মহামারি চলাকালীন সময়ে প্রথমবারের মতো শুক্রবার এক ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে যোগ দেন তিনি।
চলতি বছরের শুরুর দিকে গত মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ তাদের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে। এর পরে টাইগারদের পাকিস্তানে যাওয়ার কথা থাকলেও কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে সে সময় যাওয়া হয়নি। একই কারণে, বাংলাদেশের আয়ারল্যান্ড সফর এবং অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফরও স্থগিত করা হয়।
চলমান বিশ্বকাপ টেস্ট চ্যাম্পিয়ানশিপের অংশ হিসেবে কোভিড-১৯ এর কারণে দীর্ঘ বিরতি শেষে টাইগারদের ২৭ সেপ্টেম্বর তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে অংশ নিতে শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে, কোভিড-১৯ এর কড়া বিধিনিষেধাজ্ঞার জন্য পরে সিরিজটি স্থগিত করতে বাধ্য হয় দুই বোর্ড। এ সিরিজে অংশ নিতে শ্রীলঙ্কা যাওয়ার পরে বাংলাদেশকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়, তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সাতদিনের কোয়ারেন্টাইনের আহ্বান জানায়। এতে শ্রীলঙ্কা সায় না দেয়ায় সিরিজটি স্থগিত করা হয়।
গণমাধ্যমের সাথে ভার্চুয়াল আলাপকালে ডমিঙ্গো বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা সফর হচ্ছে না বলে আমি খুব হতাশ। যেসব শর্ত রেখেছিল তা মেনে খেলতে না যাওয়ার বিষয়ে বিসিবি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমি মনে করি বিসিবি ঠিকই করেছে। কোনো ধরনের প্রস্তুতি ছাড়া এবং ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন পালন করে টেস্ট ম্যাচ খেলা আমাদের জন্য অনেক কঠিন হতো। আমি বিসিবির এ সিদ্ধান্তকে পুরোপুরি সমর্থন করছি।’
তিনি বলেন, তবে এজন্য আমাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে হচ্ছে। বাংলাদেশ দল একসাথে খেলে না প্রায় সাত মাস হয়ে গেছে। শেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজের পরে আমরা আশা করেছিলাম ভালো কিছু অগ্রগতি হবে। বিসিবি কিছু ঘরোয়া লিগের আয়োজন করছে। ডিসেম্বরে ক্রিকেট খেলার জন্য বাইরের দেশ থেকে এক-দুইটা আমন্ত্রণ পেয়েছে। এখনও কিছুই নিশ্চিত হয়নি। আমি মনে করি সঠিকভাবে ঘরোয়া ক্রিকেট হওয়া দরকার। কোচ হিসেবে আমি মনে করি ছেলেদের প্রথমে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা উচিত এবং পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে যেতে পারে।
বর্তমানে দল হিসেবে প্রশিক্ষণে ব্যস্ত টাইগাররা। তারা একটি ১৫ দিনের জৈব সুরক্ষা বলয়ে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প শুরু করেছে, এখানে তারা তিনটি আন্তঃস্কোয়াড ম্যাচ খেলবে।
ডোমিঙ্গো বলেন, খেলোয়াড়দের সবারই ফিটনেস ভালো আছে। বিসিবির ব্যক্তিগত প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম ক্রিকেটারদের খেলতে নামতে প্রস্তুত থাকতে সহায়তা করেছে।