বৃহস্পতিবার জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২০ মনোনয়ন চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে ভার্চুয়ালি পদক সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন সভায় সভাপতিত্ব করেন।
আরও পড়ুন: পরিবেশ বিষয়ক আইন যুগোপযোগী করা হবে: সচিব
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, মন্ত্রণালেয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মো. মনিরুজ্জামান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. একে, এম রফিক আহাম্মদ, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ ক্যাটাগরির ব্যক্তিগত পর্যায়ে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি), সাভারের প্রতিষ্ঠাতা ভ্যালেরি অ্যান টেইলর এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে কনকর্ড রেডিমিক্স অ্যান্ড কনক্রিট প্রোডাক্টস লিমিটেড ও কনকর্ড প্রি-স্ট্রেসড কনক্রিট অ্যান্ড ব্লক প্লান্ট লিমিটেড কনকর্ড সেন্টারকে মনোনীত করা হয়েছে।
এছাড়া পরিবেশগত শিক্ষা ও প্রচার ক্যাটাগরির ব্যক্তিগত পর্যায়ে খ্যাতিমান জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ড. সালীমুল হক এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশনকে (ইএসডিও) পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন ক্যাটাগরির ব্যক্তিগত পর্যায়ে ড. জহুরুল করিম এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পরিবেশের মান উন্নয়নে সবচেয়ে বড় প্রকল্প নেয়া হচ্ছে: মন্ত্রী
ঢাকায় পরিবেশবান্ধব থাকার ৩ উপায়
দেশে কোনো মানুষই গৃহহীন থাকবে না: পরিবেশ মন্ত্রী
সভাপতির বক্তব্যে মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, দেশে অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পরিবেশ ও বৃক্ষের কল্যাণে প্রশংসনীয় কাজ করে চলেছেন।
তিনি বলেন, অধিকাংশ মানুষ যেখানে সাময়িক ব্যক্তি স্বার্থে নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন করে চলেছে, সেখানে ওয়াহিদ আলী সরদারের মতো মানুষ গাছের প্রতি দয়া পরবশ হয়ে হাজার হাজার গাছ থেকে পেরেক ওঠানোর কাজ করছেন।
মন্ত্রী বলেন, নীরবে কাজ করে যাওয়া এসকল মানুষকে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে ভবিষ্যতে পুরস্কারের পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
উল্লেখ্য, জাতীয় পরিবেশ পদকপ্রাপ্ত প্রতিটি ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে ২২ ক্যারেট মানের দুই তোলা ওজনের স্বর্ণের বাজার মূল্য ও অতিরিক্ত আরও পঞ্চাশ হাজার টাকার চেক, ক্রেস্ট এবং সনদপত্র প্রদান করা হবে।