বৃহস্পতিবার ঢাকার তিন নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। পরে বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
আসামিদের মধ্যে তিন পুলিশ সদস্য হলেন- যাত্রাবাড়ী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী মিয়া, উপপরিদর্শক আ স ম মাহমুদুল হাসান ও মোছা. লাইজু।
বাকি আট আসামি হলেন- মো. শফিকুল ইসলাম রনি, মো. সাগর, মো. শামীম, মো. আলাউদ্দিন দেলোয়ার হোসেন, মো. হানিফ, মো. স্বপন, বিলকিস আক্তার শিলা ও ফারজানা আক্তার শশি।
মামলার এজাহারে অপহরণ এবং গণধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়েছে। তবে অভিযোগের বর্ণনায় ওসি এবং দুই এসআইয়ের বিরুদ্ধে অপহরণ এবং গণধর্ষণের কোনো অভিযোগ নেই। তাদের বিরুদ্ধে মামলা না নিতে চাওয়ায় ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়, ভিকটিম দুই সন্তানের মা ও তালাকপ্রাপ্ত হওয়ায় অভাবের কারণে কাজের সন্ধান করছিলেন। পূর্বপরিচিত শফিকুল গত ১২ মার্চ চাকরি দেয়ার কথা বলে তাকে করাতিটোলায় ফারজানা ও বিলকিসের ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের সহযোগিতায় বাড়ির মালিকের ছেলে স্বপন তাকে ধর্ষণ করেন।
বাদী ডাক-চিৎকার দিলে ফারজানা ও বিলকিস তার গলায় বটি ঠেকিয়ে মেরে ফেলার এবং ধর্ষণের ভিডিও ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। পরে জীবন, বিপ্লব, হানিফ, সাগর ও আলাউদ্দিনসহ আরও ১০-১২ জন ইয়াবা সেবন করে বাদীকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় বাদী যাত্রাবাড়ী থানায় গিয়ে মামলা করতে চাইলে পুলিশ মামলা নিতে অস্বীকার করে। এরপর এসআই লাইজু বাদীকে প্রস্তাব দেন যে ১ লাখ টাকা ঘুষ দিলে ধর্ষণের মামলা হবে। না দিলে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হবে।
পরে ঘুষের টাকা না দিতে পারায় গত ১৮ মার্চ বাদীকে যৌনকর্মী সাজিয়ে ফারজানা ও বিলকিসসহ আদালতে প্রেরণ করেন ওসি ওয়াজেদ, এসআই মাহমুদুল হাসান ও লাইজু। এতে ধর্ষণের ঘটনা চাপা পড়ে যায়। যার বিচার চেয়ে বাদী ট্রাইব্যুনালে এ মামলাটি করেন।