বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়ার এই অবস্থা আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে শুক্রবার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
ঢাকার আবহাওয়া প্রধানত মেঘলা থাকবে এবং সারাদিন বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর্দ্রতার মাত্রা মাঝারি থেকে উচ্চ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে, কিছু এলাকায় মাঝে মাঝে বৃষ্টি ও বজ্রবিদ্যুৎ সহ আবহাওয়া প্রধানত মেঘলা থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। মাঝারি থেকে উচ্চ আর্দ্রতার সঙ্গে তাপমাত্রা ২৩ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে।
দেশের মধ্যাঞ্চলেও মেঘলা আবহাওয়ার সঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছে। মাঝারি আর্দ্রতার সঙ্গে তাপমাত্রা ২৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে মাঝে মাঝে বৃষ্টি ও বজ্রসহ আবহাওয়া মেঘলা থাকতে পারে। মাঝারি থেকে উচ্চ আর্দ্রতার সঙ্গে তাপমাত্রা ২৬ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কিছু এলাকায় আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা প্রায় ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। আর্দ্রতার মাত্রা মাঝারি থেকে উচ্চ পর্যন্ত পরিবর্তিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর জনগণকে বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সময় প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং যতটা সম্ভব ঘরের ভিতরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
এছাড়াও, এটি বঙ্গোপসাগরের মৎস্যজীবী ও সামুদ্রিক বন্দরগুলোকে সতর্কতা অবলম্বন করার এবং সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।