পরিবারের নারী-পুরুষসহ কয়েকজন সেখানে এসে ডিউটিরত অবস্থায় তাদের উপর হামলা চালায়। ওই হামলায় চারজন আহত হয়। হামলাকারীদের কাছে ধারালো দা, টর্চলাইট, লাঠিসোটা এবং ইট-পাটকেল ছিল।
চিতলমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহাদাৎ হোসেন জানান, পুলিশ উপর হামলার ঘটনায় সোমবার থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারীকে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত তিনজনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
৭৬ দিন আগে
খাগড়াছড়িতে চলমান অবরোধের মধ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি
খাগড়াছড়িতে স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের মধ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছেন জেলা প্রশাসন।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকবে।
খাগড়াছড়ির জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই আদেশ দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি এবং জনগণের জান ও মালের ক্ষতিসাধনের আশঙ্কা রয়েছে। তাই ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারির আদেশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আজ দুপুর ২টা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় এই আদেশ জারি করা হয়। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
১৪৪ ধারা জারির ফলে খাগড়াছড়ি সদর ও পৌর এলাকায় চার বা ততোধিক মানুষের জমায়েত, মিছিল, সমাবেশ, মাইকিং ও অস্ত্র বহনসহ যেকোনো ধরণের উস্কানিমূলক কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে একমাত্র বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষায় সাঁওতালদের বিক্ষোভ সমাবেশ
৭৯ দিন আগে
কেরানীগঞ্জে কৃষিজমির আড়ালে বাংলা মদের কারখানা জব্দ
ঢাকার কেরানীগঞ্জে কৃষিজমির আড়ালে গড়ে ওঠা বাংলা মদের কারখানা জব্দ করেছে পুলিশ। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ড্রামভর্তি মদ ধ্বংস করা হয়।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে রোহিতপুর বিসিক শিল্পনগরীর পাশে পোড়াহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় যুবকেরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি জানানোর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মমিনুল হক ডাবলু জানান, ওই গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী কামাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলা মদ তৈরি করে আসছিলেন। তিনি অবৈধ ব্যবসা থেকে অর্জিত কোটি কোটি টাকা খরচ করে একটি আলিশান ভবনও নির্মাণ করেছেন।
এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, কামাল স্থানীয় নতুন সোনাকান্দা পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে পাঁচশ গাজর, আখের রস, পচা ভাত ও বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশিয়ে মদ তৈরি করতেন। ধানক্ষেতে একাধিক ড্রামে আগুন জ্বালিয়ে চুলায় মদ বানানো হতো। ক্ষেতজুড়ে কাঁচা মদ ভর্তি ড্রাম ও পলিথিনের প্যাকেটে ভরা প্রস্তুতকৃত মদ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় যুবকেরা জানান, কামাল ও তার সহযোগীরা প্রায় আট থেকে দশ বছর ধরে অভিনব কায়দায় এ ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এর ফলে কেরানীগঞ্জের অনেক তরুণ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। তারা কামালসহ সংশ্লিষ্টদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান।
কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘কেরানীগঞ্জে কোথাও কোনো মদের কারখানা চলতে দেওয়া হবে না। আপনারা কোনো তথ্য পেলে পুলিশকে জানাবেন, আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেব।’
এ ঘটনায় বিকেলে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
৮২ দিন আগে
সাবেক কাউন্সিলর ও আ.লীগ নেত্রী নার্গিস গ্রেপ্তার
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক নারী কাউন্সিলর ও নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের নেত্রী হাজেরা খাতুন নার্গিসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) তালেবুর রহমান।
আরও পড়ুন: তেঁতুলিয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত জামায়াত কর্মী গ্রেপ্তার
তিনি জানান, নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গুলশান থানার একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে ওই নারী নেত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে তাকে গুলশান থানায় নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
তবে কোন অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।
৮২ দিন আগে
কুমিল্লার চান্দিনায় আওয়ামী লীগের ৫ নেতাকর্মী আটক
কুমিল্লার চান্দিনায় পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এদের মধ্যে ৩ জনের বিরুদ্ধে আগের কোন মামলা নেই। তাদেরকে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতের বিভিন্ন সময় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) তাদেরকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়।
সন্ত্রাস বিরোধী আইনে গ্রেপ্তাররা হলেন—চান্দিনার মৃত তৈয়ব আলী ভূঁইয়ার ছেলে ফারুকুল ইসলাম ভূঁইয়া, তিনি চান্দিনা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি।
বেলাশহর কচুয়ারপাড় গ্রামের মৃত জুলফু মিয়ার ছেলে চান্দিনা পৌর তাঁতী লীগ সভাপতি মো. মাহাবুব আলম, হাসিমপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেম এর ছেলে বাতাঘাসি ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম লিটন।
এ দিকে মাধাইয়া ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা নাওতলা গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে কামরুল হাসান (কুট্টি) এর বিরুদ্ধে পূর্বের ২টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অপরদিকে বেলাশহর গ্রামের কুটু মিয়ার ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম কে বিস্ফোরক আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম জানান, আটকদের মধ্যে ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। অপর ৩ জনকে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
৮৫ দিন আগে
তেঁতুলিয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত জামায়াত কর্মী গ্রেপ্তার
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় মাদ্রাসাছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে জামাল উদ্দিন (৪৫) নামে এক জামায়াত কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠিয়েছে তেঁতুলিয়া মডেল থানার পুলিশ ।
এর আগে গতকাল শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই ভুক্তভোগী মাদ্রাসা ছাত্রীর নানী বাদী হয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে রাতেই উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের ঠুনঠুনিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে জামাল উদ্দিনকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, আটক জামাল উদ্দিন একই এলাকার আলী হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা বলছেন, আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও ৫ আগস্টের পর জামাল উদ্দিন জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন। তিনি ঠুনঠুনিয়া মসজিদের ক্যাশিয়ার ছিলেন। ঘটনার পর মসজিদের দায়িত্ব থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, মায়ের মৃত্যুর পর মাদ্রাসার ওই ছাত্রী ছোট থেকেই নানীর বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। স্থানীয় একটি নুরানী মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতেন তিনি।
গত ১৭ জানুয়ারি সকালে ওই মাদ্রাসার ছাত্রী তার নানীর বাড়ির পাশে অভিযুক্ত জামাল উদ্দিনের বাড়িতে ফ্রিজ থেকে মুরগির মাংস আনতে যায়।
সাবেক ভূমিমন্ত্রীর গাড়িচালকের বাড়ি থেকে ২৩ বস্তা নথি জব্দ
এ সময় জামাল উদ্দিনের বাড়িতে লোকজন না থাকায় ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়। েএতে ওই মাদ্রাসার ছাত্রী অস্বীকৃতি জানালে জামাল উদ্দিন ক্ষিপ্ত ও রাগান্বিত হয়ে ওই মাদ্রাসার ছাত্রীকে জোর করে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
এভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে দীর্ঘদিন ধরে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করেন জামাল উদ্দিন এবং একপর্যায়ে ওই মাদ্রাসা ছাত্রী অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় সামাজিক বিচার শালিশও হয়।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, আসামি জামাল উদ্দিন ঘটনার দায় স্বীকার করলেও পরে তিনি তার স্ত্রী ও ভাইসহ আসামিদের সহযোগিতায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
গত ১৪ জুন সকালে ভিকটিমকে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। মীমাংসার আশ্বাসে পরে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে তার পরিবার। এ ঘটনায় মাদ্রাসার ওই ছাত্রী বিচার না পাওয়ায় তার নানী মামলা দায়ের করলে রাতেই পুলিশ জামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে।
ঠুনঠুনিয়া এলাকার এক বাসিন্দা জানান, জামাল জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছে। এ ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর তাকে সম্ভবত দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, গ্রামের মসজিদের দায়িত্ব থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ইকবাল হোসাইনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এজাহারে জামাল উদ্দিন ছাড়াও আরও তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুসা মিয়া জানান, আসামি জামাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
৮৫ দিন আগে
সাবেক ভূমিমন্ত্রীর গাড়িচালকের বাড়ি থেকে ২৩ বস্তা নথি জব্দ
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের পারিবারিক গাড়িচালকের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২৩ বস্তা নথি জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের শিকলবাহা এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। তবে এ সময় কাউকে আটক করতে পারেনি দুদক টিম।
দুদকের উপ-পরিচালক মশিউর রহমান জানান, সাইফুজ্জামান জাবেদের স্ত্রী রুখমিলা জামানের গাড়িচালক ইলিয়াসের শিকলবাহার বাড়িতে অর্থপাচার ও দেশীয় ব্যবসার বিভিন্ন নথিপত্র লুকিয়ে রাখার খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়।
তিনি আরও জানান, বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকা থেকে উৎপল পাল ও আবদুল আজিজ নামের সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে দুদক। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাদের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে দুদক। আদালত তাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় খালাস পেলেন বিএনপির টুকু, মীর নাসির ও মীর হেলাল
মশিউর রহমান বলেন, রিমান্ডে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে স্থানীয় পুলিশ, চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বাড়িটিতে অভিযান চালিয়ে ২৩ বস্তা বিভিন্ন নথিপত্র জব্দ করা হলেও কোনো অর্থের সন্ধান পাওয়া যায়নি। অভিযানের খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন পালিয়ে যান।
দুদকের আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, উৎপল পাল ও আব্দুল আজিজের কাছ থেকে দুইটি ল্যাপটপ ও মোবাইল জব্দ করা হয়েছে। এসব ডিভাইস থেকে বিপুল পরিমাণ তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুরে দুদকের অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড এলার্ট জারির জন্য আদালতে আবেদন করা হয়।
দুদকের আইনজীবী মোকাররম হোসাইন জানান, এ বিষয়ে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের মহানগর স্পেশাল জজ মো. আব্দুর রহমানের আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
৮৫ দিন আগে