লক্ষ্য মাত্র ৭৮ রান। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এটি একেবারেই মামুলি লক্ষ্য। তবে তা টপকাতে দারুণ ভুগতে হলো দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
হ্যাঁ, ৬ উইকেটের জয় তারা পেয়েছে বটে! তবে ৭৮টি রান করতে গিয়ে তাদের ঘাম ছুটে গেছে। খেলতে হয়েছে ১৬.২ ওভার পর্যন্ত।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চতুর্থ ও নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। তবে প্রোটিয়া বোলিং তাণ্ডবে মাত্র ৭৭ রানেই অলআউট হয় তারা। জবাবে খেলতে নেমে ১৬.২ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২০ রান করেন কুইন্টন ডি কক। এছাড়া হাইনরিখ ক্লাসেন অপরাজিত ১৯ রান।
শ্রীলঙ্কার হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
আরও পড়ুন: প্রোটিয়া বোলিং তাণ্ডবে লন্ডভন্ড শ্রীলঙ্কা
শ্রীলঙ্কা যেখানে প্রথম ইনিংস শেষ করে, সেখান থেকেই যেন দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংসের প্রথম চারটি বল ডট যাওয়ার পর চার মেরে ওভার শেষ করেন রিজা হেন্ড্রিকস। তবে পরের ওভারের তৃতীয় বলেই তাকে ফেরান নুয়ান তুশারা। ১০ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে আরও সাবধানী ক্রিকেট খেলতে থাকেন কুইন্টন ডি কক ও এইডেন মার্করাম।
কয়েক বল দেখেশুনে খেলে যেই হাত খোলা শুরু করেন মার্করাম, প্রায় তখনই আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
পঞ্চম ওভারে পাথুম নিশাঙ্কার হাতে বল তুলে দেন হাসারাঙ্গা। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান তিনি দেন দ্বিতীয় বলেই। অন-ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে থাকা কামিন্দু মেন্ডিসের তালুবন্দি হয়ে আউট হন মার্করাম। ফেরার আগে ১৪ বলে এক ছক্কায় ১২ রান করেন প্রোটিয়া অধিনায়ক।
ওভারের পরের বলটিতেও কট বিহাইন্ডের সম্ভাবনা জাগে। তবে শ্রীলঙ্কা রিভিউ নিলে দেখা যায় ব্যাটে নয়, ট্রিস্টান স্ট্রাবসের উরুতে সামান্য স্পর্শ করেছে বল। ফলে রিভিউ হারায় শ্রীলঙ্কা। একই ওভারের শেষ বলে সত্যি সত্যিই কট বিহাইন্ডের সুযোগ তৈরি হয়। তবে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও বল গ্লাভসে রাখতে ব্যর্থ হন কুশল মেন্ডিস। এর ফলে জীবন পান স্টাবস, আর উইকেটসহ মেইডেন ওভার নেন নিশাঙ্কা।
এরপর উইকেটের সামনে দেওয়াল তুলে দেন ডি কক ও স্টাবস। দলের জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে ৫১ ও ৫৮ রানে এ দুই ব্যাটার আউট হলে বাকি কাজটুকু সারেন ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। ১৬.২তম ওভারে চার মেরে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছান মিলার।
তবে পুরো ইনিংসজুড়ে অসাধারণ বোলিংয়ের পসরা সাজান লঙ্কান বোলাররা। একের পর এক তাক লাগানো ডেলিভারিতে দর্শকদের মনোযোগ ধরে রাখেন শেষ পর্যন্ত। তবে উইকেট তুলতে ব্যর্থ হওয়ায় টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বনিম্ন স্কোর করেও জয়বঞ্চিত হয়েছে তারা।