মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে ঢাকায়, আজ সকালেও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। এতে টানা দুই দিনের অবনতির পর আজ সকালে ঢাকার বায়ুমানে উন্নতি লক্ষ করা গেছে। উন্নতির এই ধারা বজায় থাকলে শহরটির বাতাসের মান ‘ভালো’ পর্যন্ত হয়ে উঠতে পারে, তখন বাসিন্দারা স্বস্তিতে নিশ্বাস নিতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল সোয়া ৯টায় ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৬৮। একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ এবং ৫০ থেকে ১০০ মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ বলে গণ্য করা হয়।
তাই বায়ুমান সূচক অনুযায়ী গত কয়েকদিনের মতো ‘মাঝারি’ পর্যায়ে অবস্থান করলেও স্কোরের ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। ৬৮ স্কোর নিয়ে আজ দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ৩০তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
গতকাল একই সময়ে একিউআই স্কোর ৯০ নিয়ে ২৪তম স্থানে ছিল ঢাকা। গত দুই দিনই ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে ওঠার প্রায় কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। সেখান থেকে আজ বেশ কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
এদিকে, টানা কয়েকদিন শীর্ষে থাকার পর আজ দূষিত শহরের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে নেমেছে কঙ্গোর কিনশাসা। একই সময়ে শহটির একিউআই স্কোর ছিল ১৭৪। কিনশাসাকে হটিয়ে এ সময় শীর্ষে অবস্থান করছিল মিসরের কায়রো, শহরটির স্কোর ছিল ২৩০। এ ছাড়া ১৬৩ স্কোর নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসে আজ আরও অবনতি
কণা দূষণের এই সূচক ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।