মঙ্গলবার সকালে কলকাতায় এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এটি অভ্যন্তরীণ বিষয়, তারা সমাধান খুঁজে নেবেন। না, না, তারা আসবেন। আমরা (তিনি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড- বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান) এক দিন পরপরই কথা বলি, কিন্তু এটি (ধর্মঘটের সমাধান) তো আর আমার কাজ নয়।’
দেশের ক্রিকেটাররা সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে সিদ্ধান্ত নেন যে ক্রিকেটের উন্নয়নে তাদের দাবিগুলো বিসিবি পূরণ না করা পর্যন্ত তারা ক্রিকেট-সংক্রান্ত কোনো কার্যক্রমে অংশ নেবেন না। সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আরও অনেক শীর্ষ ক্রিকেটার এ বিষয়ে ১১ দফা দাবি তুলে ধরেছেন।
এ ঘটনায় দুটি টেস্ট ও তিনটি টি২০ ম্যাচ খেলার জন্য ৩ থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের ভারত সফর নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের সফর হওয়া নিয়ে গাঙ্গুলি শুধু নিশ্চিতই নন, সেই সাথে তিনি ২২ নভেম্বর কলকাতার ইডেন গার্ডেনে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টে ভারত ও বাংলাদেশের সরকার প্রধানদের আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনাও নিশ্চিত করছেন।
‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যোগ দিতে যাচ্ছেন। আমরা এখনো ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাইনি, তবে আমরা জানাব,’ উল্লেখ করে গাঙ্গুলি বলেন, ‘টেস্ট ম্যাচটির প্রথম দিনের জন্য আমরা মুখ্যমন্ত্রীকেও (পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি) আমন্ত্রণ করছি। আমি গিয়ে তার সাথে দেখা করব।’
বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল ২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে। সেই ঢাকা টেস্টে ভারতকে নেতৃত্ব দেয়া গাঙ্গুলি এবার কলকাতা টেস্টকে আরও স্মরণীয় করে রাখতে চাইছেন। বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো কলকাতায় টেস্ট খেলতে চলেছে।
গাঙ্গুলি জানান, বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট খেলা ক্রিকেটারদের তারা আমন্ত্রণ জানাবেন। সেই সাথে তৎকালীন ভারতীয় দলের খেলায়াড়দেরও দাওয়াত দেয়া হবে। পরে দিনের খেলা শেষে তাদের সংবর্ধনার আয়োজন থাকবে। সেই সাথে সময়ের সাথে মিলে গেলে দুই প্রধানমন্ত্রীকে ঘণ্টা বাজিয়ে টেস্ট শুরুর ঘোষণা দেয়ার অনুরোধ করা হবে।