এপ্রিলের প্রথম অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহে বিসিবি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করতে পারে।
তার আগে নাজমুল হাসান বলেন, বোর্ড বিশ্বকাপে পরীক্ষিতদের ওপরই আস্থা রাখবে।
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘বিশ্বকাপ স্কোয়াডের অন্তর্ভুক্তিতে আমি কোনো চমকের সুযোগ দেখছি না। আমরা ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করবো এবং যাদের অধিকাংশই চূড়ান্ত।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের তামিমের (ইকবাল) পাশাপাশি আরও দুজন ওপেনার রয়েছে এবং তারা হলো লিটন (দাস) ও সৌম্য (সরকার)। তারপর আমাদের সাকিব (আল হাসান), মুশফিকুর (রহিম) এবং মাহমুদউল্লাহ রয়েছে। আমরা তিনজন প্রধান পেসার খেলানোর চিন্তা করছি এবং তারা হলো মাশরাফি (বিন মর্তুজা), রুবেল (হোসেন) এবং মুস্তাফিজুর (রহমান)।’
নাজমুল হোসেন আরও বলেন, ‘দুজন অতিরিক্ত পেসার ছাড়া আপনি বিশ্বকাপ খেলতে যেতে পারেন না এবং তারা সম্ভবত তাসকিন (আহমেদ) এবং (মোহাম্মাদ) সাইফুদ্দিন। আমাদের বিশেষজ্ঞ স্পিনার মেহেদী (হাসান মিরাজ) রয়েছে। মিডলঅর্ডারে ব্যাকআপ হিসেবে আমাদের দুজনকে খুঁজে বের করা প্রয়োজন এবং তারা সম্ভবত সাব্বির (রহমান) ও (মোহাম্মাদ) মিথুন। সুতরাং নতুনদের জন্য আমি কোনো সুযোগ দেখছি না। ঘরোয়া ক্রিকেটে কয়েকজন ক্রিকেটার ভালো করছে, তবে ঘরোয়া ক্রিকেটের সাথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অনেক পার্থক্য।’
এনামুল হক বিজয় এবং ফরহাদ হোসেনসহ কয়েকজন ক্রিকেটার চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে ভালো করলেও বিসিবি বসের মতে, বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে তাদের খুবই কম সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট ব্যাটিং লাইনের সাত নম্বর পজিশন নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টের ভালো ফিনিশারের অভাবে গত দুই-তিন বছরে বাংলাদেশ অনেক ম্যাচ হেরেছে। এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বিসিবি সভাপতিকেও বিভ্রান্ত দেখা গেছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সাব্বির, মিরাজ অথবা সাইফুদ্দিন রয়েছে যারা সাত নম্বরে ব্যাট করতে পারে। একই সাথে সৌম্যকেও নিচের দিকে ব্যাট করতে দেখেছি। যদি আমরা তামিমের সাথে লিটনকে দিয়ে ওপেন করাই তাহলে সৌম্যকে সাত নম্বরে খেলানোর কথা বিবেচনা করবো।’