তিনি বলেন, ‘আসন্ন বোরো মওসুমে কৃষক অ্যাপসের মাধ্যমে সারাদেশে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সাথে প্রতিটি খাদ্য গুদাম সিসিটিভির আওতায় আসবে। এতে দুর্নীতি অনেকটা কমবে।’
বগুড়া সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগের আমন সংগ্রহ অভিযান নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
মতবিনিময় সভায় জেলায় চলতি মওসুমে আমন সংগ্রহ অভিযানে নানা অনিয়ম তুলে ধরেন আওয়ামী লীগ, চেম্বার অব কমার্স, চালকল মালিক, সাংবাদিক ও বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিরা।
সেই সাথে আসন্ন বোরো মওসুমে কৃষক অ্যাপসের মাধ্যমে সারাদেশে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার পরামর্শ দেন তারা। এছাড়া বগুড়া জেলা থেকে অধিক পরিমাণ ধান ও চাল কেনার প্রস্তাব করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া -৫ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান, জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মাদ, পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুইয়া, রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রায়হানুল কবির, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এসএম সাইফুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাক্তার মকবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, বগুড়া প্রেসক্লাব সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়াররম্যান একেএম আসাদুর রহমান দুলু, চেম্বারের ভাইস প্রেসিডিন্ট মাফুজুল ইসলাম রাজ, বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কাশেম আজাদ, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক, গাবতলী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হারুন অর রশিদ, জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি একেএম আমিনুল হক।
বক্তারা বলেন, খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাদের যোগসাজসে দালালদের কারণে কৃষক গুদামে ধান বিক্রি করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হন। এক দালালই ৫০ জনের ধান বিক্রি করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেন।
তারা বলেন, কৃষি কার্ডে নানা রকম অনিয়ম রয়েছে। কৃষি কার্ডধারী মৃত ব্যক্তি, অকৃষক ও এলাকার বাইরের লোকও রয়েছেন। তাই প্রকৃত কৃষক এ থেকে সুবিধা পান না। দালালদের দৌরাত্ম্যের কাছে কৃষক অসহায়। এ অবস্থার উন্নতি করতে হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মাঠ পর্যায়ের সকল ধরনের কর্মকর্তাকে সৎ হতে হবে। কোনো কৃষক হয়রানি সহ্য করা হবে না।