বুধবার সকালে নিজের অফিসিয়াল ফেজবুক পেইজে নাসুমের সাথে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। সেই সাথে এই প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন যে, এমন আচারণ তিনি আর কখনো করবেন না।
আরও পড়ুন: মুহূর্তগুলো হয়ত ভুলেই যেতে চাইবেন মুশফিক
মুশফিক লেখেন, ‘ম্যাচ চলাকালীন ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো সম্পর্কে প্রথমে আমি আমার সমস্ত ভক্ত এবং দর্শকদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাচ্ছি।
‘আমি আমার সতীর্থ নাসুমের কাছে খেলার পরে ইতিমধ্যে ক্ষমা চেয়েছি। দ্বিতীয়ত, আমি সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থণা করেছি,’ বলেন তিনি।
মুশফিক আরও লেখেন, ‘আমি সর্বদা মনে রাখি, সর্বোপরি আমি একজন মানুষ এবং মাঠে আমি যে অঙ্গভঙ্গি দেখিয়েছি তা মোটেই গ্রহণযোগ্য ছিল না।’
ভবিষ্যতে এমন আচারণ আর কখনো করবেন না প্রতিশ্রতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, নিকট ভবিষ্যতে মাঠে বা মাঠের বাইরে এমন আচারণের পুনরাবৃত্তি হবে না।’
শান্ত, দায়িত্বশীল ও নম্র এসবগুণই খাটে ‘মুশির’র সাথে। তার ক্যারিয়ারে তাকে শৃঙ্খলাভঙ্গ বা ইগো সংক্রান্ত কোনো ঝামেলায় ঝড়াতে দেখা যায় নি। অহংকার সমস্যা দ্বারা ডাকা হতে পারে না। তার ব্যক্তিত্ব অন্যতম গুণ হিসেবে মনে করে আসা হচ্ছে। তবে কি এমন হলো যার জন্য সোমবার যাতে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি এলিমিনেটর খেলায় বেক্সিমকো ঢাকার হয়ে খেলতে গিয়ে নিজের দলের জুনিয়র সতীর্থ নাসুম আহমেদের সাথে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমন অশালীন প্রতিক্রিয়া দেখালেন। কী ঘটতে পারে তাও কেউ অনুমান করতে পারছেন না।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপ: ঢাকার কাছে হেরে বিদায় বরিশালের
যদিও শেষ পর্যন্ত ঘটনা বা চূড়ান্ত ফলাফল কোনটাই ঢাকার বিপক্ষে যায়নি। ৯ রানের ব্যবধানে ম্যাচটি জিতেছে বেক্সিমকো ঢাকা। এ জয়ের মধ্যে দিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে পৌঁছে গেছে তারা। তবে খেলা শেষে সবারই মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল কুল মুশফিকের মেজাজ হারানোর মুহুর্তটিকে ঘিরে।
ঘটনাটি ঘটে বরিশালের ব্যাটিং করা সময়। ইনিংসের ১৭তম ওভারে শফিকুলের বলে ফিফটি ঢাকার জন্য বিপদজ্জনক হয়ে উঠা আফিফের ক্যাচ তুলেন উইকেটের পেছনে। সেই ক্যাচ তালুবন্দি করতে ছুটে যান মুশফিক। এরমধ্যে ক্যাচ ধরতে শর্ট ফাইন লেগে থাকা ফিল্ডার নাসুমও চলে আসেন বলের কাছাকাছি। এসময় ক্যাচ ধরতে গিয়ে মুশফিক ও নাসুমের মধ্যে ধাক্কা প্রায় লেগেই যাচ্ছিল। যদিও নিরাপদেই ক্যাচটি গ্লাভসবন্দী করে নিতে সমস্যা হয়নি উকেটরক্ষক মুসফিকের। বল হাতে থাকা অবস্থায় ঢাকার অধিনায়ককে মেজাজ হারিয়ে নাসুমকে প্রায় মারতে উদ্যত হতে দেখা যায়।
ম্যাচ শেষে দলের ফিল্ডিং নিয়ে হতাশ ছিলেন জানালেও ঠিক কী কারণে এমনটা করলেন সে বিষয়ে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে পরিষ্কার করেননি ঢাকার অধিনায়ক।