অত্যাবশ্যক পরিষেবা (রক্ষণাবেক্ষণ) বিল-১৯৫২ এবং অত্যাবশ্যক পরিষেবা (দ্বিতীয়) অধ্যাদেশ-১৯৫৮ কে আরও সময়োপযোগী করার জন্য বৃহস্পতিবার সংসদে অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল-২০২৩ উপস্থাপন করা হয়েছে।
ই-কমার্স, ইন্টারনেট ও ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে অত্যাবশ্যক পরিষেবাগুলোর পুরনো দুটি আইনকে একীভূত করে ইংরেজি থেকে বাংলায় লেখা হয়েছে বিলটি।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বিলটি উত্থাপন করলে তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
সংসদে বিলটি পাস হওয়ার পরে সরকার প্রয়োজনীয় যে কোনো পরিষেবাকে অপরিহার্য ঘোষণা করতে সক্ষম হবে।
আরও পড়ুন: সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত খসড়া আইনে অত্যাবশ্যক পরিষেবাগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে এমন 'অবৈধ' ধর্মঘটকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
জনসাধারণের ক্ষতি করতে পারে এমন পরিষেবাগুলোকে প্রভাবিত করে এমন কোনো কারখানা বা অন্যান্য স্থাপনা 'অবৈধভাবে' ছাঁটাই করার অনুমতি ব্যবস্থাপনাকে দেওয়া হবে না।
অত্যাবশ্যক পরিষেবার মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ সংক্রান্ত কার্যক্রম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, রেলপথ, নৌ, সড়ক ও আকাশপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন।
সরকার সর্বোচ্চ ছয় মাসের জন্য যেকোনো সেবার অপরিহার্য অবস্থা ঘোষণা করতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই ঘোষণার পর ধর্মঘট বা বন্ধের ঘোষণা এবং চাকরিতে ছাঁটাইয়ের ঘোষণা অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে।
বিলে আইন অমান্য করলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
শ্রম আইনের সঙ্গে কোনো বৈপরীত্যের ক্ষেত্রে এই আইনটি প্রাধান্য পাবে।
আরও পড়ুন: একাদশ জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনের ৫ সদস্যের সভাপতিমণ্ডলী মনোনীত