স্থানীয় কৃষকরা জানান, টমেটো সাধারণত শীতকালীন ফসল। কিন্তু বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কিছু গ্রীষ্মকালীন টমেটোর জাত আবিষ্কার করেছে। কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সরেজমিন গবেষণা বিভাগ এমএলটি সাইট কয়রায় এসএসিপি প্রকল্পের অর্থায়নে পরীক্ষামূলকভাবে ৩নং কয়রার কৃষক রবীন্দ্রনাথ ঢালীর জমিতে চাষ করা হয়। আর প্রথমবারের মতো টমেটো চাষ করে আলোর মুখ দেখতে পেয়ে তিনি বেশ খুশি।
রবীন্দ্রনাথ ঢালী বলেন, এই প্রথম গ্রীষ্মকালের টমেটোর চাষ করলাম। কিন্তু চিন্তায় ছিলাম লবণাক্ত জমিতে চাষাবাদ করে ভালো ফলন পারবো কিনা। তাছাড়া এই এলাকায় শীতকাল ছাড়া টমেটোর চাষ হতো না। সেই সুবাদে কখনও গ্রীষ্মকালে টমেটোর চাষ করা হয়নি। তারপরেও কৃষি গবেষণার সার্বিক সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো টমেটো চাষ করে লাভবান হতে পেরেছি। প্রতি গাছে ৪০-৫০টি টমেটো ধরেছে। প্রতি কেজি টমেটো ৮০ টাকা কেজি করে বিক্রি করতে পেরেছি। আগামীতে আরও বেশি করে চাষাবাদ করার ইচ্ছা আছে।
কৃষি বিভাগের কয়রার এমএলটি সাইটের বৈজ্ঞানিক সহকারী মো. জাহিদ হাসান বলেন, গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ করতে হলে টমেটোর চাষাবাদের কিছু উৎপাদন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হয়। যেমন বাঁশের খুঁটির সাহায্যে পলিথিন ছাউনি দিতে হয় যেন ভরা বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি থেকে রক্ষা পায়। সকল নিয়ম মেনেই চাষাবাদ করে তিনি সফলতা দেখিয়েছেন। তার দেখাদেখি অনেক কৃষক গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের জন্য আমাদের সহযোগিতা চাচ্ছে।
সরেজমিন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হারুনর রশিদ বলেন, প্রথমবারের মতো লবণাক্ত কয়রায় পরীক্ষামূলক টমেটো চাষ করে সফলতা পেয়েছি। গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ খুবই লাভজনক। আমাদের উৎপাদিত ৪টি জাত বারি হাইব্রিড টমেটো গ্রীষ্মকালে চাষাবাদ করা হচ্ছে। কয়রাসহ বিভিন্ন এলাকায় আগামীতে বেশি পরিমাণ গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষাবাদ করা যায় তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।