স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক সোমবার বলেছেন, অধিক করোনা সংক্রমিত এলাকায় আংশিক লকডাউনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই মুহূর্তে করোনার উৎপত্তিস্থল বন্ধ করতে না পারলে দেশের অর্থনীতির চাকা থেমে যেতে পারে, মানুষের আর্থিক বড় রকমের সংকট হতে পারে। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে বেশকিছু প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-যেসব এলাকায় এখন সংক্রমণের হার বেশি সে এলাকাগুলোতে সম্ভব হলে আংশিক লকডাউন করা।’
তিনি বলেন, প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- বিনোদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখা; পিকনিক, ওয়াজ-মাহফিল বন্ধ রাখা; বিয়ে-সাদির অনুষ্ঠান সীমিত করা; কোয়ারেন্টাইন ব্যাবস্থা জোরদার করা; সকল যানবাহন, বাস, স্টীমারে যাত্রী অর্ধেক বা তারো কম রাখা; অফিস আদালতে কম আসা যাওয়া করা; মুখে মাস্ক ছাড়া কোনো সার্ভিস ব্যবস্থা না রাখা; মোবাইল কোর্ট বাড়িয়ে দিয়ে জরিমানার ব্যবস্থা জোরদার করা।
‘আশা করা যাচ্ছে আগামী ২-৩ দিনের মধ্যেই এ ব্যাপারে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হবে,’ বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: লকডাউনের কোনো পরিকল্পনা নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রাজধানীর হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে হাসপাতাল ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইন জুমে অংশ নিয়ে একথা বলেন জাহিদ মালেক।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটকে বিশ্বের একটি অন্যতম চিকিৎসাকেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের আরও গতিশীল হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। এই ভবনটিকে ৪ তলা থেকে ৮ তলা বিশিষ্ট করা ও ৪১৪টি বেড থেকে এখন ১২৫০ বেডে বৃদ্ধি করতে পারায় দেশের অসহায় বহু রোগী চিকিৎসা সেবা বেশি পাবে বলে মন্ত্রী জানান।
এর পাশাপাশি দেশের ৮ বিভাগে ৮ বিশেষ হাসপাতাল নির্মাণের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গেছে বলেও মন্ত্রী জানিয়েছেন। এই ৮ হাসপাতাল নির্মাণের পর দেশে হৃদরোগ চিকিৎসার জন্য আরও অন্তত ১৪০০ বেড বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর মীর জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান।