রাজধানীতে রবিবার তাপমাত্রার পারদ ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে যাওয়ায় তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশের বিভিন্ন স্থান। এতে দুর্ভোগে পড়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানের মানুষ।
অন্যদিকে, চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
এছাড়া দিনমজুর, রিকশাচালক, কৃষক এবং অন্যান্য যারা সাধারণত বাইরে কাজ করে তাদের জন্য সূর্যের তীব্র উত্তাপে কাজ চালিয়ে যাওয়া ক্রমশ চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে।
এমনকি পশু-পাখিরাও প্রচণ্ড গরমে অস্থির হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত
আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
ইউএনবি খুলনা প্রতিনিধি জানান, খুলনা অঞ্চলে বর্তমানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। যা মানুষ ও প্রাণীদের জন্য বিপর্যয় সৃষ্টি করছে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। এছাড়া প্রচণ্ড গরমে মানুষের চলাফেরা করা অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
এদিকে খুলনার উপকূলীয় এলাকায় পানির সংকটও জনগণের দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে। তীব্র গরমের মধ্যে রমজানে নিম্নআয়ের শ্রমিকদের সংগ্রাম আরও বেড়েছে।
মো. আনিসুল নামে একজন দিনমজুর বলেন, আমি প্রতিদিন ৫০০ টাকায় কাজ করি এবং প্রচণ্ড গরমে মাটির কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
রিকশাচালক মজনু জানান, তিনিও একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: দেশে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে
তিনি আরও জানান, তার রিকশায় ব্যাটারি নেই, তাই পায়ের প্যাডেল দিয়ে রিকশা চালাতে হয়, প্রচণ্ড গরমে যা করা খুবই কঠিন।
তা সত্ত্বেও, তাকে জীবিকা নির্বাহ করতে এবং তার পরিবারের খাবার জোগাতে এখনও তার রিকশা নিয়ে বের হতে হয়।এদিকে পথচারীরাও গরমে অস্বস্তি বোধ করছে। রোজায় তাদের গলা শুকিয়ে যাচ্ছে এবং প্রচণ্ড গরমে তাদের ঠান্ডাও লাগছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ জানান, আগামী তিন খেকে চার দিন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।
অন্যদিকে, প্রচণ্ড গরমে এমন অস্বস্তি তৈরি হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পেতে নগরীর ইলেক্ট্রনিক ও হ্যান্ড ফ্যানের দোকানে ভিড় করছেন অনেকে।