কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মেরিনড্রাইভ সড়কের হিমছড়ি সৈকতে ভেসে উঠেছে বিশালাকৃতির মৃত নীল তিমি।
শুক্রবার দুপুরে তিমিটি ভেসে উঠতে দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা। জোয়ারের পানি নেমে যাওয়ায় পর পূর্ণ ভাটায় সাগরের বালুতটে পড়ে থাকা মৃত তিমি দৃশ্যমান হয়।
আরও পড়ুন: জীব বৈচিত্র রক্ষায় হালদা নদীর ৮ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা
তবে মৃত তিমিটি পঁচন ধরায় গন্ধ ছড়াচ্ছে। সাগরের পানিতে ভাসতে ভাসতে মৃত তিমিটির সামনের অংশ বিকৃত হয়ে গেছে।
আনুমানিক ১৬ থেকে ১৭ বছর বয়সী এ তিমিটি ৫-৬ দিন পূর্বে মারা গেছে বলে ধারণা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ৪৪ ফুট দীর্ঘ ও ২৬ ফুট প্রস্থের এ তিমিটির ওজন আনুমানিক আড়াই টন হবে বলে ধারণা মেরিন লাইফ বিশেষজ্ঞ জহিরুল ইসলামের।
খবর পেয়ে জেলা প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ, বনবিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও মৎস্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
কক্সবাজার সম্পদ রক্ষা আন্দোলনের মুখপাত্র মুফিজুর রহমান মুফিজ জানান, গভীর সাগরে বড় জাহাজের ধাক্কায় অথবা হত্যার কারণে তিমিটির মৃত্যু হতে পারে। বাংলাদেশের জলসীমার বাইরে তিমিটি মারা যেতে পারে বলেও ধারণা পরিবেশবাদীদের।
কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম খালেকুজ্জামান বলেন, 'এ প্রজাতির তিমি আমাদের বঙ্গোপসাগরে রয়েছে। বিশেষ করে সুন্দরবনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে এসব তিমি দেখা যায়। হয়তো তিমিটি মারা যাওয়ার পর ভাসতে ভাসতে কক্সবাজার সৈকতের উপকূলে ভিড়েছে। মৃত তিমিটির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে কী কারণে মারা গেছে সেটি জানা যাবে ময়নাতদন্তের পর।'
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন রক্ষায় সবার সহযোগিতা চাইলেন পরিবেশমন্ত্রী
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ মৃত তিমি পরিদর্শন শেষে বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি নীল তিমি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য সম্পদ অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে করণীয় ঠিক করা হবে।
তিনি বলেন,'সাগরে লাখ প্রজাতির প্রাণীর বিচরণ। মাঝেমধ্যে কিছু কিছু প্রাণী মারা যাওয়াটা স্বাভাবিক। তবু কোন কারণে তিমিটি মারা গেছে, তা নির্ণয়ের চেষ্টা করা হবে।'