দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডকে ৭৭ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ।
বুধবার চট্টগ্রামে সাকিবের সর্বোচ্চ পাঁচটি উইকেটে এই জয় পায় টাইগাররা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি প্রতি পক্ষ ১৭ ওভারে কমে যাওয়ার পরে টাইগাররা তিন উইকেটে ২০২ রান করে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত আয়ারল্যান্ডের
লিটন দাস ও রনি তালুকদার প্রথম উইকেট জুটিতে মাত্র ৯ ওভার দুই বলে ১২৪ রান করেন। ১২তম ওভারে বেন হোয়াইটের কাছে পড়ার আগে লিটন ৪১ বলে ১০টি চার ও তিনটি ছক্কায় ৮৩ রান করেন।
উইকেটরক্ষক-ব্যাটার লিটন ১৮ বলে ফিফটি হাঁকান, যা টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশিদের দ্রুততম ফিফটি। ২০০৭ সালে মোহাম্মদ আশরাফুলের ২০ বলে ফিফটির রেকর্ড ভাঙেন তিনি।
তালুকদারও বেন হোয়াইটের বলে মার্ক অ্যাডেয়ারের হাতে ধরা পড়ার আগে ২৩ বলে ৪৪ রানের ফ্রি-ফ্লোইং নক খেলেন।
এরপর রান সংগ্রহ করতে থাকেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও তৌহিদ হৃদয়। ২৪ বলে ৩৮ রানের অপরাজিত ইনিংসে তিনটি চার ও তিনটি ছক্কা মেরেছেন সাকিব।
আয়ারল্যান্ডের পক্ষে সেরা বোলার হোয়াইট চার ওভারে ২৮ রানে দুটি উইকেট নেন।
অ্যাডায়ারও একটি উইকেট নিতে সক্ষম হন তবে তার চার ওভারে ৫২ রান দেন।
২০৩ রান তাড়া করে আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশের মানসম্পন্ন আক্রমণের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিরোধ দিতে ব্যর্থ হয়। ইনিংসের প্রথম বলেই আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক পল স্টার্লিংয়ের উইকেট তুলে নেন ফর্মে থাকা তাসকিন আহমেদ।
তাসকিনের প্রথম উইকেটের পর, সাকিব তার প্রথম তিন ওভারে পাঁচ উইকেট নেন এবং চার ওভারে ২২ রানে পাঁচ উইকেট ফিরিয়ে দেন। এর মাধ্যমে তিনি নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদিকে পেছনে ফেলে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হন।
সাকিবের এখন ১১৪ ম্যাচে ১৩৬ উইকেট রয়েছে এবং সাউদির ১০৭ ম্যাচে ১৩৪ উইকেট রয়েছে। সাকিবের বোলিং স্পেলের পর তাসকিন আরও দুটি উইকেট নেন এবং চার ওভারে ২৭ রানে তিনটি নেন।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে ৩০ বলে অপরাজিত ফিফটি হাঁকান কার্টিস ক্যাম্পার।
দুই দলই আগামী ৪ এপ্রিল ঢাকায় একক টেস্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী সাকিব
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডকে ২০৩ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ