রবিবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সভাকক্ষে এক অনাড়ম্বর আয়োজনে এই চেক বিতরণ করা হয়।
ক্রীড়া সাংবাদিকদের তিনটি সংগঠন বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি (বিএসপিএ), বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিএসজেএ) ও বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট কমিউনিটি (বিএসজেসি) এবং দেশের তৃণমূল পর্যায়ে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংগঠক ও ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তার জন্য দেশের সকল বিভাগীয় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার মধ্যে প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকার এই চেক বিতরণ করা হয়।
এ সময় ঢাকা ও তার পাশ্ববর্তী দশটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা দুর্যোগের শুরু থেকেই আমরা আমাদের ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংগঠকদের মানবিক সহায়তা করার চেষ্টা করে আসছি। ইতোমধ্যে আমরা বিভিন্ন ফেডারেশনের মাধ্যমে এক হাজার ক্রীড়াবিদকে এক কোটি টাকা দিয়েছি। আমরা বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশন, ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সাংবাদিক সংগঠনের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীও বিতরণ করেছি। আজ আমরা ৮টি বিভাগীয় ও ৬৪টি জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে প্রায় সোয়া দুই কোটি টাকার চেক বিতরণ করছি। এ সকল উদ্যোগই সফলভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে ক্রীড়াপ্রেমী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা ও সার্বিক দিক নির্দেশনায়।’
‘আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, সরকারের এ মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরবর্তীতেও অব্যাহত থাকবে,’ যোগ করেন জাহিদ আহসান রাসেল।
উল্লেখ্য, দেশের ৬৪ জেলা থেকে ৪৫ জন করে এবং ৮ বিভাগ থেকে ১০ জন করে সর্বমোট ২ হাজার ৯৬০ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব পাবেন এই অর্থ। প্রত্যেককে ৭ হাজার টাকা করে মোট দুই কোটি সাত লাখ বিশ হাজার টাকা দেয়া হবে। বিভাগীয় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় ক্রীড়াবিদদের হাতে তুলে দিবেন এ অর্থ।
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. আখতার হোসেন, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব জনাব মো. মাসুদ করিম, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভাগীয় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধি ও ক্রীড়া সাংবাদিক সংগঠন সমূহের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।