কাইল মায়ার্স ২০টি চার ও ৭টি ছক্কায় ২১০ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া এনক্রুমা বোনার করেন ৮৬ রান।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শনিবার প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৯৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে তিন উইকেট হারিয়ে ১১০ রান করে। রবিবার শেষ দিনে এই ম্যাচটি জিততে সফরকারীদের প্রয়োজন ছিল ২৮৫ রান। অন্যদিকে সাত উইকেট নিলেই দুই ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে যেত টাইগাররা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম টেস্ট: চোখ রাঙাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
চতুর্থদিন শেষে এনক্রুমা বোনার ও কাইল মায়ার্স যথাক্রমে ১৫ ও ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। রবিবার শেষদিনে এই জুটিই যেন বাংলাদেশের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ২১৬ রানের বড় জুটি গড়ে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন এই দুই ব্যাটসম্যান। ৫৯ রানে ৩ উইকেট হারানো সফরকারীরা চতুর্থ উইকেট হারায় ২৭৫ রানে।
বোনার ৮৬ রানে আউট হলেও এক প্রান্ত আগলে রাখেন অভিষেকেই সেঞ্চুরি হাঁকানো মায়ার্স। তুলে নেন ডাবল সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেন এই বামহাতি ব্যাটসম্যান।
বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদী হাসান মিরাজ ৪টি উইকেট লাভ করেন। এছাড়া তাইজুল ২টি ও নাইম ১টি উইকেট লাভ করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম টেস্ট: জয়ের জন্য উইন্ডিজের প্রয়োজন ২৮৫ রান, টাইগারদের ৭ উইকেট
ক্রিকেটের নির্দিষ্ট বল দিয়েই ক্রিকেট খেলতে হবে: মাশরাফি
এর আগে ডানহাতি অলরাউন্ডার মেহেদীর সেঞ্চুরির সুবাদে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৪৩০ রানে। মেহেদী আট নম্বরে নেমে ১৬৮ বলে ১৩ বাউন্ডারিতে ১০৩ রান করেন। পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথম ইনিংসে ২৫৯ রানে গুটিয়ে দিয়ে ১৭১ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট শুরু করে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ইনিংসে অধিনায়ক মুমিনুলের দশম সেঞ্চুরি এবং লিটন দাসের ষষ্ঠ ফিফটিতে ভর করে আট উইকেটে ২২৩ রান করে ৩৯৪ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ।